আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৬:২২
কুমিল্লা: কুমিল্লার দেবিদ্বারে সিজিরিয়ান অস্ত্রোপচারের সময় পেটে গজ রেখে দেওয়ার পাঁচ মাস পর তা বের করা হলেও বাঁচানো গেল না সেই প্রসূতিকে। মঙ্গলবার রাতে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় শারমিন আক্তার (২৫) নামে ওই নারীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বুধবার রাতে তিন চিকিৎসকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই নারীর বাবা।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত বছরের ৫ নভেম্বর দেবিদ্বার উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের স্কুলশিক্ষক মোবারক হোসেনের মেয়ে শারমিন আক্তারকে দেবিদ্বার আল ইসলাম হাসপাতালে সিজিরিয়ান অস্ত্রোপচার করেন ওই হাসপাতালের খণ্ডকালীন চিকিৎসক ডা. রোজিনা আক্তার ও তার সহযোগী ডা. শামীমা আক্তার লিন্টাসহ অন্যরা। গত ৯ নভেম্বর তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়।
শারমিনের বড় ভাই রুহুল আমিন জানান, হাসপাতাল থেকে তার বোনকে বাড়ি আনার পর প্রচণ্ড ব্যথা হলে কুমিল্লা ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। কোথাও তার তার রোগ নির্ণয় হয়নি। অবশেষে ৬ এপ্রিল ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট জেনারেল হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে তার পেট থেকে গজ বের করা হয়। এই গজটি সিজারিয়ান অপারেশনের সময় তার পেটে রেখে দেওয়ায় তার ব্যথা হচ্ছিল। এরপর ১০ এপ্রিল তাকে ঢাকার একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে আইসিইউতে ও পরে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে এ ঘটনায় করা মামলায় অভিযুক্তরা হচ্ছেন অস্ত্রোপচারকারী সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রোজিনা আক্তার, ওই প্রাইভেট হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীমা আক্তার লিন্টা, অ্যানেস্থেশিয়া চিকিৎসক মেহেদুল হাসান পারভেজ, হাসপাতালের চেয়ারম্যান নজির আহমেদ ও গ্রাম্য চিকিৎসক সফিকুর রহমান। ওই প্রসূতির স্বামী মুরাদনগর উপজেলার মোগসাইর গ্রামের রাসেল মিয়া জানান, ভুল চিকিৎসায় আমার স্ত্রীকে হারাতে হলো। এখন আমার দুই সন্তানকে কে দেখবে।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |