আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৯:২২
এম, এ কাশেম, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রম মহানগর বিএনপি’র কার্যালয়ের সামনে থেকে যুবদল ও ছাত্রদলের ৬ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার ঝবি তোলা ও সংবাদ সংগ্রহের নিয়োজিত থাকাবস্থায় পুলিশ সাংবাদিকদের হেনোস্থা করেছে এবং ক্যমেরা কেড়ে নিয়েছে বলে সাংবাদিকদেও পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল এলাকার থানা চট্টগ্রম কোতোয়ালি থানার ওসির অপসারণ দাবি করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে নাসিমন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি কার্যালয় ‘নাসিমন ভবন’ এর সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয় নগরীর বাকলিয়া ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ মুসা, চান্দগাঁও থানা যুবদলের যুগ্ম আহŸায়ক মোরশেদ কামাল, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সহিদুল আলম সহিদ, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদল নেতা আব্দুস সবুর এবং ছাত্রদল কর্মী আজিজুল হাসান ও মহিবুল্লাহ কে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র দপ্তরের দায়িত্বে থাকা মোঃ ইদ্রিস আলী ‘বিডি দিনকাল’ কে জানান, “দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান’র ৮৮ তম: জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিলো। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি ও নেয়া ছিলো।
“জোহরের নামাজ ও দোয়া মাহফিল শেষে আমরা দলীয় কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় কোতোয়ালী থানার এস,আই মেহেদী হাসান আমাদের সিনিয়র নেতাদের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ শুরু করেন। এ সময় আমাদের সাথে থাকা কয়েক জনকে জোর করে আটক করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।”
আটক কেউ-ই গত ১৬ জানুয়ারী ‘পুলিশের ওপর হামলা’ মামলার আসামি নয় বলে ও দাবি করেন ইদ্রিস আলী।
ডবএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে চট্টগ্রম মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) অতুনু চক্রবর্ত্তী সাংবাদিকদের জানান, “গত ১৬ জানুয়ারি পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শনাক্ত হওয়া ৫ জনকে দুপুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
এ দিকে যুব ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের আটকের ছবি তুলতে গিয়ে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকদের পুলিশ হেনোস্তা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
এনটিভি চট্টগ্রাম অফিসের সিনিয়র রিপোর্টার আরিছ আহমেদ শাহ বলেন, “আমরা নূর আহম্মদ সড়ক দিয়ে আসার পথে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশের প্রিজন ভ্যান থেকে আমাদের ক্যামেরা জার্নালিস্ট গাড়ি থেকে নেমে ছবি তুলতে যায়।
“ওসি সহ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা তাকে ছবি তুলতে বাধা দিলে আমি তাদের সাথে কথা বলি। এ সময় কোতোয়ালী থানার ওসি আমাকে দুই মিনিটের মধ্যে সরে না গেলে বিএনপি কর্মীদের সাথে আমাদেরকে গ্রেপ্তারের হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রুবেল হাওলাদার এসে আমাকে ধাক্কা দিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।”
সাংবাদিক আরিছ আহমদ শাহর অভিযোগ, ওই সময় পুলিশ সদস্যরা তাদের ক্যামেরার মেমোরি কার্ড খুলে নিয়ে যায়। ঘণ্টাখানেক পর মেমোরি কার্ডটি ‘ফরমেট’ করে ফেরত দেয়।
কার্ড ফরমেট করে দেয়ায় শেখ কামাল যুব গেমস, চমেক হাসপাতালের দুদকের অভিযানের সংবাদের যে সব ছবি ছিলো সেগুলো ও মুছে দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন পুলিশের হাতে হেনোস্তার শিকার এনটিভি’র ওই সাংবাদিক আরিছ শাহ।
এই অভিযোগের বিষয়ে পুলিশের সহকারী কমিশনার অতুনু বলেন, “হামলায় জড়িত সন্দেহদের আটকের সময় একজন সাংবাদিক এসে গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রশ্ন করতে থাকেন। তাকে আমরা সেখান থেকে সরে যেতে বলি। তা ছাড়া আর কোনো ঘটনা সেখানে ঘটেনি।”
ক্যামেরার কার্ড ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে ও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
গাংবাদিক কে পুলিশের ওই হেনোস্তার প্রতিবাদে ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার-ই চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করে চট্টগ্রামে কর্মরত টেলিভিশন সাংবাদিকদের সংগঠন ‘চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’।
সংগঠনের সভাপতি নাসির উদ্দিন তোতার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি তপন চক্রবর্ত্তী, সাধারণ সম্পাদক ম,শামসুল ইসলাম, চগ্র্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট চৌধুরী ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক প্রমুখ।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের ওই সমাবেশ থেকে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার ওসি জাহেদুল কবির কে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ এবং সাংবাদিক কে হেনোস্তা করার ঘটনায় জড়িত অন্য পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক যথাযথ শাস্থিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |