সিডনি রিপোর্টারঃ- বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, এবং সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিতকরণে সমর্থনের জন্য গত ২২ শে মার্চ বুধবার অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পার্লামেন্টে সিনেটর কক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সিনেটে বিরোধী দলের নেতা, পররাষ্ট্র বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী সাইমন বার্মিংহাম এবং যোগাযোগ ওমিডিয়া ছায়ামন্ত্রী ডেবিট ডেবিট কুলম্যান এমপির সাথে বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধির সাথে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শেষে সাইমন বার্মিংহাম তার দলের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রানালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, এবং সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার প্রতিষ্ঠাতা এবং সুপ্রভাত সিডনির প্রধান সম্পাদক এম এ ইউসুফ শামীম, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্ববায়ক এবং সভাপতি পদপ্রার্থী মো.মোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফ,সাবেক যুগ্ম আহ্ববায়ক মোঃ কুদরত উল্লাহ লিটন,সাবেক জাসাস সভাপতি আব্দুস সামাদ শিবলু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এএনএম মাসুম,যুবদলের সভাপতি খাইরুল কবির পিন্টু । বিএনপি অস্ট্রেলিয়া র পক্ষ থেকে স্মারক লিপি এবং রোড টু গণতন্ত্র বইটি হস্তান্তর করেন ।স্মারক লিপিতে জানান বাংলাদেশি-অস্ট্রেলীয় নাগরিক হিসেবে,বর্তমান সরকারের অধীনে বাংলাদেশে যে ভয়ঙ্কর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটছে তার জন্য আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা সম্মানের সাথে এই বেআইনি কর্মের অবসান ঘটাতে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রচার করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টায় আপনার সমর্থনের জন্য অনুরোধ করছি। উপরন্তু, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যাতে সুরক্ষিত ও সমুন্নত থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা একটি নিরপেক্ষ সরকারের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত সুষ্ঠু ও অবাধ সংসদীয় নির্বাচনের জন্য আপনার সাহায্যের আহ্বান জানাই। এই ছাড়া বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উপর একটি ব্রিফিং পেপার সংযুক্ত করেছি যা বাংলাদেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছু প্রতিনিধি নমুনা তথ্য প্রদান করে। 1. অস্ট্রেলিয়ান পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা এবং স্থূল মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী পৃথক অপরাধী এবং সত্ত্বাদের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ান নিষেধাজ্ঞার ব্যবস্থা প্রয়োগ করা। আমরা আপনাকে ক্লেপ্টোক্র্যাট এবং তাদের আত্মীয়দের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার আহ্বান জানাচ্ছি যাতে অস্ট্রেলিয়াকে বাংলাদেশের অপরাধীদের নোংরা সম্পদ সংরক্ষণের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হতে না পারে। 2. কোনো বৈষম্য ছাড়াই সকল দলের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা। 3. ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক, মানবাধিকার রক্ষক এবং বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং সমিতির স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, পাশাপাশি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।