আজ বুধবার | ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৭:০৩
নিজ দেশে থেকে আমরা পরবাসী হয়েছি মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ দাবি করে তারা দেশ চালাচ্ছে। আসলে কী তারা দেশ চালাচ্ছে? তারা দেশ চালায় না। এক অদৃশ্য শক্তি দেশ চালাচ্ছে। আর তাদের নির্দেশেই আজকে বাংলাদেশে তারা (আওয়ামী লীগ) মানুষের অধিকারগুলোকে কেড়ে নিয়েছে।
শনিবার বিকেলে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে রাজধানী ঢাকা বিভিন্ন ওয়ার্ড, থানাসহ আশপাশের জেলার বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
আন্দোলন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, সাময়িকভাবে আন্দোলনে কিছুটা ভাটা পড়তে পারে। অনেকে বলেন, আবার আন্দোলন শুরু। আন্দোলন চলছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যখন বন্দি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেন না, টুকু (সুলতান সালাউদ্দিন টুকু) জেলে তখন তো আন্দোলন চলছেই। প্রতিটি কারারুদ্ধ নেতাকর্মী আন্দোলন করছেন।
আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, লজ্জা করে না। শরম বলতে তো আর কিছু নাই। লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে ফেলেছেন।
এমনভাবে কথা বলেন, এটাকে তারা তাদের পৈতৃক সম্পদ মনে করেন। তারা যেভাবে খুশি সেভাবে ব্যবহার করবেন। জনগণের যে চাহিদা সেদিকে তাকান না। আমরা এখনো বলি, সময় আছে, জনগণের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। সেই জনগণকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য করবেন না, উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি করে আপনাদের মসনদকে ভেঙে চুরমার করে দিতে।
২৮শে অক্টোবরের সমাবেশ পণ্ড করার ঘটনা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, আজকেও চেষ্টা করেছিলেন। আজকে একটা পটকা ফুটিয়েছেন। সেটা কে ফুটিয়েছে আমরা বুঝি না? দেশের মানুষ বুঝে না? আবারও সরকার দলীয় লোকেরা সেই অবস্থা তৈরি করতে চেয়েছে।
তরুণ ও যুবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কোন দেশের মুক্তি হয় না, যদি তরুণ ও যুবকরা এগিয়ে না আসে। শুধু ঠিক বললে এবং জেল খাটলে চলবে না। আপনাদের বেরিয়ে আসতে হবে। রাজপথে জনগণকে নিয়ে চলে আসতে হবে। সেই জনগণকে নিয়ে আরো শক্তিশালী দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। অন্যথায় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব জলাঞ্জলে যাবে। তাই আর বিলম্ব নয়। নিজেদেরকে শক্তিশালী করতে হবে। আজকে ডাক এসেছে দেশ থেকে, দেশমাতৃকা থেকে।
নেতাকর্মীদের সাজা দেয়ার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কোন শুনানি ছাড়া ২ হাজার মানুষকে সাজা দিয়েছেন। এটা কোন আইনের শাসন হতে পারে না। বিচারবিভাগের স্বাধীনতা নাই। আপনারা (সরকার) কেড়ে নিয়েছেন। নির্বাচন ব্যবস্থাকে সরকার সম্পূর্ণভাবে গিলে ফেলেছে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা অনেক কথা বলেন। শুক্রবারই তাদের সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক (ওবায়দুল কাদের) বলেছেন, আবার সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা করবেন না। তাহলে এবার ডাবল শিক্ষা দিয়ে দিবো। বিএনপি কখনোই সন্ত্রাস করে না। বিএনপির সন্ত্রাসের ইতিহাস নেই। সন্ত্রাসের ইতিহাস আপনাদের। সন্ত্রাসের মধ্যে দিয়েই আপনাদের জন্ম।
তিনি আরও বলেন, যখন আওয়ামী লীগে মওলানা ভাসানী সভাপতি ছিলেন। মওলানা ভাসানীকে আপনারা বিতাড়িত করে দিয়ে, মেরে তাড়িয়ে দিয়ে তাকে রূপমহল সিনেমা হল থেকে বের করে দিয়েছিলেন। তারপরে সেদিন মওলানা ভাসানী ন্যাপ গঠন করেছিলেন। সেই ইতিহাস আমরা ভুলে যাই নাই। পূর্ব পাকিস্তান আমলে প্রাদেশিক পার্লামেন্ট ছিলো, সেই পার্লামেন্টে ডেপুটি স্পিকারকে আপনারাই পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছিলেন। আমরা ভুলে যাইনি। আমরা ভুলে যায়নি, আপনারা সন্ত্রাসের মধ্যে দিয়ে এদেশের জনগণের ন্যায় সঙ্গত দাবির আন্দোলনকে গত ১৮ বছর ধরে দমিয়ে দিচ্ছেন।
যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নার সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, যুবদলের সহ সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন প্রমুখ।
Dhaka, Bangladesh বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:38 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:19 PM |
Isha | 6:40 PM |