আজ রবিবার | ২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১২ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৩:০০
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:-টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর উপজেলার ৪৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক/কর্মচারীদের নিয়ে সখিপুর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি গঠিত।সমিতিতে সদস্য সংখ্যা ৬ শতাধিক। তাদের বেতনের শতকরা ১ ভাগ টাকা সমিতির কল্যাণ তহবিলে জমা হয়।এছাড়া গ্রামার,ব্যাকরণ,গাইড-নোট বই, সহপাঠ,প্রশ্নপত্র প্রনয়নে মোটা অংকের ডোনেশন জমা হয়। লাভ জনক সমিতি হওয়ায় প্রতি তিন বছর পর পর নির্বাচণের মাধ্যমে সমিতির সভাপতি-সম্পাদকসহ অন্যান্য পদ পূন:গঠন করা হয়। দীর্ঘদিন যাবত সমিতি সচ্চভাবে পরিচালিত হলেও বিগত কয়েক বছর যাবত লুটপাটের সমিতিতে পরিণত হয়েছে।অডিটে প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়। বিগত দিনে কল্যাণ তহবিলে দায়িত্বে থাকা ও সমিতির দায়িত্বে থাকা নেতৃবৃন্দ লাখ-লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।সর্বশেষ সখিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে আত্মসাৎকৃত টাকার মধ্যে ৩৫ লক্ষ টাকা আদায়ের জন্য সাব্যস্ত করা হয়। সখিপুর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির অফিস সূত্রে জানা যায়, সখিপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের আত্মসাতকৃত টাকার মধ্যে সাব্যস্ত ৩৫ লক্ষ টাকার মধ্যে ব্যাংকের মাধ্যমে আদায় হয়েছে ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা । ৪জনের মধ্যে সাবেক সেক্রেটারী একেএম. সাইফুল্লাহ সাব্যস্ত ৬ লক্ষের মধ্যে দিয়েছেন ১লক্ষ টাকা এবং কল্যাণ তহবিলের সাবেক সেক্রেটারী তুলা মিয়ার সাব্যস্ত ১৭ লক্ষ টাকার মধ্যে২০ হাজার টাকা জমা দিয়েছেন । আর কেউ কোন টাকা জমা দেয় নাই।জানা গেছে গত ১৫ফেব্রুয়ারী/২১ইং শিক্ষক সমিতির এক জরুরি সভা্য় তহবিলের প্রায় সাড়ে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাত করার অভিযোগে কল্যাণ তহবিলের সভাপতি মোঃ তুলা মিয়াকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সেই প্রেক্ষিতে গত বছর ১২ই মার্চ সখিপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ তহবিলের সভাপতি মোঃ তুলা মিয়ার বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাত, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রেক্ষিতে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ করেছিল সংগঠনের ৬ শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী । এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তুলা মিয়া তার পদ ফিরে পেতে বিজ্ঞ আদালতে ৩৭ জন শিক্ষকের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করেন।তুলা মিয়ার এ মামলা মিথ্যা ও হয়রানীমূলক প্রমানীত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত তা না মঞ্জুর করেন। এর পর বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দ তুলা মিয়ার নিকট হতে সমিতির আত্মসাৎকৃত টাকা উদ্ধারের জন্য গত ৪ঠা এপ্রিল/২১ইং সখিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার চিত্রা শিকারীর নিকট আবেদন করেন। ইউএনও শিক্ষক নেতৃবৃন্দের সাথে কয়েক দফা মিটিং করে অবশেষে গত ৫ডিসেম্বর’২১ইং তাঁর অফিস কক্ষে শিক্ষক নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনান্তে একটি দিকনির্দেশনামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। নানা ভাবে হিসাব-নিকাশ করার পর, কাট-ছাট দিয়ে কার কাছে সমিতি কত পাওনা তার একটি তালিকা প্রকাশ করেন। তালিকা অনুযায়ী জানা যায়,বর্তমান কমিটির তিন বারের সভাপতি ও গোহাইল বাড়ী আঃ গনি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহীদুল ইসলামের নিকট সাব্যস্তকৃত টাকার পরিমাণ-৬ লক্ষ, সাবেক সেক্রেটারী-ও কালিদাস কলিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহ:প্রধান শিক্ষক একেএম. সাইফুল্লাহর নিকট সাব্যস্তকৃত টাকার পরিমাণ-৬ লক্ষ, কল্যাণ তহবিলের সভাপতি ও কচুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ তুলা মিয়ার নিকট সাব্যস্তকৃত টাকার পরিমাণ-১৭ লক্ষ, কল্যাণ তহবিলের সাবেক সভাপতি ও নলুয়া বাছেদ খান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ তোফাজ্জল হোসেনের নিকট-সাব্যস্তকৃত টাকার ২ লক্ষ এবং সমিতির ক্যাশিয়ার ও কালিয়া আড়াইপাড়া ডাকাতিয়া মাজেদা মজিদ(কাপাডামাম) উচ্চ বিদ্যালয়ের সহ:শিক্ষক মোঃ কামরুল ইসলাম সাব্যস্তকৃত টাকার পরিমাণ-৪লক্ষ টাকা । সখিপুর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো.শহিদুল ইসলাম বলেন,আমি কোন টাকা-পয়সা আত্নসাৎ করিনি,তাই সমিতি আমার নিকট কোন টাকা-পয়সা পায় না। উল্লেখ্য যে, গত ১৫ ডিসেম্বর/২১ইং শিক্ষক সমিতির এক সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার চিত্রা শিকারীর বেঁধে দেওয়া ১০ জানুয়ারীর মধ্যে অভিযুক্ত ওই ৪ শিক্ষক সাব্যস্তকৃত সমস্ত টাকা জমা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও কেউ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন নাই।ফলে দীর্ঘদিন যাবত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ তাদের জমাকৃত ১% টাকা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
Dhaka, Bangladesh শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:30 PM |
Isha | 6:50 PM |