আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৩:৫৬
বিডি দিনকাল ডেস্ক :- আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যু রহস্যের জট খুলছেই না। তদন্তে প্রতিবারই নিচ্ছে মোড়। এবার ম্যারাডোনার সেবিকাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এলো নতুন তথ্য। সেবিকার আইনজীবীর দাবি, চিকিৎসকদের অবহেলায় মৃত্যু হয়েছে ম্যারাডোনার।
মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার ও নানাবিধ শারীরিক জটিলতা নিয়ে গত বছর নভেম্বরে ৬০ বছর বয়সে মারা যান ৮৬ বিশ্বকাপ কিংবদন্তি। ম্যারাডোনার মস্তিস্কে অস্ত্রোপচারের চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন নিউরোসার্জন লিওপোল্ড লুকু। ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন তোলেন তার দুই মেয়ে। শুরু হয় তদন্ত। এই তদন্তের আওতাধীন রয়েছেন দাহিয়ানা গিজেলা মাদ্রিদ নামের এক নার্স।
মামলাটি আদালতে ওঠার পর ২০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মিলে একটি বোর্ড গঠন করা হয়। অভিযুক্তরা দোষী প্রমাণিত হলে ৮ থেকে ২৫ বছরের সাজা হতে পারে।
ম্যারাডোনাকে মৃত দেখা ব্যক্তিদেরও একজন গিজেলা মাদ্রিদ। তার আইনজীবী রডোলফো বাকু সংবাদকর্মীদের বলেন, ‘চিকিৎসকরা ম্যারাডোনাকে হত্যা করেছেন।’
রডোলফো বাকুর দাবি, মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকেরা ম্যারাডোনার দেখাশোনা করছিলেন; নার্স গিজেলা মাদ্রিদ নন। একই সমেয় তিনি মনোরোগের ওষুধও খাচ্ছিলেন, যেকারণে তার হৃদযন্ত্রের গতি বেড়ে যায়। ম্যারাডোনা হাসপাতালে একবার পড়েও গিয়েছিলেন, তখন সেবিকা গিজেল তাকে স্ক্যান করানোর অনুরোধ করেন। কিন্তু ম্যারাডোনা তা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, সংবাদমাধ্যম জানলে বিষয়টি ভালো দেখাবে না।
প্রায় আট ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় গিজেলা মাদ্রিদকে। আইনজীবী বাকু বলেন, ‘ম্যারাডোনা ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঢলে পরায় অনেক সতর্কবার্তা ছিল। চিকিৎসকেরা প্রতিরোধের কোনো ব্যবস্থা নেননি।’
দিনের বেলায় ম্যারাডোনার দেখাশোনা করতেন গিজেলা মাদ্রিদ এবং আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে জীবিত অবস্থায় দেখা শেষ ব্যক্তিদের একজন তিনি।
ম্যারাডোনার মৃত্যুর পরপরই গিজেলা মাদ্রিদ জানান, ম্যারাডোনাকে মৃত অবস্থায় দেখার পর তিনি তাকে বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। ম্যারাডোনার রাতের সেবিকা রিকার্ডো আলমিরনকেও এর আগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |