আজ মঙ্গলবার | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১২:৩৯
মোঃ রফিকুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি :- কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলাধীন ৮ নং বলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির সচিত্র তুলে ধরে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছে ৮ নং বলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের এলাকাবাসির পক্ষে ইউপি সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম রাজ্জাক।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ইউপি আইন ২০০৯ এর ৩৪ ধারায় ৪ উপধারায় বলা হয়েছে বার্ষিক ১২টি সভার স্থলে কমপক্ষে ৯টি সভা (গ্রহণযোগ্য কারণ ব্যতীরিকে) করতে হবে এবং সভার হাজিরা বহি থাকতে হবে। সভা করার কথা থাকলেও তার কোনটিই নিয়মিত হয়নি।
চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদ কমিটিতে সদস্যদের মূল্যায়ন ব্যতীরিকে ইচ্ছামত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আসছেন।
ভিজিডি চক্র ২০২১-২০২২ তে ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার এর স্ত্রী সাহিদা বেগমের নামে ভিজিডি কার্ড প্রদান করা হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে কোন ব্যক্তির নাম অন্তুর্ভূক্ত থাকলে ভিজিডিতে ঐ ব্যক্তি অন্তর্ভূক্ত হতে পারবেন না, কিন্তু তিনি তা করেছেন।
অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচিতে ভূয়া নামসংযুক্ত করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
প্রাকৃতিক দূযোর্গ করোনার ২য় ঢেউয়ে জিআর ৪০০ এবং ভিজিএফ ৪৫০ বলদিয়া ইউনিয়নে শুধু মহিলাদের নাম অন্তর্ভূক্ত করে বিতরণ করেন। কিন্তু পুরুষদের নাম অন্তুর্ভূক্ত করলেও ঐ টাকা বিতরণ করেন নাই।
ইউনিয়ন পরিষদ হতে আয়- জন্ম নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স, কর ইত্যাদি ফিস আলাদা আলাদা করে উত্তোলনের কথা থাকলেও তার কোনটিই তিনি করেন না। ইউনিয়ন পরিষদ হইতে আদায়কৃত অর্থ প্রতিমাসে ব্যাংকে জমা দিয়ে রশিদ সংগ্রহ করার কথা ইউপি আইনে থাকলেও তিনি তা করেন না। এছাড়াও ৫ হাজার টাকার বেশী তিনি হস্তমজুদ করিতে পারিবেন না, কিন্তু তার কাছে সকল টাকা হস্তে মজুদ থাকে। উক্ত আয় হতে দায়যুক্ত ব্যয়- ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার কথা থাকলেও তা তিনি পরিশোধ করেন নাই।
গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য সরকার হইতে টিআর, কাবিখা, কাবিটা এবং এলজিএসপি বরাদ্দ অর্থ দ্বারা যথাযথ নিয়মে সঠিক ভাবে কাজ সম্পন্ন করেন নাই। বিগত ২০২০-২০২১অর্থ বছরে প্রথম পর্যায়ে ৮নং বলদিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সতিপুরী মৌজার সফি আলমের বাড়ী হতে কাদেরের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা মেরামত ও খাল ভরাট করণ প্রকল্পে ৪ লক্ষ ৫ হাজার ৫শত টাকা বরাদ্দ ছিল। প্রকল্প সভাপতি ছিলেন অত্র ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা শ্রীমতি বীণা রানী (ওয়ার্ড নং-৭,৮,৯) উক্ত কাজটি ১০% করে বাকী টাকা চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় আত্মসাৎ করেন। এইমর্মে ঐ ওয়ার্ডের এলাকাবাসীর পক্ষে সফি আলম, আঃ কাদের, আমির আলী ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকল্প কমিটির সভাপতি বীণা রানীকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বীণা রানী সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে উক্ত প্রকল্পের কাগজপত্রাদি পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শুধু আদেনটির রিসিভ কপি দেন কিন্তু কোন কাগজপত্রাদি দেননি। বীণা রানী জানায় , “আমি প্রকল্প সম্পর্কে কিছুই জানিনা। প্রকল্পের সরেজমিনে কোনদিন যাই নাই। চেয়ারম্যান সাহেব আমার নামে প্রকল্প দিয়ে নিজে আত্মসাৎ করেছেন।” এলাকাবাসীর পক্ষে আবেদনকারীগণও প্রকাশ করেন যে, একাজ টি চেয়ারম্যান নিজেই করেছেন ড্রেজার দিয়ে মাত্র ২৮,০০০/- টাকার মাটির কাজ করেছেন। এলাকাটি বন্যাদূর্গত এলাকা বাকী কাজগুলো সম্পন্ন না করায় এলাকা বাসী তাদের ঘর বাড়ি নিয়ে চরম আতংকিত এবং চলাফেরায় চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। গত ০১/০৬/২০২১ তারিখে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগের প্রেক্ষিতে । জেলা প্রশাসক বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর তদন্ত সাপেক্ষে ১০ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হবে বললে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবার সহকারী কমিশনার ভূমি ভূরুঙ্গামারীকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে দিতে বলে। গত ২৫/০৫/২০২১ইং তারিখে শোনানী হয়। সকল বিষয়াদি সহকারী কমিশনার ভূমি, ভূরুঙ্গামারীর উপজেলার কাছে বিচারাধীন আছে। বিষয়গুলো জনগণের জ্ঞাতার্থে প্রকাশ করা এবং দ্রত আইনী ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসির পক্ষে ইউপি সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম রাজ্জাক।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |