আজ রবিবার | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৫:৩৬
বিডি দিনকাল ডেস্ক :- করোনা-আক্রান্তদের বিপদ যে ডায়াবেটিস থাকলে বাড়ে, সে কথা নতুন নয়। ডায়াবেটিস থাকলে যেমন করোনা হলে জটিলতা বাড়ে, তেমনই করোনাও বাড়িয়ে তোলে ডায়াবেটিস। রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকলে সেই কো-মর্বিডিটি কোভিড রোগীর ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়। কোভিড বা যে কোনও বড় রোগ শরীরে ইনসুলিনের মাত্রাকে প্রভাবিত করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিস রোগীর কোভিড হলে যেমন তার সুগার সংক্রান্ত জটিলতা বেড়ে যায়, তেমনই আবার ডায়াবেটিস নেই (নর্মো-গ্লাইসিমিক), এমন ব্যক্তিরও ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে কোভিড । অর্থাৎ, দু’দিক থেকেই বাড়তি বিপদ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ৫ উপায়ে সুস্থ হয়ে উঠবেন সহজেই।
হলুদ:অসুস্থতা নিরাময়ে কয়েক শতাব্দী ধরে হলুদ ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াই করার এবং ইনসুলিন উৎপাদন সম্পর্কিত সমস্যা সমাধান করার ক্ষমতাও রাখে। এর জন্য দুধ এবং খাবারের অভ্যন্তরে হলুদ খেতে পারেন। হলুদের প্রধান উপাদান কারকিউমিন নামক কম্পাউন্ড অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণাবলীর জন্য সুখ্যাত। এর ফলে হলুদ আয়ুর্বেদ ঔষধে শত শত বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দেহের কোষকে ধ্বংস থেকে রক্ষা করে। হলুদ, দুধে আছে সব রকমের প্রদাহ বিরোধী গুণাগুণ।
আমলকি:আমলকিতে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যখনই অগ্ন্যাশয় অস্বাভাবিকভাবে কাজ করে এবং ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়ায়, তখন আমলকির অভ্যন্তরে উপস্থিত ক্রোমিয়াম কার্বোহাইড্রেট আপনার বিপাককে আরও সক্রিয় করে তোলে। এর ফলে শরীর ইনসুলিন সম্পর্কিত সমস্যা হ্রাস করতে সক্ষম হয়।
লাউয়ের স্যুপ:আমরা সকলেই স্যুপ খেয়েছি। স্যুপের অভ্যন্তরে এমন অনেক ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে যা ব্যক্তিকে সুস্থ রাখে। অন্যদিকে, আপনি যদি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তবে আপনি মরিঙ্গা বা লাউয়ের স্যুপ খেতে পারেন। এই দুই স্যুপ অনাক্রম্যতা উন্নত করে। শুধু এটিই নয়, স্যুপের অভ্যন্তরে এমন অনেকগুলো বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনাকে চাপ থেকে দূরে রাখে।
চিনি দেয়া খাবারে সীমাবদ্ধতা:আপনি যদি প্রায়শই ভাজা, মিষ্টি বা ময়দা খান এতে শরীরে গ্লুকোজ গঠনের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে যা চিনির মাত্রা বৃদ্ধির কারণ। এ জাতীয় পরিস্থিতিতে এই বিষয়গুলো থেকে সম্পূর্ণ দূরত্ব বজায় রাখা খুব জরুরি। এগুলো ছাড়াও আপনি জাওয়ার বা রাগির ময়দার মতো আয়রন বা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে পারেন। এছাড়াও, আপনার ডিনার যতটা সম্ভব হালকা এবং স্বাস্থ্যকর করুন। এরমধ্যে আপনার এমন শাকসবজি এবং ফল খাওয়া উচিত যাতে আয়রন, ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস জাতীয় খাবার থাকে। যেমন পালংশাক, লাউ, জাম, আপেল, পেঁপে।
যোগব্যায়াম:যদি আপনি আপনার প্রতিদিনের রুটিনে যোগব্যায়াম রাখেন এর চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে না। যোগব্যায়াম কেবল আপনাকে ফিট রাখে না। বরং এর মাধ্যমে আপনার দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলো আরও ভালো কাজ করতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, কিছু যোগা এবং অনুশীলন রয়েছে যা সেই অগ্ন্যাশয় কোষগুলোকে সক্রিয় করে যা ইনসুলিনের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে। এমন পরিস্থিতিতে যদি আপনি খাওয়ার পরে বজ্রাসন করেন তবে তা আপনার হজম এবং বিপাককে উন্নত করে। প্রাণায়াম, মন্দুকাসন, ভুজঙ্গাসন এবং নিয়ম করে প্রতিদিন হাঁটলে আপনার সুগার লেভেলে ভারসাম্য বজায় থাকবে।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |