স্টাফ রিপোর্টার: -পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, জিয়াউর রহমানের ইন্ধনে ৭৫ এ বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি এ্যাক্ট করে খুনিদের বিচার বন্ধ করে দেয়।
আর খুনিদের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত করে পুরস্কৃত করে। তারই ধারাবাহিতায় তার স্ত্রী খালেদা জিয়া খুনিদের সংসদে যাওয়ার সুযোগ করে; খুনিদের রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছে। আর জিয়া ও খালেদা পুত্র তারেক রহমান বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেট হামলা করে। একারণে জিয়া ও তার পরিবারকে ৭৫’র খুনিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বলা হয়। তাই জিয়াউর রহমানের মরোণোত্তর ও খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের বিচার হওয়া এখন সময়ের দাবি।
রবিবার সকালে জাতীয় যাদুঘর মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে হাসুমনির পাঠশালা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসুমনির পাঠশালার চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপির সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, গনপূর্ত প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আআমস আরেফিন সিদ্দিক প্রমূখ।
এনামুল হক শামীম আরও বলেন, জাতির জনক ও তার পরিবারের সদস্যদের যারা হত্যা করতে পারে এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারে তারা কখনোই বাংলাদেশের কল্যাণ চায় না। তারা দেশ ও জাতির শত্রু। ক্রমেই তাদের দল বিএনপি এখন জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে। তাই বিএনপির আর ক্ষমতায় আসার সুযোগ নাই। কারণ, শুধু দেশ নয় বিশ্বনেতৃবৃন্দও বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতে নিরাপদ বলে মন্তব্য করেন।