আজ বৃহস্পতিবার | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৭:২১
ডেস্ক :- মাত্র এক মাস আগের আর পরের আকবর। এরই মধ্যে হারিয়ে গেছে চেহারার জৌলুস। স্মার্টনেস মিলিয়ে গেছে হাওয়ায়। দাপটের মৃত্যু হয়েছে। দেখা গেছে অসহায় এক মুখ। খাসিয়ারা তার হাত শক্ত করে বাঁধছে। পা বাঁধছে। হাত জোড় করে এ থেকে রক্ষার আকুল আবেদন আকবরের।
শুধু তাই নয়, খাসিয়াদের প্রশ্নের জবাবও দিয়েছেন। এ দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে।
অথচ এক সময় সিলেট বন্দরবাজার ফাঁড়ির এস আই আকবরের দাপটে কাঁপত এলাকা। এটা ফাঁড়ি নয়, অভিশপ্ত এক ভবন। এই ফাঁড়িতেই যুবক রায়হানকে মাত্র দশ হাজার টাকার জন্য নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। আর রায়হান হত্যাই কাল হয়। বেরিয়ে আসতে থাকে আকবরের আমলনামা। রায়হান হত্যার পর পালিয়ে গিয়ে জানান দেয় আকবর দোষি। অপরাধী। খাসিয়াদের হাতে আটকের পর নিজ মুখে দেয়া বয়ানেও অপরাধ কবুল করে নিয়েছেন আকবর। আসলে পাপের ষোলকলা পূর্ণ হওয়ায় আকবরের কীর্তি ফাঁস হয়। ১১ অক্টোবর ঘটে রায়হান হত্যার ঘটনা। আজ ১০ নভেম্বর। এক মাস পূর্ণ হয়েছে। এরই মধ্যে দেশবাসী জেনেছে আকবরের সকল অপকর্মের কথা। ক্ষমতার দাপটে অন্ধ হওয়া আকবর আজ নিরীহ খাসিয়াদের কাছেও হাত জোড় করে নিজেকে অপরাধী বলে মেনে নিয়েছে। এক মাস আগের আকবরের চেহারা আর এক মাস পরের আকবরের চেহারায় বিশাল ব্যবধান। সুন্দর মুখে লেগেছে কালো মাটির আবয়ব। সিলেটের কানাইঘাট ডোনা সীমান্ত এর স্বাক্ষী। পাহাড়, ঝর্ণাধারার মাঝেও আকবরের মলিন মুখ। বাধ্য ছেলের মতো খাসিয়াদের কথা মান্য করার দৃশ্য৷ অন্য এক আকবরকে দেখল মানুষ। ভয়ে কাতর ছিল আকবর। অথচ আকবর যে পেশা বেছে নিয়েছিল তাতে সাধারণের জন্য কাজ করতে পারতেন। অসহায়, নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারতেন। হতে পারতেন অনেকের আইডল। শুধুমাত্র ক্ষমতার অপব্যবহার তাকে একদিনেই উপর থেকে ধপাস করে পড়তে হয়েছে নিচে। এমন আকবর তৈরি হোক এটা চয়না কেউই। তাই আকবরের এ দৃশ্য দেখে অন্য আকবররা নিজেকে শুধরে নিবে এটাই আশা করে সবাই। রায়হানের মৃত্যুই যেন হয় পুলিশি নির্যাতনের শেষ মৃত্যু।
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:18 AM |
Sunrise | 6:39 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:20 PM |
Isha | 6:40 PM |