আজ সোমবার | ২২শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |৬ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৩:৫৮
বিডি দিনকাল ডেস্ক: রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে দীর্ঘ দেড় মাসের বেশি সময় ধরে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কথা বলতে গিয়ে কাঁদলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বিকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দিতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে ঢাকা মহানগরের উত্তর-দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে মির্জা আলমগীর বলেন, গত (শনিবার) রাতে হাসপাতালে ম্যাডামকে দেখতে গিয়েছিলাম। ম্যাডামের এমন চেহারা আর কখনো দেখিনি। এ কথা বলতেই ডুকরে কেঁদে উঠেন তিনি। বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে নেত্রী সবসময় অত্যন্ত শক্ত মনের জোর নিয়ে সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠেন, তিনি পাঁচ বছর বন্দি থাকা অবস্থায় কোনোদিনও তার চোখে আমি পানি দেখিনি।
গতকাল তাকে আমি অত্যন্ত অসুস্থ দেখেছি। আমার প্রথমবারের মতো মনে হয়েছে- আমাদের নেত্রী অনেক বেশি অসুস্থ। মির্জা ফখরুল বলেন, এই নেত্রী বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য এখনো গৃহবন্দি হয়ে আছেন। গৃহবন্দি অবস্থায় তিনি অসুস্থ হয়ে তিনবার হাসপাতালে এসেছেন। এবার তাকে নিয়ে ডাক্তাররা চিন্তিত।
পাশের রুমে আমি যখন ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছি তখন ডাক্তাররা বলেছেন, আপনাদের যদি কিছু করার থাকে তাহলে করেন। দেশনেত্রীর শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। স্পষ্ট করে সরকারকে বলতে চাই- আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। অথবা এই নেত্রীর যদি কোনো ক্ষতি হয়, তাহলে শুধু পরিবারের নয়, বিএনপির নয় বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে।
যারা বিচারের নামে অপবিচার করছে তাদেরকে চিহ্নিত করে রাখুন- এমন কথা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এরা সরকারের দালাল, এদেরকে চিহ্নিত করে রাখুন, নিম্ন আদালতের রায় দিয়েছিল ৫ বছর অথচ উচ্চ আদালত তা বাড়িয়ে ১০ বছর করেছে।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ৪টি নির্বাচন হয়েছিল, তাতে কোনো প্রকার প্রশ্ন উঠেনি। দেশের মানুষের যেন ভোটের প্রতিফলন ঘটে। সেই জন্যই তিনি (খালেদা জিয়া) এই ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে সেই ব্যবস্থা বাতিল করেছে। এরপর থেকে ১৪ ও ১৮ সালে কোনো ভোট হয়নি। কী হয়েছে দেশের মানুষ তা জানে।
‘আমরা নির্বাচন চাই, তবে সেটা হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। এজন্যই তিনি দেশের মানুষের নেত্রী হয়েছিলেন। তিনি কোনো দল ভাঙতে চাননি। কিন্তু এই আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপি ভাঙতে পাঁয়তারা করে যাচ্ছে।’ বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ আগুন লেগেছে সরকারের, ১৬৫ জন নিয়ে আমেরিকা গেয়েছে, সেখানেই বসে থাকতেই ভিসা নীতির গুরুত্বরোপ করেছে। ভিসা নীতি নিশ্চয় কোনো দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গলজনক নয়। শুধু মার্কিন নয়, এ দেশের মানুষও স্যাংশন দিয়েছে এ সরকারকে।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, কয়েকদিন আগে বললো আমেরিকা যাবো না, কোনো কূল না পেয়ে এখন বলছে আমরা স্যাংশন দেব। আজকে সরকার বিএনপি, জনগণ এবং দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বলে- আমরা যুদ্ধ চাই না। মানবাধিকারের কথা বলে, অথচ তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে সুচিকিৎসা দিচ্ছে না।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে ভাষায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাতে তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে ঢাকা মহানগরের উত্তর-দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.মঈন খান , বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস , স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় , স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, উত্তরে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা ফরহাদ হালিম ডোনার, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস , বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল , বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু , স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জেড খান মো: রিয়াজ উদ্দিন নসু ,যুবদলের মামুন হাসান , বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন প্রমুখ।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:22 AM |
Sunrise | 6:42 AM |
Zuhr | 12:04 PM |
Asr | 3:06 PM |
Magrib | 5:27 PM |
Isha | 6:47 PM |