- প্রচ্ছদ
-
- প্রধান খবর
- এ কোন সাংবাদিকতা
এ কোন সাংবাদিকতা
প্রকাশ: ১ আগস্ট, ২০২৩ ২:০৩ অপরাহ্ণ
এম আবদুল্লাহ:-‘বিএনপিকে কানাডার আদালতে আবারও সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা’ শিরোনামে একটি খবর বাংলাদেশের অন্তত ১৭টি সংবাদমাধ্যমে — টিভি/অনলাইন/পত্রিকা, এরই মধ্যে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে, যার মধ্যে যুগান্তর, বাংলাদেশ প্রতিদিন, সমকাল, ডিবিসি, সময় টিভি, দেশ রূপান্তর, আজকের পত্রিকা, কালের কণ্ঠ, বাংলাট্রিবিউনসহ প্রথম সারির অনেক সংবাদমাধ্যম রয়েছে।
প্রতিটি নিউজের টেক্সটের একাধিক প্যারা হুবুহ এক। দাড়ি, কমার সংখ্যাও অভিন্ন।
কানাডার আদালতের গত ১৫ জুনের রায়ের যে বরাত দেয়া হয়েছে খবরগুলোতে সেখানে বিএনপিকে সন্ত্রাসী আখ্যা দেয়ার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশে যারা ভার্চুয়াল জগতের কন্টেন্ট ফ্যাক্টচেক করেন, তাদের একজন কদরুদ্দিন শিশির ফ্যাক্টচেক করে জানিয়েছেন, সংবাদটির কোন ভিত্তি নেই। প্রমাণ দেওয়ার জন্যে তিনি চ্যালেঞ্জও ছুঁড়েছেন। এখনও কেউ সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেননি। শিশির আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের ফ্যাক্ট চেকিং এর দায়িত্ব পালন করছেন।
বিশেষ কোন গোষ্ঠীর সাপ্লাই করা বানোয়াট ‘মাল’ যাচাই না করে হুবহু প্রকাশ করে আপনারা কোন সাংবাদিকতা চর্চা করছেন? নতুন প্রজন্মের সংবাদকর্মীদের সাংবাদিকতার কী পাঠ দিচ্ছেন? এ লজ্জা আমরা সংবাদকর্মীরা রখবো কোথায়?
বিএনপি যদি ধিকৃত ডিজিটাল আইনের আশ্রয় নিয়ে ন্যায্যভাবে আপনাদের বিরুদ্ধে অগ্রসর হয়, তখন আমরা প্রতিবাদ জানাবো কোন মুখে?
এমনিতেই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা এখন তলানিতে। সত্যি জানতে পাঠকরা বিদেশি সংবাদমাধ্যমের দিকে ঝুঁকছেন। পত্রিকার প্রচার সংখ্যা কমছে জ্যামিতিক হারে। সাংবাদিকদের প্রতি এক দশক আগে মানুষের যে শ্রদ্ধা ছিল, আস্থা ছিল, তা এখন ঘৃণায় পর্যবসিত হতে চলেছে।
সর্বশেষ বিএনপির ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচির দিনে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও শাসকদলের ক্যাডারদের নৃশংসতার চিত্র পেতে আল-জাজিরা, ভয়েস অফ আমেরিকার মত সংবাদমাধ্যমের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে।
আমরা অনুমান করি নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন যত বেগবান হবে, এমন সাপ্লাই মালের প্রবাহ বাড়বে। সংবাদমাধ্যমের বন্ধুরা যদি এগুলো বিনা প্রশ্নে গিলতে থাকেন, বিবেক-বিবেচনা বিসর্জন দেন, তবে হলফ করে বলতে পারি – এ দেশের সংবাদমাধ্যমের কপালে আরও দুর্গতি অবশ্যম্ভাবী। জনরোষে পড়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
অতএব, এখনই থামুন।
লেখক —
সভাপতি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে।
Please follow and like us:
20 20