এ সংঘর্ষের ঘটনায় ভূঞাপুর থানার এসআই মাহমুদুল হক বাদী হয়ে গত রবিবার (২৮ মার্চ) কালিহাতী গোহালিয়াবাড়ী গ্রামের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মোর্শেদা খানম ডলিকে প্রধান ও ইউপি মেম্বার-আওয়ামীলীগ নেতা নূরুল ইসলামকে দ্বিতীয় আসামি করে তিনি মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী থানার এসআই মাহমুদুল হক এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন- ‘সম্প্রতি গেল শুক্রবার নলুয়া ও গোহালিয়াবাড়ী দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় থানার ওসিসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০জন আহত হোন। পরে আহত বেশ কয়েকজনকে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।’
এদিকে জানা যায়- ‘আহতদের মধ্যে নলুয়া গ্রামের সোবাহান (৩১), খায়রুল ইসলাম (২১) ও গোহালিয়াবাড়ীর বাবলু (২৩) নামে তিন যুবক ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় নিকরাইল, নলুয়া ও গোহালিয়াবাড়ী এলাকায় মামলার অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাড়ি পুরুষ শন্য হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।’
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব জানান- ‘থানার এসআই মাহমুদুল হক বাদী হয়ে ৭২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত চার থেকে ৫ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।’ তিনি আরও জানান- ‘ওই এলাকায় বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে। এছাড়াও অনাকাঙ্কিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ মোতায়েনও করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত প্রকাশ, ভূঞাপুরের নলুয়া গ্রামের নারীকে উক্তাক্ত ও পূর্ব শত্রুতাকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার ২৬ মার্চ বিকালে জেলার ভূঞাপুর উপজেলার নলুয়া ও কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী দুই গ্রামবাসীর মধ্যে নিকরাইল বাজারে সংঘর্ষ হয়। এ খবর পেয়ে ভূঞাপুর থানা পুলিশ উভয়পক্ষের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে থানার ওসি আব্দুল ওহাবসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়।