- প্রচ্ছদ
-
- কুমিল্লা
- কুয়েতের জেলে আটক থাকা পাপুলের আরেক ভিসা ব্যবসায়ী চৌদ্দগ্রামের একসময়ের হতদরিদ্র বারেক কোটিপতি !
কুয়েতের জেলে আটক থাকা পাপুলের আরেক ভিসা ব্যবসায়ী চৌদ্দগ্রামের একসময়ের হতদরিদ্র বারেক কোটিপতি !
গডফাদার পাপুল জেলে গেলেও কুয়েতে এখনো তার অনেক শিষ্য রয়ে গিয়েছে বহাল তবিয়তে
প্রকাশ: ৮ জুলাই, ২০২১ ৮:১৯ পূর্বাহ্ণ
চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি ঃ- কুয়েতে ভিসা জালিয়াতি ও মানব পাচার করে রিক্সা চালক থেকে শত কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া আব্দুল বারেক এর গ্রামের বাড়ি সাতঘড়িয়া, পোস্ট অফিস মিয়াবাজার, থানা চৌদ্দগ্রাম, জেলা কুমিল্লা। জানা গেছে আব্দুল বারেক কে ২০১৯ সালে ২৩ সেপ্টেম্বর, ভিসা জালিয়াতির মামলায় তিন বছর জেল এবং ৩ হাজার কুয়েতি দিনার জরিমানা করেন কুয়েত ক্রিমিনাল কোর্ট। প্রতারণার শিকার এইসব বাংলাদেশিরা ভিসা আকামা ও কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কিন্তু বারেক ও তার সহযোগীরা আরাম আয়েসে আছে। সব কিছুর ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে এই ধুরন্দর আব্দুল বারেক ।
কুয়েতের একটি কনস্ট্রাকশন বিল্ডিং থেকে কিছু সংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিককে কুয়েত পুলিশ আটক করার পর এসব ভিসা জালিয়াতির দালালদের প্রতারণার ঘটনা উন্মোচিত হয়। দৈনিক আরব টাইমস প্রতিকার প্রতিবেদনে জানা যায়। দেশটির জনশক্তি মন্ত্রণালয় তদন্ত করে দালালদের প্রতারণা প্রমাণ পাওয়ায়, ৪ শত ভিসা ও ২ হাজার ৫০০ দিনার করে বিক্রির দায়ে একজন স্থানীয় নাগরিক ও একজন মিশরী নাগরিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এবং বাংলাদেশি আব্দুল বারেক, নোয়াখালী সেনবাগের তাইজুল ইসলাম, নরসিংদী সদরের আমির হোসেন ওরফে সিরাজকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা প্রধান করেন।
বারেকের অন্যতম সহযোগী এক পাকিস্তানী নাগরিক অবস্থার বেগতিক দেখে সেই সময় কুয়েত থেকে পালিয়ে যায় ।ওই পাকিস্তান নাগরিকের সাজা হয় কুয়েতের আদালতে ।
কিন্তু বাংলাদেশি আব্দুল বারেক জামিনে বের হয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশে চলে আসে। সাম্প্রতিক সময়ে ভিসা জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলায় কুয়েতের কারাগারে সাজা ভোগ করছেন বাংলাদেশি এমপি পাপুল তার সাথেও আব্দুল বারেক এর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে জানা গেছে। ভিসা জালিয়াতি ও প্রতারণা থেকে কুয়েতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে এইসব প্রতারকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন প্রবাসী শ্রমিকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানিয়েছেন আব্দুল বারেক দেশে এসেও বিভিন্ন ভাবে টাকার অভাব দেখিয়ে অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। এবং তার গ্রামে দুইটি বাড়ি ,ঢাকা বনশ্রীতে একটি বাড়ি ও একাধিক গাড়ি আছে বলেও জানিয়েছেন কয়েকজন অভিযোগকারী।কুমিল্লা শহরেও রয়েছে তার অট্রালিকা বাড়ি । যে বাড়ি নিয়ে তার সন্তানের সাথেও দ্বন্দ্ব হয় ।একপর্যায়ে কুমিল্লা কোর্টে বারেক শারীরিক ভাবে নাজেহাল হয় তার সন্তানের হাতে ।
এদিকে বন্দর নগরী চট্রগ্রামেও রয়েছে নিজস্য গার্মেন্টস ফেক্টরি।একেই সাথে নাম বেনামে রয়েছে অঢেল সম্পত্তি ।মূলত এই সব সম্পত্তি সবাই মানবপাচারের আয়থেকে । তার এই সব অর্থের উৎস কোথায় থেকে দুদক অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসবে এমনটা আসা করছেন এলাকার জনগণ সহ ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীরা ।
বিভিন্ন সূত্র থেকে যানাযায়, বারেকদের শেল্টারদাতা বলাচলে গডফাদার পাপুল জেলে গেলেও কুয়েতে এখনো তার অনেক শিষ্য রয়ে গিয়েছে বহাল তবিয়তে । কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ইচ্ছে করলে কুয়েত সরকারের সহযোগিতায় এদেরকে চিহ্নিত করে দেশে পাঠিয়ে বিচারের সম্মুখীন কোরতে পারে ।
অন্যদিকে বাংলাদেশের সিআইডি নরসিংদীর সিরাজ সহ বারেককে গ্রেফতার করে ভিসা ব্যবসা এবং শ্রমিক প্রতারণার কারণে । সিরাজ জেল খাটলেও বারেক ঠিকেই নানা প্রভাব খাটিয়ে মুক্তি পেয়ে যায় ।
Please follow and like us:
20 20