আজ রবিবার | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:৩৪
বিডি দিনকাল ডেস্ক : গণ-অভ্যুত্থানে উত্তরায় আহত এবং শহীদদের আংশিক তালিকা প্রকাশ করেছে ‘চব্বিশের উত্তরা’। আজ ৫ অক্টোবর সকাল ১১ টায় মাইলস্টোন কলেজ এর মূল ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে শহীদ, আহত ও নিখোঁজদের তালিকা জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন এর সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধর হাতে তুলে দেওয়া হয়। লুভানা তাবাচ্ছুম এর সঞ্চালনায় বক্তব্য পাঠ করেন সোহানা সাকী, সামিয়া রহমান, খাদিজা তাহেরা, সামিয়া আকতার ও মনীষা মাফরুহা।
‘চব্বিশের উত্তরা’ (মানবিক মর্যাদার লড়াই ও বিনির্মাণে আমরা) উত্তরার অভিভাবকদের এই ফোরাম গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে উত্তরাতে যারা শহীদ, আহত এবং নিখোঁজ হয়েছেন তাদের তালিকাভুক্তি করণের কাজ শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যাদের তথ্য পাওয়া গিয়েছে তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানে উত্তরায় শহীদ ২৮ জন, আহত ১৯৭ জন, ১ জন নিখোঁজসহ মোট ২২৬ জনের প্রাথমিক তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ১৮ জুলাই এবং ৫ আগস্ট সবচেয়ে বেশি আহত ও নিহতের ঘটনা ঘটে। বিএনএস সেন্টার, আজমপুর ও উত্তরা পূর্ব থানার সামনে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল। তালিকায় ছাত্র আছে ১৯ জন এবং বাকি যারা আছেন তারা ছোটখাটো ব্যবসায়ী, দর্জি, ড্রাইভার, সিকিউরিটি গার্ড, রেস্টুরেন্ট কর্মী, শিক্ষক, মোটর পার্টস মেকানিক, শ্রমিক, ফল বিক্রেতা, দোকান মালিক, রংমিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রি, দিনমজুর, ইমাম, গার্মেন্টস শ্রমিক, গৃহ-শ্রমিক, দারোয়ান, অটো রিকশাচালক রয়েছে। অধিকাংশ নিহত ও আহত হয়েছে মাথায়, উরুতে, চোখে, পায়ে, কোমরে, পাজরে বুলেট, ছররাগুলি, পুলিশের লাঠিচার্জ এবং আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতা-কর্মীদের হামলার মাধ্যমে।
আহতদের মধ্যে গুরুতর চোখের চিকিৎসা দরকার ১৩ জনের এবং বুলেটে আঘাত প্রাপ্ত গুরুতরদের চিকিৎসা দরকার এমন মানুষের সংখ্যা ৩৪ জন। বুলেটে মোট আহত ও শহীদ এমন মানুষের সংখ্যা ১০৯ এবং ছররা ১০২ এবং অন্যান্য ৩০। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৯৪ জন, ফার্মেসিতে ১০ জন, ক্লিনিকে ৮ জন এবং বাকীরা বাসায় চিকিৎসা নিয়েছেন।
২০৪ জনের চিকিৎসার কাগজপত্র আছে, ১২ জনের নেই, ১১ জন বাসায় চিকিৎসা নিয়েছে। ২২৬ জনের মধ্যে ১৯৯ জনের সহায়তা প্রয়োজন, ২৮ জনের কোন সহায়তার প্রয়োজন নেই।
১৫৭ জনের আর্থিক সহায়তা দরকার, চিকিৎসা দরকার ৮৩ জনের, জীবিকা নির্বাহের সহায়তা দরকার জন্য ৬৪ জনের, ২৪ জনের কোন ধরনের সহায়তা প্রয়োজন নেই বলে তথ্যদাতারা উল্লেখ করেছন।
২২৬ জনের মধ্যে ১৬৪ জন কোন সহায়তা পান নাই। বেসরকারী সহযোগিতা পেয়েছেন ৩৩ জন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন এর সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ, শহীদ জাবির ইব্রাহিমের বাবা কবির হোসেন, শহীদ আব্দুল্লাহ বিন জাহিদ এর মা ফাতেমা তুজ জোহরা, শহীদ রানা তালুকদারের মা রুবি বেগম। আহত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওয়ালিউল হোসেন, আসাদুজ্জামান হৃদয়, আহত জুলফিকার আলীর ভাই জুবায়ের হোসেন, ঈশান।
চব্বিশের উত্তরার পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন শেষে শহীদ, আহত ও নিখোঁজদের তালিকা জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন এর সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ’র হাতে তুলে দেন যুবায়ের ইউসুফ।
তালিকা সংগ্রহের দ্বিতীয় পর্যায়ের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ৪ ও ৫ অক্টোবর ২০২৪ আজমপুর কাঁচাবাজার সংলগ্ন ট্যালেন্টস হাই স্কুলে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সকল তথ্য সংগ্রহ শেষে গণ-অভ্যুত্থানে উত্তরায় শহীদ, আহত ও নিখোঁজদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করবে ‘চব্বিশের উত্তরা’।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |