আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৯:৪১
ফেনী: কথিত বন্দুকযুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও ইয়াবা দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে ফেনীর ছাগলনাইয়া থানার সাবেক ওসি মঞ্জুর মুর্শেদসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কামরুল হাসানের আমলী আদালতে ছাগলনাইয়ার পূর্ব পাঠানগড় এলাকার মো. গিয়াস উদ্দিন দুলাল নামে এক ব্যক্তি মঙ্গলবার এই মামলা করেন।
দুলালের আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন নান্নু বলেন, আদালত এই অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কোনো কর্মকর্তাকে দিয়ে অভিযোগ তদন্ত করতে আদেশ দিয়েছে আদালত।
ওসি ছাড়াও বিবাদীদের মধ্যে তিনজন এসআই, দুইজন এএসআই, পাঁচজন কনস্টেবল ও পুলিশের দুইজন সোর্স রয়েছেন বলে জানান আইনজীবী গিয়াস।
মামলার এজহারে বলা হয়েছে, বাদী পিকআপ চালক ছিলেন। গত বছরের ১৭ জানুয়ারি তিনি ফেনী সদর উপজেলার কাজীরবাগে মাটি বহন করার সময় আবুল হাসেম ও আবুল খায়ের নামে দুই সোর্সসহ পুলিশ সদস্যরা তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা তাকে কাজীরবাগ থেকে মাইক্রোবাসে তুলে ছাগলনাইয়ার পাঠাননগর এলাকায় ব্রাদার্স ব্রিকফিল্ডের নিয়ে যায়।
“সেখানে ওসি এম মঞ্জুর মোর্শেদ এসে আমার চোখ বেঁধে পুনরায় চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে না চাইলে তারা সকলে মিলে আমাকে ক্রসফায়ারে দেওয়ার হুমকি দেন। খবর পেয়ে আমার মা ও বোন তাদের এক লাখ টাকা দিতে চান। এতে রাজি না হয়ে তারা আমাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় মাইক্রোবাসে করে শুভপুর ইউনিয়নের বল্লভপুরের চম্পকনগর রাস্তার মাথায় একটি জমিতে নিয়ে মাটিতে ফেলে হত্যার চেষ্টা চালায়। এরপর ওসি মোর্শেদ ঘটনাস্থলে থাকা সুকান্ত বড়ুয়া নামে এক পুলিশ সদস্যের শটগান দিয়ে আমার ডান পায়ে তিন রাউন্ড গুলি করেন। এরপর তারা এলোপাতারি লাথি মেরে আমার মৃত্যু নিশ্চিত করার চেষ্টা করেন। এতে আমি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে আমার মৃত্যু হয়েছে ভেবে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে আমার দেহে প্রাণের অস্তিত্ব টের পেয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক আমাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে পাঠান। এর তিন দিন পর চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করে আমার ডান পায়ের নিম্নাংশ কেটে ফেলেন। এতে আমি পঙ্গু হয়ে পড়ি।”
এজাহারে দুলাল আরও বলেছেন, “আমি বেঁচে যাওয়ায় আমার বিরুদ্ধে ওই থানার সাবেক এসআই মো. মাহবুবুল আলম সরকার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করে কারাগারে পাঠান। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার সাবেক এসআই গত বছরের ২৭ জানুয়ারি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। চলতি বছর ১ অক্টোবর মামলার কাজে আমি ফেনী আদালতে আসলে পুলিশের সোর্স আবুল হাসেম আমাকে দেখে বলেন, ‘তুই মরে যাস নি? তোকে আবারও ক্রসফায়ারে দেব’।”
দুলাল এখন পরিবার নিয়ে জীবন শংকায় দিন কাটাচ্ছেন বলে মামলায় অভিযোগ করেছেন। ফেনীর সাবেক ওসি এম মঞ্জুর মুর্শেদ বর্তমানে ফেনীতে কর্মরত না থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |