আজ শনিবার | ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৪:৩৯
বিশেষ প্রতিনিধি কুয়েত :- চর দখলের মতো করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কুয়েত শাখা নিয়ে চলছে যার যার মতো করে কর্মকান্ড । সকল নিয়ম কানুনকে দূরে ঠেলে দিয়ে অসাংগঠনিক উপায়ে কিভাবে কুয়েত বিএনপি বেদখল করা যায় তার মহড়া চলছে প্রায় কয়েক মাস ধরে । যার বহির্প্রকাশ ঘটে গত দুই সপ্তাহ ধরে ।
সম্প্রতি বিএনপি কুয়েত শাখার সাবেক সদস্য সচিব মো: শওকত আলীর নেতৃত্বে একটি অংশ নির্বাচিত সভাপতি মাহফুজুর রহমান মাহফুজের বিরুদ্ধে অনাস্থা আন্তে বিভিন্ন প্রদেশ ও সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের কাছে গিয়ে নানা বাহানায় সাক্ষর নেয়ার অপতৎপরতা চালায় । যা নিয়ে কুয়েত বিএনপির তৃনমুলের নেতা কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে । কিন্ত মুখপুটে তৃনমুলের কেউ ভয়ে কোনো কথা বলছে না । কিন্তু নিজেদের মতো করে ঠিকেই সবক আলীর অনৈতিক কর্মকান্ডের ব্যাপক সমালোচনা করছে তৃনমুলের নেতা কর্মীরা সহ বিভিন্ন প্রদেশ ও সাবেক আহ্বায়ক কমিটির বেশির ভাগ নেতা কর্মীরা।
গত ২৯ আগস্ট হাওয়াল্লীর একটি স্থানে সাবেক সদস্য সচিব নিজের ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে বর্তমান নির্বাচিত সুপার ফাইভ (৫) এর সাধার সম্পাদক আবুল হাসেম এনাম ,যুগ্ম সম্পাদক আজিজ উদ্দিন মিন্টু কে সাথে নিয়ে এবং তাদের সমর্থক অন্য কয়েকজন নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। যেই বৈঠকে কয়েকজন সদস্য তাদের এই বৈঠককে একটি অগণতান্ত্রিক ও অসাংগঠনিক আখ্যা দিয়ে বক্তব্য রাখেন ।সেই সাথে কোনো পোকার সাংগঠনিক আলোচনা ছাড়া জোরপূর্বক ভাবে সদস্যদের কাছ থেকে সাক্ষর নেয়াকেও কেন অবৈধ বলা যাবেনা তার ও বেখ্যা চান কয়েকজন সদস্য ।
এদিকে নির্বাচিত সভাপতি’র কয়েকজন সমর্থক প্রশ্ন তুলে বলেছেন ,কুয়েত বিএনপি নিয়ে যা হচ্ছে তা মোটেও ভালোর দিকে যাচ্ছে না ।অনেক চড়াই উৎরাই পার করে কুয়েত বিএনপিকে একটি নিয়মের ভিতর নিয়ে এনেছেন তারেক রহমানের আস্থাভাজন মধ্যপ্রাচ্য বিএনপির সাংগঠনিক সমন্বয়ক আহম্মেদ আলী মুকিব । সেই সাথে কেন্দ্র ঘোষিত একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচনী আহ্বায়ক কমিটির সহযোগিতায় প্রায় ৭৪ জন কাউন্সিলরের ভোটার মাধ্যমে ৫ জন নেতা নির্বাচিত হয়েছে । এই নির্বাচনের ফলাফল সিটে নির্বাচনিক নির্বাচন কমিটিরদায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাক্ষরও রয়েছে । আর এই নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবাহকের দায়িত্বে ছিলেন সাবেক সদস্য সচিব মো:শওকত আলী ।এখন বিভিন্ন পাচার প্রচারণায় নিজেকে সাবেক সদস্য সচিব উল্লেখ না করে সরা সরি সদস্য সচিব পরিচয় দিচ্ছেন যা নেতা কর্মীদের মাঝে দ্বিধা দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হচ্ছে । যদি কোনো কারণে বর্তমান কমিটি আলোর মুখ না দেখে তা হলে এর দায় দায়িত্ব শওকত আলীকেই বহন করতে হবে বলে বলছেন অনেক দায়িত্ববান নেতা কর্মীরা । শওকত আলীর এই কর্ম কান্ড সম্পূর্ণ ভাবে সংগঠন বিরোধী । এই ধরণের কর্ম কাণ্ডের জন্য শওকত আলীর শাস্তি দাবি করছেন তৃনমুলের অনেক নেতা কর্মীরা সহ মাহফুজের অনুসারীরা ।
শওকত আলীর বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ তুলে অনেকেই বলেছেন,কুয়েতে বিএনপির জন্য শওকত আলীর কোনো ভূমিকা কোনো কালেও ছিলোনা । কখনো কুয়েত বিএনপির সাথে যে সম্পৃক্ত ছিলো এমন কোনো নজির নাই । যখন আহম্মেদ আলী মুকিব সাংগঠনিক দায়িত্ব নিয়ে কুয়েতে আসেন তখন এই শওকত আলীর সাথে পরিচয় হয় । আহম্মেদ আলী মুকিব এর বাড়ি সিলেটের হওয়ার সুবাদে শওকত আলীর নেতৃত্বে ২০১৮ সালে কুয়েতে “বৃহত্তর সিলেট জাতীয়তাবাদী ফোরাম গঠন” করে তার ঘনিষ্ঠ হয়ে যান শওকত আলী । সেই থেকে তিনি বিভিন্ন নেতা কর্মীদেরকে আহম্মেদ আলী মুকিবের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে শুরু করেন । আর এর সুবাদেই একজন কুয়েত বিএনপির নেতা কিংবা কর্মী না হওয়ার কোনো যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও কুয়েত বিএনপির মতো একটি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব নির্বাচিত হয়ে যান শওকত আলী। সেই থেকে তিনি নিজেকে অপ্রতিরুদ্ধ একজন নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে সাচ্ছন্দ ভোদ করেন কোনো নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে । এই নিয়ে নেতা কর্মীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে ।শওকত আলীই বা কিভাবে এই ধরণের কর্মকান্ড করতে সাহস পান ?এর সাথে তৃতীয় একটি পক্ষ জড়িত রয়েছে যারা নতুন করে ক্ষমতার লোভ দেখছে ,এমন প্রশ্ন তুলেছে ওই সব নেতা কর্মীরা ।
এই অবস্থায় কুয়েত বিএনপির মূল চালিকা শক্তি কার হাতে তাই নিয়ে ব্যাপক প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে । এই অবস্থায় বিএনপি কুয়েত শাখার সর্বস্তরের নেতা কর্মীদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে ।যেই কোনো সময় অনাখাঙ্কিত ঘটনা ঘটে যেতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করছেন কুয়েত বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত নেতা কর্মীরা ।আর এতে তৃতীয় পক্ষ একটি ক্ষমতা লোভীরা যে বসে নেই সেই কথাটা স্মরণ করে দিলেন এই সকল সাধারণ নেতা কর্মীরা ।
অন্যদিকে অন্যদিকে গত ১ জানুয়ারির শুক্রবার ২০২১ ইং নির্বাচন হওয়ার পর এই নেতারা নির্বাচত হয় প্রায় ৭৪ জন ভোটারের ভোটের মাধ্যমে। এর আগে দীর্ঘ দিনের ত্রিধা বিভক্ত কুয়েত বিএনপির ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট্য কমিটি ঢাকা থেকে ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি অনুমোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর । এই অনুমোধনের পর থেকে প্রায় এক বছর লেগে যায় একটি নির্বাচনের আয়োজন করতে । এর আগে বিএনপির মধপ্রাচ্য সাংগঠিক সমন্বয়ক ও সৌদি আরব বিএনপির (প:) শাখার বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক আহম্মেদ আলী মুকিব ওই ত্রিধা বিভক্ত বিএনপির নেতৃবৃন্দদের সাথে বসে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব নির্বাচিত করেন সকলের মতা মতের ভিত্তিতে ।
অন্যদিকে কেন্দ্র থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব দপ্তরের দায়িত্বরত রুহুল কবির রিজভী আহম্মেদ স্বাক্ষরিত একটি চিঠিও দেয়া হয় আহম্মেদ আলী মুকিবকে কুয়েত বিএনপির একটি গ্রহণযোগ্য আহ্বায়ক কমিটি গঠনের জন্য গত ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর ।
Dhaka, Bangladesh শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:19 AM |
Sunrise | 6:39 AM |
Zuhr | 12:00 PM |
Asr | 3:01 PM |
Magrib | 5:21 PM |
Isha | 6:41 PM |