আজ মঙ্গলবার | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | ভোর ৫:৫১
নজরুল ইসলাম মানিক, সাভার ও আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি ঃ আশুলিয়ায় অগ্নিকান্ডে তাজরীন ফ্যাশনের শতাধিক নিহত শ্রমিকদের স্মরনে পুড়ে যাওয়া ভবনের সামনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন, শ্রমিক ও আহত নিহদের স্বজনরা। এসময় বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিক সংগঠন সমূহ মানববন্ধ কর্মসূচীও পালন করেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) ৮ টা থেকে পুড়ে যাওয়া তাজরীন গার্মেন্টসের প্রধান ফটকের সামনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা।একের পর এক ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা এসে তাজরীন ট্রাজেডিতে পরাজিত শ্রমিকদের স্বরণে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। শ্রদ্ধা জানাতে আসা বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার বলেন, আমাদের শ্লোগান ছিল ‘মৃতদের স্মরণ করো, জীবিতদের জন্য লড়াই করো; দোষীদের শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ আইন বদল এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন চাই। এসব দাবি নিয়ে আমরা গত ১০ দিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছি। তিনি আরোও বলেন, আজ থেকে দশ বছর আগে ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর গার্মেন্টস কারখানার ইতিহাসে এবং বাংলাদেশের একটি স্মরণীয় ট্রাজেডির দিন। ১০ বছর পার হয়েছে মামলায় দীর্ঘসূত্রিতা, বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং স্বজনপ্রীতির দোষে আজো শাস্তি হয়নি তাজরীনের দোষী মালিক দেলোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য দোষীদের। উল্লেখযোগ্য কোন বদল হয়নি ক্ষতিপূরণের আইন। ক্ষতিগ্রস্তদের হয়নি যথাযথ পুনর্বাসন। তাসলিমা আখতার বলেন, বাংলাদেশের ৪০ লাখ শ্রমিকের প্রতিনিধি তাজরীনের শ্রমিকরাও। বাংলাদেশের নাম আর সব শ্রমিকের মতো তাজরীন শ্রমিকরাও সারা দুনিয়ায় পরিচিতি করেছিলো। অথচ মালিক, সরকার আর বায়ারের অবহেলা এবং অমোনোযোগে প্রাণ হারায় সেই শ্রমিকরা। বিচারহীনতার ১০ বছর বলে দেয় শ্রমিকের জীবন ও স্বপ্নের কোন মূল্য নেই সরকারের কাছে। রপ্তানী আয়ের শীর্ষখাতের শ্রমিকদের জীবন ও স্বপ্ন, মালিক-সরকার এবং বায়ারদের কাছে কত স্বস্তা তাজরীনের আগুনে মৃত শ্রমিকরা যেন তার স্বাক্ষ্য দেয়। এসময় তিনি দোষীদের শাস্তি, ক্ষতিপুরণ আইনের বদল ও ক্ষতিগ্রস্থদের যথাযথ পূর্নবাসন দাবি করেন। একইসাথে জীবিত শ্রমিকদের জন্য বাঁচার মতো মজুরি দাবি করেন তারা।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরিন ফ্যাশন গার্মেন্টসে অগ্নিকান্ডে প্রাণ হারান ১১৪ জন শ্রমিক। আহত হন আরও প্রায় দুই শতাধিক। প্রায় প্রতিবছর নিহতদের স্বরণে শ্রদ্ধাসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |