আজ বৃহস্পতিবার | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৭:১৭
এই মুুহূর্তে দেশে ফিরছেন না বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে থাইল্যান্ডে অবস্থান করছেন তিনি। বলেছেন, এই মুহূর্তে দেশে ফেরার মতো অবস্থা নেই। পরিস্থিতি ভালো হলেই দেশে ফিরে আসবেন। ব্যক্তিগত সফরে বিদেশে যাওয়ার পর গত ১১ই সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
পরোয়ানা মাথায় নিয়ে দেশে ফিরবেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে দেশে ফিরে কোনো লাভ আছে? যেখানে বিচার নাই। বিচার পাবো না। সেখানে ফিরে জেল খাটার কোনো অর্থ হয় না। তবে পরিস্থিতি তৈরি হলে আমি বাংলাদেশে চলে আসবো। যখন আমি বিচার পাবো, বিচারহীন দেশে যখন বিচারের ব্যবস্থা হবে তখন আসবো। আমার ওপর অবিচার করা হয়েছে।
বিএনপি’র আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ২৮শে অক্টোবর থেকে গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিএনপি’র প্রায় ২৪ হাজার নেতাকর্মীকে জেলে ঢুকিয়েছে সরকার।
এরকম পরিস্থিতিতে বিরোধী দলের আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে, সেটা বলা যায় না। এই আন্দোলন যে ব্যর্থ হয় নাই, সেটা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রিপোর্ট প্রমাণ করে।
তিনি বলেন, আমরা আন্দোলনে আছি, আন্দোলনে থাকবো এবং আন্দোলনের মাঠ আবার সাজাবো। আর সামনে আমরা আন্দোলন করবো। দেশে ইস্যু কি একটাই আছে? নির্বাচন চলে গেছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ জনসম্পৃক্ততামূলক ইস্যুতে কর্মসূচি নিয়ে আমরা রাস্তায় থাকবো। আন্দোলন করবো। জনগণ যেদিন রাস্তায় নেমে আসবে সেদিন আমাদের আন্দোলনের ফল আসবে।
নির্বাচনের আগে বিএনপি’র কেউ কেউ সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব পেয়েছিলেন। আপনি এমন কোনো প্রস্তাব পেয়েছিলেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাকে তো সাজাই দিয়ে দিয়েছে। আর কি অফার দিবে? আমি তো দেশেও নেই।
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কিনা এ প্রশ্নে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে দলগতভাবে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নাই। তখন মার্কা দিয়েছিল, সেজন্য ওই সময় দলগতভাবে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। এখন তো মার্কা নাই। এখন সব ওপেন। সুতরাং এখানে দলের কোনো ভূমিকা আছে বলে আমি মনে করি না।
উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি’র কোনো নেতা অংশগ্রহণ করলে তার বিরুদ্ধে কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে এখনো বিএনপি’র নীতিনির্ধারণী ফোরামে কোনো সিদ্ধান্ত হয় নাই।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১১ই সেপ্টেম্বর দুর্নীতির মামলায় ৯ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ আদেশ দেন। ২০০৭ সালের মার্চে টুকুর বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক শাহরিয়ার চৌধুরী এ মামলা করেন। ৪ কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পদের হিসাব ও আয়ের উৎস গোপন করার অভিযোগে এ মামলা করা হয়।
২০০৭ সালের ১৫ই নভেম্বর বিচারিক আদালত এ মামলায় টুকুকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে টুকু আপিল করলে ২০১১ সালের ১৫ই জুন তাকে খালাস দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২১শে জানুয়ারি খালাসের রায় বাতিল করে আবার আদেশ দেন আপিল বিভাগ। গত বছরের ৩০শে মে হাইকোর্ট টুকুর ৯ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখেন। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি বিচারিক আদালতে পৌঁছানোর ১৫ দিনের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়। গত ২৭শে আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ রায়ের কপি পৌঁছায়। এক্ষেত্রে ১১ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাকে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হতো। এ সময়ের মধ্যে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:18 AM |
Sunrise | 6:39 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:20 PM |
Isha | 6:40 PM |