আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | দুপুর ২:০০
গায়েবি মামলাকে অসাংবিধানিক মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এমএ মতিন বলেছেন, এটা চরম আকারে আইনের অবমাননা। এছাড়া দেশে আইনের শাসন নেই জানিয়ে তিনি বলেছেন, ব্রিটিশ আমলেও তো এর চেয়ে ভালো ছিলাম, তখন আইনের শাসন ছিল। রোববার সকাল ১০টায় ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজের আয়োজনে ‘গায়েবি মামলা ও আগামী নির্বাচন’ শীর্ষক ওয়েবিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিক মনির হায়দারের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। আলোচক হিসেবে সাবেক বিচারপতি এমএ মতিন ছাড়াও ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার চার্লস ডারউইন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র আইন কর্মকর্তা ড. রিদওয়ানুল হক ও বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক গোলাম মতুর্জা অন্তু। ওয়েবিনারের সমাপনী বক্তব্য দেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের শিক্ষক জাহেদ-উর রহমান।
সাবেক বিচারপতি এম. এ. মতিন বলেন, আমরা তো একটি শাসনতন্ত্রের মধ্যে আছি। আমরা তো জঙ্গলে নেই। এই শাসনতন্ত্রে আমাদের মৌলিক অধিকারগুলো কাগজে লেখা থাকলেও বাস্তবে কিছু থাকলো না। এই দেশে তাহলে আমাদের সন্তানরা কীভাবে থাকবে? যেখানে সাধারণ মানুষের কোনো রক্ষাকবচ থাকলো না। আমরা তো তাহলে এর চেয়ে ব্রিটিশ পিরিয়ডেই ভালো ছিলাম। যেখানে আইনের শাসন ছিল।
আমাদের দেশে আইন আছে কিন্তু আইনের শাসন নাই। আইনের শাসন যদি না থাকে তাহলে এই আইন দিয়ে আমরা কি করবো? এই আইন দিয়ে তো পূজা করবো না। আমাদের রক্ষার জন্যই এই আইন। সময় এসেছে আইনের সঠিক প্রয়োগ করার।
তিনি বলেন, সভা করার অধিকারের কথা সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে। এখানে পুলিশের অনুমতি নিতে হবে কেন? এগুলো নিয়ে সেভাবে আলোচনা হচ্ছে না।
সাবেক এই বিচারপতি বলেন, এই অবস্থা চলতে থাকলে পরবর্তী প্রজন্ম কী জঙ্গলে বাস করবে? এটার প্রতিকার দরকার। জনগণকে জাগতে হবে। যদি প্রতিবাদ না হয়, সেমিনার না হয় তাহলে উত্তরণ সম্ভব নয়। জনগণকে জাগিয়ে দেয়া গেলে পুলিশ সাহস করবে না।
তিনি বলেন, গায়েবি মামলা আসলে গায়েবি জানাজার সমান। একটি মানুষকে যদি দেশে থাকতে না দেয়া হয়, ঘরে থাকতে না পারে, তাহলে নির্বাচন তো দূরের কথা সে তার পরিবার-পরিজনকেই দেখতে পারবে না। সাধারণভাবে জীবনযাপন করতে পারবে না। এমএ মতিন আরও বলেন, দেশে ভালো জজ আছে। কিন্তু তাদেরকে কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না।সূত্র: মানবজমিন
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |