আজ বৃহস্পতিবার | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৯:১১
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ-ঝিনাইদহ জেলা জুড়েই হতদরিদ্রদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হচ্ছে। কেও সরকারী ঘর দেওয়ার নাম করে আবার কেও ভাতা। এ ভাবে চলছে বছরের পর বছর। কোন প্রতিকার নেই। এই অভিযোগে কোন চেয়ারম্যান বা ইউপি সদস্যের পদ যায়নি। এমনকি তদন্ত পর্যন্ত করা হয়নি। অভিযোগ পাওয়া গেছে চেয়ারম্যানরা সবই সরকারী দলের ছত্রছায়ায় রয়েছেন। এ কারণে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করে কোন প্রতিকার মিলছে না। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালীচরণপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বিশার বিরুদ্ধে সরকারী ঘর নির্মান করে দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়ে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘর পাওয়ার আশায় অনেক দরিদ্র মানুষ এনজিওর কাছ থেকে ঋন তুলে ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়েছেন। টাকা দেওয়ার কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও তারা ঘর পায়নি। এখন তারা টাকা ফেরৎ চাচ্ছেন। কালীচরণপুর ইউনিয়নের বয়েড়া তলা গ্রামের বাসিন্দা ফাহিমা খাতুন। স্বামী সন্তান নিয়ে বসবাস করেন টিনের খুপড়ি ঘরে। স্বামী কাঠ মিস্ত্রীর কাজ করে কোন রকম চালান সংসার। “যার জমি আছে ঘর নাই” তার নিজ জমিতে গৃহনির্মান প্রকল্পে ঘর পাওয়ার আশায় ঋন করে ১৬ হাজার টাকা দেন চেয়ারম্যানের কাছে। কিন্তু তিন বছর পেরিয়ে গেলেও ঘর পাননি তারা, টাকা ফেরত চাইতে গেলেও করেন খারাপ আচরন। একই গ্রামের কাশেম আলী ভ্যান চালিয়ে সংসার চালান। সরকারী আধা পাকা ঘর পাওয়ার আশায় চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বিশার কাছে গেলে টাকা দাবি করেন। পাকা ঘরে স্ত্রী সন্তান নিয়ে থাকবেন বলে তার দাবি মেনে নিয়ে ১৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু কয়েক বছর গেলেও ঘর তো দুরে থাক টাকাও ফেরত পাননি তিনি। শুধু ফাহিমা কিংবা কাশেম নয় ইউনিয়নের ৬নং ওর্য়াডের অনেকেই ঘর তৈরি, টিউবওয়েল, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা পাওয়ার আশায় ওই জনপ্রতিনিধির কাছে টাকা দিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই ভুক্তভোগী পরিবারগুলো তদন্ত করে দুর্নীবিাজ এ সব জনপ্রতিনিধিদের অপসারণের দাবী করেন চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বিশা তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। সামজিক দলাদলির কারনে প্রতিপক্ষরা তাকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যাচার করছে। তিনি কারো কাছ থেকে টাকা গ্রহন করেন নি। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বদরুদ্দোজা শুভ বলেন, সাধারন মানুষের সাথে এ ধরনের প্রতারণার বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলঅকা ঘুরে জানা গেছে, প্রায় ২৫ টি পরিবারের কাছ থেকে ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা নিয়েছেন চেয়ারম্যান বিশা। এছাড়া অনেক পরিবারের কাছ থেকে ভাতা সুবিধা দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ারও তথ্য মিলেছে।
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:18 AM |
Sunrise | 6:39 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:20 PM |
Isha | 6:40 PM |