আজ বুধবার | ২৪শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |৮ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:১৮
বিডি দিনকাল ডেস্ক:- জনগনের প্রতিপক্ষ’ হয়ে আর ক্ষমতায় থাকা যাবে না বলে কালো পতাকা মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে হুশিয়ারি দিয়েছেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। শুক্রবার বিকালে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত কালো পতাকা গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘‘ এই ফ্যাসিস্ট বিদায় করার জন্য বাংলাদেশের মানুষ শপথ নিয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।বাংলাদেশের মানুষ যখনই সিদ্ধান্ত নেয় তারা কোনদিন পিছপা হয় নাই। স্বাধীনতা যুদ্ধে পিছপা হয়নাই, ভাষা আন্দোলন পিছপা হয়নাই, স্বৈরাচার আন্দোলনে পিছপা হয় নাই। প্রতিবার বাংলাদেশের মানুষ যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার প্রতিপক্ষ পরাজিত হয়েছে।”
‘‘ আজকে বাংলাদেশের মানুষের প্রতিপক্ষ কে? হাসিনা। বাংলাদেশের মানুষের প্রতিপক্ষ হয়ে কেউ জয়ী হতে পেরেছে। পারে নাই। তাই আমি বলব, বাংলাদেশের মানুষের প্রতিপক্ষ কেউ হবেন না। পুলিশ ভাইয়েরা হবেন না, র্যাব ভাইয়েরা হবেন না্, আনসার হবেন না, সরকারি কর্মকর্তারা হবেন না, বিচারকরা হবেন না।”
আমির খসরু বলে, ‘‘ সবার কাছে আমাদের বার্তা, দেয়ালের লিখন পড়তে শিখুন। দেয়ালে কি লেখা আছে… শেখ হাসিনা বিদায় হও। যারা এখনো দেয়ালের লিখন পড়তে পারছেন না তাদেরকে বলছি দেয়ালের লিখন পড়েন, সিদ্ধান্ত নেন, জনগনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারবেন না।”‘‘ আর নিলে এই দায়-দায়িত্ব আপনাদের ওপরে বর্তাবে।”
‘ব্রিকসের সদস্য হতে পারেননি’
আমির খসুর বলেন, ‘‘দক্ষিন আফ্রিকা গিয়েছেন বাংলাদেশের অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। দলবল নিয়ে, পরিবার নিয়ে বাংলাদেশের জনগনের করের টাকা খরচ করে দক্ষিন আফ্রিকা গিয়েছেন কি জন্য? ব্রিকসের মেম্বার হওবেন।কি হয়েছে(সদস্য হতে পেরেছে)?”
এ সময়ে নেতা-কর্মীরা সমস্বরে ‘ভুঁয়া ভুঁয়া’ বলে শ্লোগান দিতে থাকে।
তিনি বলেন, ‘‘ সে কাজে গিয়েছেন ওই কাজ তো হয় নাই। সতুরাং প্রত্যেক জায়গা থেকে প্রত্যাখাত হবেন। সবাই প্রত্যাখান করবে অবৈধকে। এই মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ঘুরে ঘুরে আজকে গ্রহনযোগ্যতা পাবেন না।”
আমির খসরু বলেন, ‘‘ আজকে এই সমাবেশে আসার সময় একটা ছবি দেখলাম। ওই দক্ষিন আফ্রিকায় যারা গেছে ব্রিকসে, সবাই তো মেম্বার হয় নাই, বাংলাদেশে হয় নাই, অনেক হয় নাই। তবে সবাই মিলে একটা ছবি তুলেছেন… এই ছবি হচ্ছে অফিশিয়াল ছবি। ওই ছবিতে সবাই আছে কিন্তু আমাদের অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নাই।”
‘‘ উনার ছবি কার সাথে? উনি আর উনার মেয়ে(সায়মা ওয়াজেদ) চায়নার প্রধানমন্ত্রী এর সাথে। পত্রিকায় দেখেছেন না। চীনের প্রধানমন্ত্রীর শি চিনফিং-এর সাথে বাইলেটারেল মিটিং করার জন্য দক্ষিন আফ্রিকায় যেতে হবে কেনো? তৃতীয় কোনো দেশে গিয়ে কেউ বাইলেটারেল মিটিং করে না। বাইলেটারেল মিটিং হয় যেদেশে যাচ্ছেন সেই দেশের সাথে। তৃতীয় দেশে গিয়ে বাইলেটোরেল মিটিং উনাকে করতে হচ্ছে।”
বৃটেন রাজা চালসের অভিষেক অনুষ্ঠানে গিয়ে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর ঋষী সুনাকের সাখে সাইড লাইনে চেয়ারে বসে তুলে ‘বাইলেটারেল মিটিং’ বলে বর্তমান সরকারের ‘মিথ্যা প্রচারনা’র কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
আমির খসরু বলেন, ‘‘ ওইখানে(দক্ষিন আফ্রিকা) প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রেখেছেন। ওই বক্তব্যে নৌকায় ভোট দিতে বলেছেন। চিন্তা করেন। আরে কোথায় যাইয়া কি কয়? ভোট হবে বাংলাদেশে, উনি দক্ষিন আফ্রিকা গিয়ে ভোট চাইছেন… অবস্থা কি বুঝেন?”
‘‘ আর কি করছেন? সেখানে বিএনপিকে গালি-গালাজ করছেন। স্বভাবজাতভাবে যা করেন, এটা তো প্রত্যেকদিন আপনি বাংলাদেশে করতেছেন। জনগনের করের টাকা খরচ করে দলবল নিয়ে দক্ষিন আফ্রিকা গিয়ে বিএনপিকে গালিগালাজ করার প্রয়োজন নাই।”
সরকার ‘জঙ্গি নাটক’ করে জনগনের দাবিকে পাশ কাটানোর কৌশল নিয়ে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘‘ আওয়ামী লীগ মতো এতো বড় সন্ত্রাসী দল পৃথিবীর কোথাও পাবেন না। যারা সরকারি রাষ্ট্র যন্ত্র ব্যবহার করে, পুলিশের একটি অংশকে ব্যবহার করে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি অংশকে ব্যবহার করে, বিচারককে ব্যবহার করে দন্ডিত করছে এইরকম কোনো দেশে দেখবেন না।এদের মতো সন্ত্রাসীদের আর ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যাবে না।”
সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে যুগত আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিকালে বিএনপি রাজধানীতে ‘কালো পতাকা গণমিছিল’ করে।
মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বক্তব্য রাখেন।
এই গণমিছিলে বিএনপির আহমেদ আজম খান, জয়নুল আবদিন ফারুক, জয়নাল আবেদীন ভিপি জয়নাল, কামরুল ইসলাম, শাহজাদা মিয়া, হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, আতাউর রহমান ঢালী, মাহবুবউদ্দিন খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শ্যামা ওবায়েদ,রিয়াজ উদ্দিন নসু ,মাসুদ আহমেদ তালুকদার, নাজিমউদ্দিন আলম, আজিজুল বারী হেলাল, রাকিবুল ইসলাম বকুল, শামীমুর রহমান শামীম, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, যুব দলের মামুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, হেলেন জেরিন খান, নায়েবা ইউসুফ, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, ছাত্র দলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমূখ নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
বিএনপি ছাড়া শুক্রবার রাজধানীতে কালো পতাকা গণমিছিল করেছে শাহবাগে গণতন্ত্র মঞ্চ, বিজয়নগরে ১২ দলীয় জোট, পুরানা পল্টনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, আরামবাগে গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, পান্থপথে এলডিপি, জাতীয় প্রেসক্লাবে লেবার পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ(রেজা কিবরিয়া)ও সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষ, ফকিরাপুল কালভার্ট রোডে গণঅধিকার পরিষদ(নূর), মালিবাগে এনডিএম, সেগুনবাগিচায় গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, বিজয় নগর শ্রমভবনের সামনে এবি পার্টি, বিজয়নগর পানি ট্যাংকের জনতার অধিকার পার্টি কাছ থেকে কালো পতাকা পতাকা মিছিল বের করে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিনের উদ্যোগে নয়া পল্টন থেকে রাজধানী মার্কেট এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে শ্যামলি স্কোয়ার থেকে লিংক রোড হয়ে মোহাম্মদপুরে বছিলা চৌরাস্তা পর্যন্ত … এই দুইটি গণমিছিল হয়। দুইটি গণমিছিলে কালো পতাকা হাতে হাজার হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে অংশ নেয়।
আগামিকাল শনিবার একই দাবিতে অন্যান্য মহানগরেও কালো পতাকা গণমিছিল করবে বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো।
২ জুলাই এক দফা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার পর এই পর্যন্ত বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো ঢাকায় পদযাত্রা, ঢাকায় মহাসমাবেশ, রাজধানীর প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি, ঢাকাসহ মহানগরে গণমিছিলের কর্মসূচি করে। কলো পতাকা মিছিল একদফা আন্দোলনের পঞ্চম কর্মসূচি।
Dhaka, Bangladesh বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:22 AM |
Sunrise | 6:42 AM |
Zuhr | 12:05 PM |
Asr | 3:07 PM |
Magrib | 5:28 PM |
Isha | 6:48 PM |