বিডি দিনকাল ডেস্ক :- করোনা সংক্রামণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিকালে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘‘আজকে করোনা সংক্রামণ মারাত্মকভাবে, ভয়ংকরভাবে বাড়ছে। এটার যে…, গতকালই দেখলাম স্বাস্থ্য বিভাগ একটা ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে কিন্তু এটা বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের যে উদ্যোগ সেটা কখনোই লক্ষ্য করা যায়নি।”
‘‘ আজকে বাংলাদেশে সবসময় একটা মিথ্যা প্রচারনা করা হচ্ছে যে, এখানে খুব চমতকার ভাবে সরকার করোনা সমস্যাটাকে সমাধান করছে, তারা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেরেছে। কিন্তু ইট ইজ এ লায়িং। যেটা একেবারেই মিথ্যা কথা।”
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আমার যেটা আপত্তি, আজকে যে স্বাস্থ্য বিভাগ ১৮ দফা দিয়েছেন পালন করার জন্য। সরকারের উদ্যোগটা কোথায়? সেখানে একটা টোটাল হেলথ মিনিস্ট্রি থেকে শুধু না, সরকারের পক্ষ থেকে যে দৃশ্যমান একটা ক্যাম্পিং থাকবে, প্রচার থাকবে, উদ্যোগ থাকবে-সেটা কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘‘ তারা(সরকার) ফ্যাক্টসগুলোকে গোপন করছে, ডাটাগুলোকে গোপন করছে। এর আগে টেস্টই করেনি… যে করতে পেরেছে তার ওপর তারা নিদের্শনা দি্য়েছে। এখনো আপনার যে টেস্ট হচ্ছে তা খুবই কম।”
‘‘ আমি এর আগে বলেছি যে, আমার বাসার ছেলে সে গিয়েছিলো টেস্ট করতে, এক ঘন্টার মধ্যে বলেছে যে, টেস্ট হবে না, তার পরের দিন আসো। এভাবে টেস্টগুলো হচ্ছে না। শুধু ঢাকাতেই না সারা বাংলাদেশেই টেস্টেগুলো হচ্ছে না।আমরা মনে হয় তো ১০% ও টেস্ট হচ্ছে না, আ্মার ধারণা এটা। এই অবস্থার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী সরকার। তারা কখনোই এটাকে সঠিকভাবে উপলব্ধি করা বা সেটার জন্য একটা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করা এই কাজগুলো তারা করে নাই।”
করোনা সংক্রামণ থেকে রক্ষা মাস্ক পড়ার বিষয়ে প্রচারনার চালানোর প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল বলেন, ‘‘ এই যে, জনগনের এওয়ানেসের অভাব আমরা দেখতে পারছি-মাস্ক পড়ে না। কেনো পড়ে না? কারণ সরকার সেটা তাদেরকে বুঝাতে সক্ষম হননি।”
‘‘ যে ক্যাম্পিং করা দরকার, যে উদ্যোগটা নেয়া দরকার সেই উদ্যোগটা আসেনি সরকারের কাছ থেকে। যার ফলে সংক্রামণ মারাত্মকভাবে বাড়ছে।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘ এই যে, উতসব পালন করা যে, বিদেশী মেহমান-টেমানরা আসছেন। তার অনেক আগেই স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বলা হয়েছিলো যে, করোনা খুব মারাত্মকভাবে আসছে, অবিলম্বে আপনার বন্ধ করা দরকার। কারণ তারা উতসব পালন করার জন্য, বর্ষ পালন করার জন্য তখনও করেননি, এখনো তারা করেননি।”
‘‘ এখন যেহেতু উতসব শেষ হয়েছে, তাদের মহান অতিথিরা চলে গেছেন। এখন তারা এই বিষয়টা আবার আনছে সামনে।”
করোনা সংক্রামণ মোকাবিলায় জনগনের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা সরকারের নেই মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ এই সরকার তো নির্বাচিতই না। নির্বাচিত না হলে তো জনগনের প্রতি সেই সরকারের কোনো দায়বন্ধতা থাকতে পারে না। তাদের কোনো দায়বদ্ধতাই নাই। মানুষ মরলো কি বাঁচলে তাতে তাদের কিছু যায় আসে না।”
‘‘ তারা ক্ষমতায় থাকবে, লুট করবে এবং সেটা দিয়ে তারা সম্পদ গড়ে তুলবে। আজকে সেজন্য তারা বাংলাদেশকে সত্যিকথা বলতে কী- এখানে যেমন বর্গীরা আসতো, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যেমন বাংলাদেশে, ভারততে লুন্ঠন করেছে, পাকিস্তানিরা যেমন লুন্ঠন করেছে এরাও একই কায়দায় বাংলাদেশকে লুন্ঠন করছে বাংলাদেশকে। একটা গোষ্ঠি তারা বিত্তবান থেকে আরো বিত্তবান হচ্ছে। আর বেশিভাগ মানুষ গরীব থেকে আরো গরীব হচ্ছে।”
করোনা সংক্রামণ থেকে রক্ষায় দলের স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীর কর্মসূচি স্থগিত করার কথা পুনরুল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘ আমরা আমাদের স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীর কর্মসূচি স্থগিত করেছি। আমরা রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে বাধ্য হয়েছি যখন তারা(সরকার ও ক্ষমতাসীন দল) আমাদের জনগনের রপর এভাবে আক্রমণ করেছে, হামলা করেছে তার জন্য। পরবর্তি সিদ্ধান্ত আমরা আমাদের দলের মিটিং করে আপনাদের জানাবো।”
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু ও চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:22 AM |
Sunrise | 6:42 AM |
Zuhr | 12:04 PM |
Asr | 3:06 PM |
Magrib | 5:27 PM |
Isha | 6:47 PM |