আজ রবিবার | ২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১২ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | ভোর ৫:৪৯
বিডি দিনকাল ডেস্ক : সরকারের ‘স্বেচ্ছাচারিতা চরমে’ উল্লেখ করে তাদেরকে আর সময় দেয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার বিকালে নয়া পল্টনের কার্যালয়ের সামনে শোক র্যালীপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘‘ এই সরকার একে তো ভয়াবহ স্বৈরাচারে রুপ নিয়েছে, আমাদের ঘরে ঘরে গিয়ে পুলিশ নাম নিচ্ছে। আজকে এরকম একটা কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, এরকম একটা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে এই সরকার।”
‘‘ এই সরকারকে আর সময় দেয়া যায় না। তারা এখন জাতির জন্যে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আজকে এই দেশের মানুষ জেগে উঠেছে, তরুণ-যুবকেরা জেগে উঠেছে।প্রতিদিন এই স্বৈরাচারি সরকারের পতনের লক্ষ্যে, তাদেরকে সরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে মানুষের মিছিলে মিছিলে আরো মানুষ বাড়ছে। আমরা অনেক রক্ত দিয়েছি, আমরা আরো রক্ত দেবো।”
‘‘ আমরা সামনে দিকে এগিয়ে যাবো, পেছনে ফিরবো না। এই সরকারকে বাধ্য করব পদত্যাগ করতে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে। সংসদ বিলুপ্ত করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে জনগনের ভোটে নতুন পার্লামেন্ট গঠন করে নতুন সরকার গঠন করা হবে, জনগনের সরকার গঠন করা হবে।”
জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি, ভোলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম, নারায়নগঞ্জের শাওন প্রধান, মুন্সিগঞ্জের শহীদুল ইসলাম শাওন ও যশোরের আব্দুল আলিম হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই শোক র্যালী হয়।
নয়া পল্টন থেকে শোক র্যালী কাকরাইলের নাইটেঙ্গল রেঁস্তোরার মোড় হয়ে নয়া পল্টনের সড়ক দিয়ে আরামবাগ মোড় ঘুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
‘সঠিক তথ্য আড়াল করার উদ্যোগ’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ বাংলাদেশের মানুষ যাতে সঠিক তথ্য জানতে না পারে, আমাদের গণমাধ্যম যেন এই সরকারের দুর্নীতি প্রকাশ করতে না পারে তারজন্য তারা সার্কুলার দিয়ে ২৯টি বিভাগকে ‘তাদের কাছ থেকে কোনো খবর, তারা কাউকে কোনো খবর দেবে না’- এরকম সার্কুলার দিয়েছে।”
‘‘ এর অর্থ হচ্ছে তাদের যে দুর্নীতি, তাদের যে চুরি সেগুলোকে ঢেকে রাখবার জন্যে, তাদের স্বেচ্ছাচারিতা ঢেকে রাখবার জন্যে তারা সমস্ত দেশকে জাতিকে আজকে বঞ্চিত করে রাখতে চায় সঠিক খবর থেকে।”
‘আপনি কি বিধাতা’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ রাজবাড়ীতে একজন মহিলা নেত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুইটা বাচ্চা আছে তার। কি অপরাধ? অপরাধ হচ্ছে সে সামাজিক মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছে, লিখেছে এই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে।”
‘‘ কেনো? আপনি কি গড, বিধাতা যে আপনার বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না। গণতান্ত্রিক দেশে যে কারো সমালোচনা করবার অধিকার আছে, প্রত্যেকটি মানুষের অধিকার রয়েছে।আজকে আমাদের সেই বোন সেই কাজটি করেছে। এদের অত্যাচারের মাত্রা কোন জায়গায় গেছে যে, তারা একজন নারীকে পর্যন্ত গভীর রাতে গিয়ে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে।”
তিনি বলেন, ‘‘ আজকে আমাদের অস্তিত্বের জন্যে, আমাদের বাঁচার জন্যে, আমাদের এই জাতিকে রক্ষা করবার জন্যে, আমাদের কোনো বিকল্প নাই এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরিয়ে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।”
‘‘ আমরা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছি দেশের স্বাধীনতার জন্যে, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবার জন্যে, গণতন্ত্রের জন্যে, সেই স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-গণতন্ত্
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘‘ এই শোককে শক্তিতে রুপান্তরীত করে এই স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে্ ইনশাল্লাহ আমরা ঘরে ফিরে যাবো। এর আগে নয়।”
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও আমিনুল হকের পরিচালনায় র্যালীপূর্ব এই সমাবেশে মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও দক্ষিনের আহ্বায়ক আবদুস সালাম বক্তব্য রাখেন।
কালো পতাকা হাতে হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা এই শোক র্যালীতে অংশ নেয়। এতে বিএনপির হাবিবুর রহমান হাবিব, রুহুল কবির রজভী, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, নাজিম উদ্দিন আলম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আবদুস সালাম আজাদ, কামরুজ্জামান রতন, সরফাত আলী সপু, শামীমুর রহমান শামীম, মীর নেওয়াজ আলী, সাইফুল আলম নিরব, সেলিম রেজা হাবিব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোনায়েম মুন্না, মামুন হাসান, ইসহাক সরকার, এসকে জিলানি, রাজীব আহসান, ইয়াসীন আলী, আহমেদ খান, শহীদুল ইসলাম বাবুল, আবদুর রহিম, শাহ নেছারুল হক, নজরুল ইসলাম তালুকদার, আবুল কালাম আজাদসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা অংশ নেন।
Dhaka, Bangladesh শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:30 PM |
Isha | 6:50 PM |