আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৪:২১
বিডি দিনকাল ডেস্ক:- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অনেক ক্ষতি করে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী। জেলা আওয়ামী লীগের এই সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলেন, কাদের ভাই নোয়াখালী আওয়ামী লীগকে বাঁচান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বাঁচান। আপনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অনেক ক্ষতি করে যাচ্ছেন। যে ক্ষতি আওয়ামী লীগকে পুষিয়ে নিতে অনেক কষ্ট হবে। আপনি কেন বুঝেন না- নেত্রী বিভিন্ন জায়গা থেকে আপনাকে চুপ থাকার জন্য বলছেন। এগুলো কেন বুঝেন না- আপনার এ এক্টিভিটিজ কেউ পছন্দ করছে না। নোয়াখালীর মানুষ তো না-ই। নোয়াখালীর কয়েকজন সুবিধাবাদী লোক ছাড়া ম্যাক্সিমাম মানুষের কাছে আপনি( ওবায়দুল কাদের)ঘৃণিত লোক।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল পৌনে ৯টার দিকে সিঙ্গাপুর থেকে ফেসবুক লাইভে এসে এমপি একরাম এসব কথা বলেন। ইতিমধ্যে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। একরামুল চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, কাদের ভাই তার ভাইকে লেলিয়ে দিয়েছেন আমার বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য। তিনি আমাকে এক টাকার বেনিফিটও দেন নাই। বরং আমি ওনার কাছে যে কাজটা চেয়েছি সেই কাজগুলো আমি যেন না পাই সে ব্যবস্থাও করেছেন। তবে উনাকেও জবাবদিহি করতে হবে। জবাব তো অলরেডি দিচ্ছেন উনার ভাইয়ের কাছে। ভাবীর সম্বন্ধে একজন অভদ্র লোক ছাড়া কোনো লোক এভাবে কথা বলতে পারে না। ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনাকে আমি ঘৃণা জানাই। আপনি বিচার করতে জানেন না। কাদের মির্জার বক্তৃতাকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমার দুঃখ লাগে বাংলাদেশ সম্বন্ধে। আমরা কোন দেশে আছি। যেভাবে এসপিকে বলা হয় কুলাঙ্গার এসপি, ওসিকে বলা হয় কুলাঙ্গার ওসি, ইউএনওকে বলা হয় কুলাঙ্গার ইউএনও। উনি কোন দেশের প্রধানমন্ত্রী, যে উনি প্রশাসনকে এভাবে কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি কন্ট্রোল করতে না পারলে একটা দিন আমাকে দেন। আপনার ভাইকে ওই পিচঢালা রাস্তার ওপর দিয়ে ছেঁচড়িয়ে ছেঁচড়িয়ে আনবো। আপনার কারণে আমাদের অনেকের মুখ বন্ধ। আমার মুখ বন্ধ বিশেষ করে জননেত্রী শেখ হাসিনা ৪-৫ বার খবর পাঠিয়েছেন নানক ভাইয়ের মাধ্যমে। আমি যেন কোনো কথা না বলি। আজকে কথাগুলো বলছি যেহেতু হার্ট অপারেশন। বাঁচতেও পারি, মরেও যেতে পারি। কাদের মির্জাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি কাদের ভাইয়ের ছোট ভাই হয়ে আপনি আপনার বুকে হাত রেখে বলেন তো গত ১০-১৫ বছরে কত টাকা আমার কাছ থেকে নিয়েছেন? কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন। আর এখন সাধু বাবা সেজেছেন। এখন আপনি যেগুলো করে যাচ্ছেন কোম্পানীগঞ্জের মানুষ সারা জীবন আপনাকে ঘৃণা করবে। তিনি আরও বলেন, আপনি কথায় কথায় বলেন আমার ছেলের হাতে অস্ত্র। আমি ২৬টি খুন করেছি। একটি খুনের কথা বলেন তো কোথায় আমি খুন করেছি। আপনাদের পরিবার কী আপনি নিজেই বলেন, আপনার ভাগনেও বলেন- আপনারা রাজাকারের ফ্যামেলি।
আমি বলছি, এতে আপনার বড় ভাই আমাকে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে বাদ দিয়ে দিছে। কিন্তু ইতিহাস কি আপনারা বদলাতে পারবেন। এই যে আপনার বাবা তিনটা লোকরে যে স্কুলে মারলো- পাঞ্জাবীদের হাতে ধরা পড়ার পর। যখন বলছে, না এরা আমার স্কুলের না। তখন পাঞ্জাবীরা মুক্তিযুদ্ধে ট্রেনিং নেয়ার জন্য যাচ্ছিল। তাদের গুলি করে মেরে ফেললো। আপনি নিজেই তো বলছেন, আমার বাবা আমার চাচা উনারা রাজাকার ছিল। বড় বড় গাভী হিন্দুদের ঘর থেকে নিয়ে আসতো। এগুলো তো ফেসবুকে চলতেছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির উদ্দেশ্যে বলেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম একটা জালিমের থেকেও খারাপ। চল্লিশ বছর সে চরবাটাকে শাসন করেছে। কিন্তু কি দুঃশাসন করেছে সেটা আমি এমপি হওয়ার পর জেনেছি। কাদের সাহেবের বিরুদ্ধে আমি ২০০১ সালে ভোট করেছিলাম। ওই অবস্থান থেকে ২০০৮ সালে আমাকে দলে নেয়া হলো। ২০০৮ সালে এসে নোয়াখালী-৪ আসন থেকে ভোট করার ব্যবস্থা করে দেন কাদের ভাই। উনি মনে করেছিলেন- ওটাতো বিএনপি’র ঘাঁটি। একরাম জিতবে না। তখন অনেক বড় বড় নেতা আমাকে ইঙ্গিত-আকারে বলেছেন তাকে হারিয়ে দেয়ার জন্য। অনেক কষ্টে কাদের ভাই ১১শ’ ভোট নিয়ে জিতলেন।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |