আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৭:৪৩
বিশেষ ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কুয়েত শাখার নামধারী সিনিয়র হোয়ে জুনিয়রের খাতায় নাম লেখানো এক দান্ধাবাজ,প্রতারক ,মানব দালাল ও পতিতার দালাল এবং হুন্ডি ব্যবসায়ী হিসেবে এইসময়ের পরিচিত মুখ আজিজ উদ্দিন মিন্টু ওরফে কালা মিন্টু । কে এই ব্যক্তি মিন্টু,তার আসল পরিচয়ইবা কি।কেন তার নামের আগে এতগুলো বিশ্লেষন।
মিন্টুর কুয়েতের বিভিন্ন ফোন নাম্বার :৯৬৫-৫০৬৭৪১৬///-৯৬৫-৬৬৮২৪৩৩
সাম্প্রতিক কালে ফেসবুকেও তাকে নিয়ে নানা লেখা দেখা যায় ।তার উপর ব্যাপক অনুসন্ধান চালানো হয় বিভিন্ন সোর্চের মাধ্যমে। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, তার গ্রামের বাড়ি চট্রগ্রামের বাঁশখালী থানা, ,গ্রাম :বরুমচড়া,ইউনিয়ন :পুকুরিয়া – পিতা মৃত :জাফর আহম্মেদ চৌধুরী ।১৯৯১ সালের দিকে নানা অনৈতিক কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারণে গ্রাম থেকে বিতাড়িত হয়ে চট্রগ্রামের বায়জিদ শেরশাহ কলোনির এলাকায় বসবাস শুরু করে ।তিন ভাই এক বোন আছে এই মিন্টুর। দুই সন্তানের বাবা । সম্পত্তির লোভে বিয়ে করেছেন একটি হিন্দু পরিবারে । তার স্ত্রী আদো নওমুসলিম থেকে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছেন কিনা তা কিন্তু জানা যায় নাই ।
বায়জিদ এলাকায়ও এক সময়ে চুরি-চামারী ও চিন্তায় কাজে সম্পর্কিত থাকার কারণে এক পর্যায়ে জীবন বাঁচাতে সেই খান থেকে কোনো এক আত্মীয়র সহযোগিতায় কুয়েতে চুপি সারে চলে আসে হাউজ বয় (খাদেম ভিসায় ) ১৯৯২ এর কোনো এক সময় ।কুয়েতির বাসায় কয়েক বছর কাজ করেছে। কুয়েতির বাসার গাড়ী ক্লিন থেকে হেনো কোনো কাজ নেই যে সে করে নাই । এখন ওই খাদেম ভিসায় অবস্থান করছে এই মিন্টু । তার কপিল (স্পনসর )এর কয়েকটা গ্রোসারির দোকান রয়েছে কুয়েতে । দোকানের ঝাড়ুদার হিসেবে তাকে প্রথমে নিয়োগ দেন স্পনসর ।আচতে আচতে অত্তান্ত চতুরতার সাথে দুরন্ধর এই মিন্টু দোকানের ক্যাসিয়ার বোনে যান ।সেই সুজগে মহা চুরির রাজা বোনে যান । কুয়েতে সে একটা আন্ডারগ্রাউন্ড গ্যাঙ তৈরী করেণ বিশেষ করে বাসা বাড়ির কাজ করে এমন ড্রাইভাররা তার মূল সদস্য । অনেক চুরি চামারীর মাল তার দোকানে নিয়ে আসে এবং কম দামে বিক্রি করে মিন্টুর কাছে । এইভাবে সে চোরের রাজা মিন্টু বোনে গিয়ে কিছু টাকার মালিক বোনে যান ।
অন্যদিকে এই বাকালা(গ্রোসারির দোকান ) এর আড়ালে আরো একটু জগন্যতম অসামাজিক কাজ করে চলছেন অনায়সে ।তার দোকানে বিশেষ করে পিলিপাইনের মেয়েদের আনাগোনা বেশি থাকে।এদের দিয়ে সে একটা পতিতাবৃত্তির ব্যবসা শুরু করেণ কুয়েত সিটির মালিয়াতে যখন তার একটা দোকান ছিল। ঐদোকানের উপরে পুরোটাই পলিপিনো মেয়েদের বাসা ছিল ,আশপাশ কয়েকটা হোটেল ছিল ।সে দোকান ছেড়ে দেয়ার পরে বর্তমানে ফরওয়ানিয়ার(মাতাফীর উল্টো দিকে )মহল্লায় তাজ মহল স্টোর(TAJ MAHAL STORE -TEL :965 66236272 ) দোকান রয়েছে ।এখন এই দোকান থেকেই ওই অনৈতিক কাজ গুলো করে থাকে অনায়েসে ।কুয়েতের বিভিন্ন এলাকায় তার কয়েকটা ঘর রয়েছে ।এমন অভিযোগ করেছেন নাম না বলা শর্তে অনেক প্রবাসী ।এক সময় এই মিন্টু অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসাও করতো ।এমন হেনো কোনো কাজ নাই যে সে করে নাই ।যা রাজনীতির আড়ালে এখনো চালিয়ে যাচ্ছে ।
যাতে করে তার জীবনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যে অনৈতিক কাজ করেছে তা বাধাহীন ভাবে চালিয়ে যাওয়ার লক্ষে একটি রাজনৈতিক ফ্লাট ফর্ম দরকার হয়ে পড়ে তার । দেশে থাকা অবস্থায় বিএনপির টোকাই হিসেবে আত্মপ্রকাশ তার পর সুযোগ বুজে চিন্তা রাহাজানি কাজে হাতে খড়ি ।নিজের সকল অপকর্ম থেকে বাঁচতে হলে যে একটি রাজনীতির ছায়া দরকার সেই জিনিসটি বুজেই বিএনপির সাথে সম্পর্কিত হয়ে পড়ে ।আসলে দলের ভালো এবং আদর্শের জন্য সে দল করেনা ,আর্থিক ভাবে নিজে কিভাবে লাভবান হবে ,তার অনৈতক কাজগুলো কিভাবে চালিয়ে যাবেন যার জন্য তার একটি দলের সাইনবোর্ড প্রয়োজন ।এই অবস্থায় সে বিএনপিকে বেঁচে নিয়েছে ।তখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল যখন সে টোকাই থেকে কর্মী হয়।
অন্যদিকে নিজেকে বড়ো নেতা বানাতে সে চট্রগ্রামের বিএনপির কয়েকজন নেতার ছবি দিয়েও পোস্টার করে সোসিয়াল মিডিয়ায় প্রচার করে নিজেকে বড়ো মাফের নেতা হিসেবে জাহির করে। মূলত এটিও এই দূরেন্দর মিন্টুর আরেকটি প্রতারণার কৌশল । এই যুগের রিজেন্টের সাহেদ ,কুয়েতের পাপুল গং,পাপিয়াদেরকেও সে হার মানিয়েছে। কিন্তু সকল কিছুর ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যায় এই দালাল মিন্টু ।
বর্তমনে কুয়েতে বিএনপির যে ভঙ্গুর অবস্থা তার মূল নাটেরগুরু এই আজিজ উদ্দিন মিন্টু ।একটি নির্বাচিত কমিটিকে ভেঙে খান খান করে দেয়ার জন এই মিন্টুর জুড়ি নাই। ১৯৯৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত কোনো কমিটিতে সে স্থায়ী হতে পারে নাই শুধু তার দান্ধাবাজি ও অনৈতিক কাজের জন্য।যারা কুয়েতের পুরোনো রাজনীতির সাথে সম্পর্কিত রয়েছে তারা জানেন মিন্টু কি ? মূলত দান্ধাবাজির জন্যই দল করা ,এ ছাড়া দলের আদর্শের জন্য দল করেনা এই মিন্টু ।আশরাফ-মঞ্জুর কমিটি থেকে সে বহিস্কার হয়েছিল যা অদ্যাবদি পর্য্যন্ত প্রত্যাহার হয় নাই ।নিজেকে সিনিয়র নেতা মনে করে কিন্তু জুনিয়র নেতার নির্বাচন করে ।শুধু দলের মধ্যে একটু টিকে থাকা । দলকে ব্যবহার করে তার মূল উদ্দেশ্য ।দলে থাকতে না পারলে যে তার আখের গোছান সম্ভব না । তাই যেই ভাবেই হউক সকল লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে দলে থাকতেই হবে ।প্রথমে সুই হয়ে ঢুকে পরে ফাল হয়ে লন্ড-ভন্ড করে দেয় এই মিন্টু ।
এদিকে দলের স্বাধীনতাসুবর্ণ জয়ন্তীর টুপি – গেঞ্জি বিক্রি করা কুয়েতি ৮ দিনার দামে বিক্রি করা হয় প্রায় ৫ শত।কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই হিসেবে দিতে পারে নাই মিন্টু গং ।এই নিয়ে নেতা কর্মীদের আছে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে ,বিরাজকরছে চাপা উত্তেজনা ।মূলত এই মিন্টু ও তার সহকর্মীদের বিরুদ্দে অভিযোগের সীমা নেই ।
সম্প্রতি ডিজিটাল যুগে সোসিয়াল মিডিয়া যখনি কেউ তার কর্মকান্ডের সমালোচনা করে তখনি সে ফেইক আইডি খুলে সমালোচনা কারীদের চরিত্র হনন করে ।সে কিছু পোষ্য লালন করে যাদের দিয়েই সে ও পোষ্য গুলো তার হয়ে সমজার মানুষ গুলোকে হেস্ত-নেস্তো করে ।
এদিকে মিন্টুর সকল অনৈতিক কাজের বিরোধিতা করে দল থেকে তার মতো সুবিধাবাদী ,এক সময়ের রাজনীতির টোকাই ,ছিনতাইকারী ,কুয়েতের পতিতার দালাল ও হুন্ডি ব্যবসায়ী কালোবাজারি মিন্টুকে দল থেকে বহিস্কার এর দাবি উঠেছে ।।সেই সাথে তাকে অবাঞ্চিত করেছে তৃনমুলের নেতা কর্মীরা ।কারণ সে দিনে করে বিএনপি রাতে করে আওয়ামীলীগ এমন অভিযোগ রয়েছে মিন্টুর বিপক্ষে ।একেই সাথে আওমীঘরোয়ানা থেকেও অনেক অভিযোগ এসেছে মিন্টুর বিরুদ্দে ,সে কুয়েতে বসে সরকার বিরোধী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে হয় হামেসায়।তার দুইটা আইডি রয়েছে সাথে আরো রয়েছে কয়েকটা ফেক আইডি ।এই আইডি গুলো পরোক্ষ নিরীক্ষা করলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে তার কর্মকান্ড ।
১,https://www.facebook.com/photo/?fbid=1693435764181752&set=a.278631258995550
২.https://www.facebook.com/aziz.mintu.96
৩.https://www.facebook.com/profile.php?id=100059427198173
অন্যদিকে মিন্টুর এই সকল কাজের উপর দূতাবাসের সহযোগিতা মূলক একটু সুষ্ঠ তদন্ত চেয়েছেন সাধারণ প্রবাসীরা সহ বিএনপির সাধারণ সমর্থকরা।মিনুটুর মতো দেশ দ্রোহীদের কারণেই কুয়েতে আজ দেশের ভাবমূতিবিনষ্ট হচ্ছে ।এখনই এদের বিরুদ্দে একটু ব্যাবস্থা না নিলে কুয়েতে যে কোনো সময় রাজনীতি হানা হানি ঘটে যেতে পারে ।
নজরদারি: ফেইসবুক থেকে সংগৃহিত-,,চলমান—
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |