আজ শনিবার | ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ১১:৪৬
১০ বছরের জন্য ইরানে চাবাহার বন্দর পরিচালনার জন্য ভারত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, ‘যে কেউ ইরানের সাথে ব্যবসায়িক চুক্তি বিবেচনা করছে তাদের নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হওয়া দরকার।’ ইসরাইলের ওপর হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র ইরানের মনুষ্যবিহীন আকাশযান উৎপাদনকে লক্ষ্য করে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণার কয়েকদিন পরই এ ঘটনা ঘটেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল ভারত ও ইরানের মধ্যে চুক্তি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘চাবাহার বন্দর নিয়ে ইরানের সঙ্গে ভারতের চুক্তি হয়েছে, সেটা আমরা জানি। আমি চাই ভারত সরকারের বিদেশ মন্ত্রক তাদের বিদেশনীতি নিয়ে বিস্তারিত জানাক। ইরানের সঙ্গে তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, চাবাহার বন্দর-সমস্ত কিছু নিয়েই ভারতের কথা বলা উচিত। আমি শুধু বলব, যেহেতু এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কিত, তাই ইরানের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞাগুলো যে বহাল রয়েছে তা আমি আরো একবার মনে করিয়ে দিতে চাই। পাশাপাশি নাম না করে ভারতকে বেদান্তের হুঁশিয়ারি, ‘যারাই ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি করবে তাদের মনে রাখা উচিত, তারা নিজেরাই নিষেধাজ্ঞা চাপানোর পথ খুলে দিচ্ছে।’
ইরানে ভারতীয় দূতাবাসের এক্স-এর একাধিক পোস্ট অনুসারে-বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের উপস্থিতিতে ভারত ও ইরানের মধ্যে চুক্তিটি তেহরানে ইন্ডিয়া পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড এবং ইরানের পোর্টস অ্যান্ড মেরিটাইম অর্গানাইজেশন দ্বারা স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই প্রথম ভারত কোনো বিদেশি বন্দরের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেবে।
এই বছরের এপ্রিলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের তিনটি কোম্পানিসহ পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির সরবরাহকারীদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আমেরিকার দাবি, নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করা হয়েছিলো কারণ এরা গণবিধ্বংসী অস্ত্রের প্রসারকারী এবং তাদের সরবরাহের পথ প্রশস্ত করছিলো।
বেদান্ত সেইসময়ে বলেছিলেন, ‘এগুলি বেলারুশের পিআরসি (পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না) ভিত্তিক সংস্থা ছিল এবং আমরা পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে সরঞ্জাম এবং অন্যান্য প্রযোজ্য আইটেম সরবরাহ করার বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেছি।’
কয়েকদিন পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সামরিক বাহিনীর পক্ষে অবৈধ বাণিজ্য এবং ইউএভি স্থানান্তরের সুবিধার্থে ভারতের তিনটি সহ এক ডজনেরও বেশি কোম্পানি, ব্যক্তি এবং জাহাজের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ অভিযোগ করেছে যে, এই সংস্থাগুলো, ব্যক্তি এবং জাহাজগুলো ইউক্রেন- রাশিয়ার যুদ্ধে ইরানের মনুষ্যবিহীন এরিয়াল ভেহিকেল (ইউএভি) গোপনে বিক্রয় এবং অর্থায়নে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছে।সূত্র:মানবজমিন
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে
Dhaka, Bangladesh শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:19 AM |
Sunrise | 6:39 AM |
Zuhr | 12:00 PM |
Asr | 3:01 PM |
Magrib | 5:21 PM |
Isha | 6:41 PM |