আজ মঙ্গলবার | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | ভোর ৫:০১
জাহিদুর রহমান তারিক, স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-করোনার থাবায় বিপর্যস্ত ঝিনাইদহ জেলায় প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। এমন পরিস্থিতিতে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের করোনা বিভাগে জায়গা হচ্ছে না রোগীদের। ফলে অনেককেই মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তরল অক্সিজেন যা আছে তাতে চলবে মাত্র দুই দিন। এ নিয়ে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সদর হাসপাতালে করোনা বিভাগে গত এক সপ্তাহ আগে ৫০টি শয্যার বিপরীতে স্থান সংকুলান না হওয়াই আরও ২০ টি শয্যা বাড়ানো হয়। বর্তমানে এ বিভাগে ৭০ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছে ৬৮ জন। এর মধ্যে ৫১ জনের করোনা পজিটিভ এবং ১৭ জনের উপসর্গ রয়েছে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪৩টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এ নিয়ে আক্রান্তে সংখ্যা দাঁড়াল ৩ হাজার ৭১১ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৮৯২ জন। মোট জেলায় মারা গেছেন ৭৮ জন। এমন পরিস্থিতিতে চিন্তিত সচেতন মহল। তারা বলছেন, দিন দিন জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্ট হবে। আগামীতে কী হবে, তা ভাবতেই ভয় লাগছে। তবুও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। এমনকি লকডাউনও মানছে না অনেকে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. হারুন-অর-রশিদ জানান, হাসপাতালে প্রতিদিন নতুন নতুন করোনায় আক্রান্ত রোগী হওয়ায় চিকিৎসক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এতো মানুষকে একসঙ্গে চিকিৎসা দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও বেশ কয়েকজন মেডিকেল কর্মকর্তা চেয়ে আবেদন করা হলে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি এখনও কাজে যোগদান করেননি। হাসপাতালের তত্বাবধায়ক আরও বলেন, ‘বর্তমানে হাসপাতালে ১ হাজার ৫০০ লিটার তরল অক্সিজেন রয়েছে। এটা দিয়ে আগামী দুই দিন চলবে। তবে রোগীদের অবস্থা বেশি খারাপ হলে এর আগেই অক্সিজেন শেষ হয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, ‘রোগী বাড়তে থাকলে হাসপাতালের অবস্থা আরও প্রকট হতে পারে। হয়তো অন্যান্য সেবা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। এ বিষয়েও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |