আজ রবিবার | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১০:৩০
বিডি দিনকাল ডেস্ক: প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে লক্ষ্যভেদ করেন অভিজ্ঞ তারকা আনহেল ডি মারিয়া। এবার অ্যাসিস্ট করলেন লাওতারো মার্টিনেজ। এতে ইউরোজয়ী ইতালির বিপক্ষে মর্যাদার ‘ফিনালিসিমা’ দ্বৈরথে পরিষ্কার ২-০ গোলে এগিয়ে যায় কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। ম্যাচের যোগকরা সময়ে দিবালা গোল করলে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধে বল পায়ে নৈপুণ্য ধরে রাখে আর্জেন্টাইনরা। শুরুর ১৫ মিনিটে তিনটি সুযোগ তৈরি করে আর্জেন্টিনা। এর দুটি ছিল মেসির। ম্যাচের ৫৪ ও ৫৯তিম মিনিটে মেসির শট রুখে দেন তার ক্লাব সতীর্থ (পিএসজি) ইতালিয়ান গোলরক্ষক দোনারুমা।
২৭তম মিনিটে মেসির দারুণ অ্যাসিস্টে গোল আদায় করেন লাওতারো মার্টিনেজ। ম্যাচে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। বল পায়ে বাম প্রান্ত দিয়ে ইতালির ডি বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি। এসময় একজন ডিফেন্ডার তাকে প্রতিহত করতে চাইলেও তা সামলেই তিনি পৌছে যান ছোট ডি বক্সে।
এরপর মেসির দারুণ ছোট ক্রস থেকে পাওয়া বলে পা ছুঁইয়ে গোল আদায় করেন লাওতারো মার্টিনেজ।
ম্যাচটি ছিল মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। ইউরোপ আর লাতিন আমেরিকার যে লড়াইয়ে অনেক বছর ধরেই ইউরোপের জয়জয়কার। সর্বশেষ ৪টি বিশ্বকাপই গেছে ইউরোপে। লাতিন আমেরিকান ফুটবল ইউরোপের সঙ্গে আর পেরে উঠবে কি না, এই প্রশ্ন তাই উঠেই গিয়েছিল। সেটির কী দারুণ জবাবই না দিল আর্জেন্টিনা। টানা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত থেকে ওয়েম্বলিতে খেলতে নেমেছিল স্কালোনির দল। একদিক থেকে সেই দলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জও ছিল এই ম্যাচ। স্কালোনি দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম কোনো ইউরোপিয়ান দলের সঙ্গে খেলা। তাতে ১৯৯৩ সালে এর আগে সর্বশেষ ফিনালিসিমার মতো এবারও জয়ী কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়নরা। ১৯৯৩ সালে চ্যাম্পিয়ন দলের নামটা কি মনে আছে? আর্জেন্টিনাই। এবারের জয়টা হয়তো আরও বেশি আধিপত্য দেখিয়ে।
ক্যারিয়ারে ইংল্যান্ডের মাটিতে এটি লিওনেল মেসির ২৫তম ম্যাচ। তবে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে প্রথম। লন্ডনের নতুন রূপ ধারণ করা ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে এটি আর্জেন্টিনারই প্রথম ম্যাচ। পুরাতন ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬টি ম্যাচ খেলেছে আর্জেন্টিনা। এতে জয়ের স্মৃতি নেই আর্জেন্টাইনদের। সেখানে আর্জেন্টিনার সমান তিনটি করে হার ও ড্র। ইতালির অধিনায়ক জর্জো কিয়েলিনির জাতীয় দলের জার্সি গায়ে এটি শেষ ম্যাচ। এই ম্যাচের সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলে দিচ্ছেন এ তারকা ডিফেন্ডার।
ওয়েম্বলিতে ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে সচেষ্ট হয় দু’দল। আর ম্যাচের প্রথম ফাউলের শিকার হন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি। চতুর্থ মিনিটে ইতালিয়ান ডিফেন্ডার জর্জিনহো মাটিতে ফেলে দেন মেসিকে। ভালো জায়গায় ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু মেসির শট প্রতিহত হয়। ১২তম মিনিটে ফ্রি কিক পায় ইতালি। রাসপাদোরির শট রুখে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ২০তম মিনিটে ফের সুযোগ পায় ইতালি। তবে বেলোত্তির শট সহজেই ফেরান আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক। ২১তম মিনিটে ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার ওটামেন্ডি। ২৪তম মিনিটে মেসির শট প্রতিহত হয়। ২৭তম মিনিটে জাদু দেখান মেসি। তার অসাধারণ অ্যাসিস্টে পাওয়া লাওতারো মার্টিনেজের গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধে অসাধারন খেলতে থাকেন মেসি। নিজে গোল করতে না পারলেও দিবালাকে দিয়ে আরো এক গোল করিয়ে জয়ে বড় ভুমিকা রাখেন এই আর্জেন্টাইন তারকা।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |