আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:৫১
মোঃ রফিকুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : -কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী নুর হোসেন তাজেল এর ভাই কালো টাকার মালিক এরশাদুল হক এর করা হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় পুলিশি তদন্ত ছাড়াই ইউপি সদস্য সহ নিরীহ মানুষকে গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে ২২ নভেম্বর কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সৈয়দ শামসুল হক হলরুমে সকালে সংবাদ সম্মেলন করেছে গোয়াইলপুরী ও কালির আলগা এলাকাবাসী।
কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সৈয়দ শামসুল হক হল রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- রায়হান মিয়া, জয়নাল আবেদীন, রশিদ সরকার ও শ্রী সুনিল চন্দ্র। এসময় প্রায় অর্ধশত এলাকাবাসী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসী জানায়, গত ৮ নভেম্বর কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী নূর হোসেন তাজেল এর ভাই এরশাদুল হকের করা হয়রানিমূলক মামলায় পুলিশী তদন্ত ছাড়াই মামলা করার ২ ঘন্টার মধ্যে রহস্যজনক কারণে ইউপি সদস্য আনোয়ারহোসেন সহ এলাকার নিরীহ মানুষকে হয়রানিমূলক ভাবে গণগ্রেফতার করা হয়। কিছু অসাধু পুলিশের এই বিতর্কিত কর্মকান্ডের প্রেক্ষিতে গোয়াইলপুরী বাজারে আমরা এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৯ নভেম্বর মাদক ব্যবসায়ী নূর হোসেন তাজেল এর ছোট ভাই এরশাদুল হক, মাদক ব্যবসায়ী আল আমিন, মাদক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম মন্ডলের পিতা আব্দুর রশিদ মন্ডল ও মাদক ব্যবসায়ী তাজেল এর ভাই নূর আলম সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী ইস্যু বানিয়ে নিরাপরাধ ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন এবং এলাকাবাসীকে সন্ত্রাসী গ্রæপ আখ্যা দিয়ে হামলা, হত্যার হুমকি এবং নিজেরাবাড়িঘর ভাংচুর করে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করে। মূলতঃ উপরোক্ত চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেয়ায় তারা এই ঘটনার নাটক সাজায়। যা সমাজের দর্পণ সাংবাদিকবৃন্দ সরেজমিনে তদন্ত করলে মূল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
সম্প্রতি দেশে মাদক বিরোধী র্যাবের অভিযানের সময় আত্মগোপনে চলে যায় এই মাদক স¤্রাট ও তার বাহিনী। কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকতার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় সে এখন বেপরোয়া। কেউ তার মাদক ব্যবসায় বাঁধা দিলেই মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয় সে। এরই অংশ হিসেবে তার ভাই এরশাদুল হককে বাদী সাজিয়ে মামলা করেন মাদক স¤্রাট তাজেল। যে মামলায় এলাকার আনোয়ার মেম্বার সহ ২১ জনকে আসামী করা হয়। চরাঞ্চলের মাদকের গডফাদার নুর হোসেন তাজেল ও আল-আমিনকে দ্রæত গ্রেফতার না করলে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে পতিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসী আরোও অভিযোগ করে জানায়, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী নুর হোসেন তাজেল এর ছোট ভাই এরশাদুল হকের জন্মস্থান কালির আলগা মন্ডলপাড়ায় বসবাস না করলেও কুড়িগ্রাম সদর থানায় সাজানো মিথ্যা মামলায় বাদী হন। যেখানে তিনি উল্লেখ করেন- তার ভাই নুর আলমের মেসার্স ভাই ভাই ডেইরী ফার্মের ৮টি গরু বিক্রয় করার কথা বলেছেন। সত্যিকার অর্থে চরে তিনি কিংবা তার ভাইয়ের নামে কোন গরুর খামার নাই। অথচ গরু বিক্রির টাকা চাঁদাবাজি করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মিথ্যা মামলার নাটক সাজিয়েছেন। সাংবাদিকরা ঐ গ্রামে তদন্ত করলে আসল ঘটনা উদ্ঘাটিত হবে।
তারা আরোও জানায়, মাদক ব্যবসায়ী নুর হোসেন তাজেল এর বড় ভাই নুর ইসলাম রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের অফিস সহকারী এবং আরেক ভাই চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী শাহ আলম কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত হতে বদলীকৃত বর্তমান রংপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কর্মরত। তাদের দাপটে ভাই নুর হোসেন তাজেল ও আল-আমিন সহ এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া। তারা মাদক ব্যবসায় গ্রেফতার হলেও তাদের ভাইয়েরা জামিনে মুক্ত করেন। এছাড়া তাজেল এর দুই ভাই সরকারি চাকুরীজীবী। তারা অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে যাত্রাপুর, কুড়িগ্রাম ও রংপুরে নামে-বেনামে বহুতল ভবন নির্মাণ এবং জমি ক্রয় করেছেন। মাদকের কালো টাকায় তারা অল্প কিছু দিনে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। অথচ তাদের পিতা সোনা মিয়া সরকার ওরফে সোনা মাঝি মানুষের নৌকার মাঝি ছিল। বিভিন্ন লোকজনের নিকট সাহায্য নিয়ে সন্তান নুর ইসলাম এবং শাহ আলমকে পড়ালেখা করাতেন। অভাবী মানুষগুলোর রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার গল্প আলিফ লায়লার আলাদিনের চেরাগ পাওয়ার মত। তাই সাংবাদিকদের মাধ্যমে এসব দূর্নীতিবাজ কালো টাকার মালিকদের আয়ের উৎস কি তা মিডিয়ার মাধ্যমে উন্মোচিত করার দাবি জানায় তারা।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |