আজ শনিবার | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | দুপুর ২:৪০
বিশেষ প্রতিনিধি ঃ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক রফিকুল আলম মজনু বলেছেন, খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা, রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে জনবিচ্ছিন্ন সরকার ভয় পায়। এ জন্যই তার ওপর এত জুলুম নির্যাতন নেমে এসেছে। তিনি বাংলাদেশের মানুষের সাহসের বাতিঘর। স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্রের ঐক্যের প্রতীক। চলমান গণ-আন্দোলন সফল করে তার লালিত স্বপ্ন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সম্মিলিত সংগ্রাম চলছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই ) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক রফিকুল আলম মজনু এ কথা বলেন।
মজনু বলেন, ২০১৮ সালের প্রতিহিংসাপরায়ণ আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি সাজা দিয়ে অন্যায়ভাবে আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠায়। শুধু ফরমায়েশি সাজা দিয়ে তাকে আটক রাখা হয় নাই, তার প্রাপ্য জামিনের অধিকার কেড়ে নিয়ে ২৫ মাস অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দী রেখেছিল। কারাগারে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শর্ত সাপেক্ষে সরকার তার সাজা ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে তাকে প্রকারান্তরে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকেরা তাকে বিদেশে উন্নত বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানোর সুপারিশ করলেও, সরকার তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেয় নাই।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জনগণের কল্যাণে, অধিকার আদায়ে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নিরন্তরভাবে লড়াই করে চলেছেন। তার আপসহীন নেতৃত্বের কারণেই ’৯০ দশকে স্বৈরাচারের পতন হয় এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের নবযাত্রা শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে জনগণের বিপুল রায়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে তিনি স্বৈরাচারের ধ্বংস স্তূপের ওপর আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের যাত্রা শুরু করেছিলেন।
দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক মজনু বলেন, সরকার খালেদা জিয়াকে বন্দী করার পর দেশের গণতন্ত্রকে বন্দী করে রেখেছে। আজকে দেশের জনগণের কাছে খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র আজ যেন সমার্থক। বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি হলে গণতন্ত্রের মুক্তি হবে। তাই জনগণ আজ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামে অবতীর্ণ। এর অংশ হিসেবে ইতিমধ্যেই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপিকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে যাতে জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফলে এই তাবেদার সরকারে হটিয়ে আমরা জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারি। তিনি আরও বলেন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেই দেশের গণতন্ত্র অচিরেই প্রতিষ্ঠা করা হবে।
সঞ্চালকের বক্তব্যে হত্যা, গুম, খুন, মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার ও ব্যাপক দমন-নিপীড়ন চালিয়ে, মানবাধিকার হরণ করেও ফ্যাসিস্ট সরকার আন্দোলন দমন করতে পারছে না। সকল বাধা অতিক্রম করে আন্দোলন এগিয়ে চলছে দ্রুত গতিতে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির শিগগিরই গণবিরোধী সরকারের পতনের জন্য রাজপথ দখল করে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার লালিত স্বপ্ন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হবে ইনশাআল্লাহ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ইউনুস মৃধা, আলহাজ্ব মোশাররফ হোসেন খোকন, আব্দুস সাত্তার, হারুন উর রশিদ, লিটন মাহমুদ, সিকান্দার কাদির, হাজী মনির হোসেন,সাবেক সদস্য ও দপ্তরের দায়িত্বে সাইদুর রহমান মিন্টু, ফরিদউদ্দিন, গোলাম হোসেন, এ্যাড.ফারুকুল ইসলাম, মকবুল ইসলাম টিপু, এম এ হান্নান, আনোয়ার পারভেজ বাদল, লতিফুল্লাহ জাফরু, এড.মকবুল হোসেন, শেখ মোহাম্মদ আলী চায়না, জামিলুর রহমান নয়ন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, শামসুল হুদা কাজল, ফজলে রুবায়েত পাপ্পু, আরিফা সুলতানা রুমা, সাইফুল্লাহ খালেদ রাজন, আবুল খায়ের লিটন, নাসরিন রশিদ পুতুল, নাদিয়া পাঠান পাপন, হাজী মোহাম্মদ নাজিম, জাহাঙ্গীর পাটোয়ারী, জামসেদুল আলম শ্যামলসহ থানা ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
Dhaka, Bangladesh শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 4:31 AM |
Sunrise | 5:47 AM |
Zuhr | 11:51 AM |
Asr | 3:17 PM |
Magrib | 5:56 PM |
Isha | 7:11 PM |