আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৭:২৭
মোঃ রফিকুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ-কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের সোবনদহ এলাকার বাসিন্দা হরেন্দ্র (৫৭) এর ষোড়সী কুমারী কন্যাকে ধর্ষণ করেছে রাজারহাট উপজেলার ফরকেরহাট বালাকান্দি এলাকার লুৎফর রহমানের পুত্র মাহফুজুর রহমান (৩৮)। এ ঘটনায় কুড়িগ্রাম সদর থানায় ২১/০৮/২০২০ইং তারিখে একটি ধর্ষণ মামলা রেকর্ড ভুক্ত হয়। যার মামলা নং- ১৪।
থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের সোবনদহ এলাকার বাসিন্দা হরেন্দ্র (৫৭) এর ষোড়সী কুমারী কন্যা ঘোগাদহ মালেকা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। ধর্ষক রাজারহাট উপজেলার ফরকেরহাট বালাকান্দি এলাকার লুৎফর রহমানের পুত্র মাহফুজুর রহমান (৩৮) শিলা চুলা ঘর নামক সমিতির পরিচালক। শাপলা চত্ত¡র এলাকায় উক্ত সমিতির অফিস রয়েছে। যেখান হতে আসামী বিভিন্ন ফার্নিচার কিস্তিতে বিক্রি করে। মামলার বাদী হরেন্দ্র উক্ত সমিতি হতে কিস্তিতে একটি শো-কেস ক্রয় করে। ধর্ষক মাহফুজুর রহমান শো-কেসের কিস্তির টাকা উত্তোলনের জন্য প্রায় সময় বাদীর বাড়িতে যাতায়াত করত। বাদীর ছেলে সুনিল দাস গত প্রায় ১ বছর পূর্বে নিখোঁজ হয়। ধর্ষক মাহফুজুর রহমান এ মামলার বাদীর ছেলের সন্ধান করে দেয়ার প্রস্তুতি দিয়ে বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে। হরেন্দ্রের ষোড়সী কন্যাকে বোন হিসেবে আখ্যায়িত করে লেখা পড়ার জন্য বই, খাতা, কলম, কাপড় ক্রয় করে দেয়া সহ নানা ধরণের প্রলোভন দিয়ে আসতে থাকে। গত ৩০/০৭/২০২০ইং দুপুর ১ ঘটিকার সময় ধর্ষক মাহফুজুর রহমান হরেন্দ্রের বসত বাড়িতে উপস্থিত হয় এবং বাড়িতে বাদীর ষোড়সী কন্যা ছাড়া অন্য কেহ না থাকার সুবাদে বসত বাড়ির দক্ষিণ দুয়ারী চৌচালা টিনের স্বয়ং ঘরে মেয়েটিকে দেখতে পেয়ে উক্ত ঘরের ভিতর প্রবেশ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। এ সময় বাদীর ষোড়সী কন্যা মামলার আসামী মাহফুজুর রহমানকে ঘরের দরজা লাগানোর কারণ জিজ্ঞাসাবাদে আসামী কোন উত্তর না দিয়ে ষোড়সী মেয়েটিকে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে যৌন মিলন করতে বলে। মেয়েটি আসামীর সহিত যৌন মিলনে রাজি না হলে আসামী মেয়েটিকে নানা ধরণের ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়ে তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ অন্তে আসামী বিষয়টি গোপন রাখার জন্য নানা ধরণের প্রলোভন দেখিয়ে চলে আসে। ধর্ষিতা ঘটনার সমস্ত বিষয় বস্তু পরবর্তীতে তার পরিবারের লোকজনকে জানায়। ধর্ষক বিষয়টি বুঝতে পেয়ে ধর্ষিতার বড় ধরণের ক্ষতি সাধনের পায়তারা করতে থাকে। ষোড়সী মেয়েটি তার বাড়িতে থাকা ত্রিনাথ মন্দিরে প্রতিনিয়ত ভোর সাড়ে ৪ ঘটিকার সময় পূর্জা অর্চনা করে। গত ০৪/০৮/২০২০ইং তারিখে ভোর অনুমান সাড়ে ৪ ঘটিকার সময় ধর্ষক একটি মোটর সাইকেল নিয়ে ধর্ষিতার বাড়ির ভিতর আঙ্গিনায় আসে। আসামী মেয়েটিকে নানা রকম প্রলোভন প্রস্তাব দেয়। পরিকল্পনা মোতাবেক মেয়েটিকে ফুসলিয়ে ধর্ষক মাহফুজুর রহমান তার সাথে মেয়েটিকে নিয়ে যায়। মেয়েটির পরিবারের লোকজন মানসম্মান ও ইজ্জতের ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখে। গত ১০/০৮/২০২০ইং তারিখ বিকাল ৪ ঘটিকায় ষোড়সী মেয়েটি তার বাড়িতে ফিরে আসে। অতপর মেয়েটির মুখ থেকে বিস্তারিত ঘটনাটি তার পরিবারের লোকজন অবগত হয়। এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা নিজে বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় গত ২১/০৮/২০২০ইং তারিখ একটি মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় ধর্ষক মাহফুজুর রহমানকে ইতোমধ্যে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এ মামলায় অপর আসামী হলেন- ফরকেরহাট বালাকান্দি এলাকার আকবর আলীর পুত্র রাজা মিয়া (৩৮)। ধর্ষণ মামলায় ধর্ষক মাহফুজুর রহমান জেলে আটক থাকলেও নানা ভাবে মামলার বাদী হরেন্দ্রকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য অব্যাহত ভাবে হুমকি প্রদর্শন করা হচ্ছে মর্মে জানানো হয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদরের পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস পাড়া এলাকার বাসিন্দা আমজাদ চশমা ঘরের মালিক মোঃ আমজাদ হোসেন জানায়, শিলা চুলা ঘর নামক সমিতির পরিচালক মাহফুজুর রহমান (৩৮) এলাকায় একজন চিহ্নিত প্রতারক হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারী থেকে শুরু করে চেক জালিয়াতি ও প্রতারণার নানা অভিযোগ রয়েছে। সে তার প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন মেয়েদের চাকুরী দিয়ে নানা ভাবে জিম্মি করে তাদের ভোগ করে আসছে। সম্প্রতি মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হওয়ায় এবং পুলিশ প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মাহফুজুর রহমানকে গ্রেফতার করায় পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্তা বেড়েছে বলে তিনি জানান।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |