আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৩:২৫
এম, এ কাশেম \ চট্টগ্রামঃ প্রাায় ৩ বছর যাকত অন্যের সাজায় সাজা খাটার পর অবশেষে উচ্চ আদালতের নির্দেশে মুক্তি পেয়েছে মিনু আক্তার নামের এক মহিলার। বুধবার (১৬ জুন) বিকেল ৪টার দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি লাভ করেন।
সুত্র জানায়, কুলসুম আক্তার নামে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত এক আসামির জায়গায় ভুলকৃত পুলিশি গ্রেপ্তার অভিযানের তথ্যে কারাগারে সাজা খাটছিলেন তিনি।
এর আগে গত ৭ জুন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মহিউদ্দিনের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে মুক্তির আদেশ দেন।
এর ও আগে গত ১৮ মার্চ কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোঃ শফিকুল ইসলাম খান নারী ওয়ার্ড পরিদর্শনে গেলে মিনু আক্তার জানান, তিনি কোনো মামলার আসামি নন। মূলত: অন্যের স্থলে আদালতে এসে ফেঁসে গেছেন তিনি। পরে ঘটনাটি আদালতের নজরে আনেন সিনিয়র জেল সুপার মোঃ শফিকুল ইসলাম খান ।
আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে মিনু আক্তার দাবি করেন, গত ৩ বছর আগে রমজান মাসে ভোগ্যপণ্য দেয়ার নাম করেই কুলসুমা আক্তার তাকে আদালতে নিয়ে আসেন। তার শেখানো মতো আদালতের ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে কারাবাস করতে হচ্ছে তাকে।
এর পর ৩১ মার্চ এ ঘটনা উচ্চ আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তখন স্পেশাল মেসেঞ্জারের মাধ্যমে (বিশেষ বাহক) পরে মিনুর ঘটনার নথি পাঠানো হয় হাইকোর্টে।
যাবজ্জীবন দন্ড প্রাপ্ত আসামির হয়ে সাজা খাটা মিনুর বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে মূলত: কারাগারের একটি বালাম বই দেখতে গিয়ে মিনুর সাজা খাটার বিষয়টি উঠে আসে।
তাতে দেখা যায়, একজনের পরিবর্তে যাবজ্জীবন সাজা খাটছেন ওই নারী। পরে আদালতে জেলখানার ছবি সংবলিত রেজিস্টার খাতা উপস্থাপন করা হয়। এর পরই বিষয়টি নিয়ে আদেশ দেন আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, মোবাইলে কথা বলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নগরের রহমতগঞ্জের একটি বাসায় ২০০৬ সালের জুলাইয়ে গলা টিপে হত্যা করা হয় গার্মেন্টসকর্মী কোহিনূর আক্তারকে। এর পর রহমতগঞ্জে একটি গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয় সেই লাশ। কোহিনুর আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেন গার্মেন্টস কর্মী কুলসুম আক্তার।
এর পর থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ ২ বছর তদন্ত শেষে কেহিনুরকে হত্যা করা হয়েছে বলে রিপোর্ট দিলে সেটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করে। গত ২০১৭ সালের নভেম্বরে তৎকালীন অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ নুরুল ইসলাম পারভীন ওই মামলায় আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে যাবজ্জীবন কারান্ড সহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আর ও ১ বছরের কারান্ডের আদেশ দেন।
সাজার পরোয়ানামূলে আদালতে আত্মসমর্পণ করে কুলসুম আক্তারের বদলি মিনু গত ২০১৮ সালের ১২ জুন কারাগারে যান। নামের মিল না থাকলে ও মিনুকে কুলসুম আক্তার বলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে গত ৩ বছর যাবত।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |