আজ রবিবার | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৬:৫০
এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন:-বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং আধুনিক-স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রার সঙ্গে জিয়া পরিবারের যে আত্মিক বন্ধন, তারই ধারাবাহিকতা রক্ষার অজেয় উত্তরাধিকারের নাম তারেক রহমান। গুম-খুন, অবিচার-অত্যাচারে অতিষ্ঠ ১৭ কোটি মানুষের বর্তমান বাংলাদেশে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত নেতৃত্বের নাম তারেক রহমান। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আদর্শ বুকে ধারণ করে যে লাখ লাখ নেতাকর্মী নব্য স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাজপথে যুদ্ধ করছে, তাদের অনুপ্রেরণার নাম তারেক রহমান।
তারেক রহমানের সাথে যখনই কথা হয় তখনই সংগঠন ও সংগঠনের নেতাকর্মীদের কথা জিজ্ঞেস করেন। সুদূর লন্ডনে বসে একজন মানুষ কতটা বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের জনগন নির্ভর চিন্তা ভাবনায় নিজেকে নিমজ্জিত রাখতে পারেন, তারেক রহমান তার জলন্ত প্রমাণ। তারেক রহমানের সবচেয়ে বড় গুন হচ্ছে- চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে তিনি সম্ভাবনার কথা বলেন ও প্রবল চাপের মধ্যেও তিনি সদা অনড় থাকেন।
বাংলাদেশে থাকাকালীন সময়ে তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। যে দেশে তাঁর পিতা ছিলেন রাষ্ট্রপতি, মা ছিলেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, সে দেশের রাজনীতিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পদ্ধতি হিসেবে তৃণমূল রাজনীতিকে বেছে না নিলেও খুব একটা অসুবিধা হতো না। তবু তিনি ছুটে গেছেন তৃণমূল মানুষের কাছে, তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে।
সে বার দেশে প্রচণ্ড শীত পড়েছে। উত্তরাঞ্চলের শৈত্যপ্রবাহে মানুষ মারা যাচ্ছে। আমাদের সাথে নিয়ে উনি চলে গেছেন সেখানে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে। এক দিনের জন্য গিয়ে তিন দিন ঘরে ফিরেননি। সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ নিজে ভাগ করে নেয়ার অকৃত্রিম প্রবনতা তাঁর মধ্যে আমি দেখেছি। প্রকাশ্য রাজনীতিতে আসার আগেই তিনি সামাজিক উন্নয়ন ও সেবামূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে যুক্ত করেন। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে তিনি ‘জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন’ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলেন। এই সংগঠনের আওতায় তিনি ‘কমল বীজ প্রকল্প’, ‘হাঁস, মুরগী ও ছাগল পালন জাতীয় কর্মসূচি’, ‘অ্যাজমা কেয়ার অ্যান্ড প্রিভেনশন সেন্টার’, ‘বৃত্তি প্রকল্প’, ‘বন্যা পুনর্বাসন কার্যক্রম’, ‘কমল পানি প্রকল্প’ ও ‘সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি’সহ বেশ কিছু কর্মসূচি ও প্রকল্প শুরু করেন। “একটি উদ্যোগ একটু চেষ্টা, এনে দেবে সচ্ছলতা’ স্লোগান নিয়ে তিনি সারাদেশে গরিব-অসচ্ছল মানুষকে সচ্ছল ও স্বাবলম্বী করতে নানা প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করতে পারলে তারা জাতীয় উন্নয়নে অংশীদার হতে পারবে। এভাবে তারেক রহমান রাজনীতিকে সেবায় পরিণত করেন। তার এই সেবামূলক রাজনৈতিক ভাবনা ও কর্মসূচি তাকে দেশব্যাপী যতটা না রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত করেছে, তার চেয়ে বেশি পরিচিত করেছে সেবক হিসেবে।
তিনি সারাদেশ ঘুরে বেড়াতেন। প্রায় প্রতিটি সফরেই আমি তাঁর সাথে থাকতাম। আর মুগ্ধ হয়ে দেখতাম, একজন উদারমনা, কর্তব্যপরায়ণ, পরিশ্রমী, সাবলীল ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন তারেক রহমানকে। তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে সাথে থাকা নেতাকর্মী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এমনকি গাড়ির ড্রাইভারদের না খাইয়ে কখনও তাঁকে খেতে বসতে দেখিনি।
তিনি আমাদেরকে সবসময় বলতেন এবং এখনও বলেন, দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কাজ কর। যারা দায়িত্বশীল পদে আছো তারা সংগঠনের তৃণমূল নেতাকর্মীদের আশা আকাঙ্ক্ষার পক্ষে কাজ কর।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র পদাঙ্ক অনুসরণ করেই তারেক রহমানের পথচলা। সার্বভৌমত্ব ও দেশের স্বার্থের প্রশ্নে তারেক রহমান অবিচল। দেশকে বিকিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসার নীতিকে ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করেন বলেই এখনও ক্ষমতার বাইরে আছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, জনগনের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে রাজনীতি করলে জনগনই একদিন স্বৈরাচারকে হটিয়ে দেশের দায়িত্বভার তুলে দেবেন। এ লক্ষ্যেই তিনি অধিকারবঞ্চিত জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
তারেক রহমান রাজনীতির অঙ্গনে চিন্তাশীল এক নতুন প্রজন্মের প্রতীক। তাই তিনি দল ও রাষ্ট্রের ভবিষ্যতের কথা ভেবে নতুন নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির জন্য ২০০৫ সালে শুরু করেন তৃণমূল প্রতিনিধি সভা। যা তাঁকে শহীদ জিয়ার অনুসারী ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী রাজনীতির পরিমণ্ডলে আজ ব্যাপকভাবে সমাদৃত করেছে ও দেশব্যাপী তাঁকে ব্যাপক জনপ্রিয় করে তুলেছে। তিনি দেশ ও দলের সম্পদ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাঁর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়েই বর্তমান সরকার তাঁর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বিভিন্ন রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় ন্যূনতম প্রমাণাদি ছাড়াই জোরপূর্বক রায় দিচ্ছে ও সাঁজা ঘোষণা করেছে। কোনও অপরাধের প্রমাণ না পাওয়ায় তারেক রহমানকে নিরপরাধ ঘোষনা করার অপরাধে (!) সরকার এক বিচারপতিকে দেশছাড়া করেছে।
আমাদের প্রিয় নেত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে এই অবৈধ সরকার অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক করার পর তারেক রহমানকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি দায়িত্ব নিয়ে গুম হয়ে যাওয়া গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য সুদূরে বসেও দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করে দলকে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত করছেন। জাতীয় ঐক্যকে সুদৃঢ় করতে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখছেন।
তৃণমূল রাজনীতির প্রাণ পুরুষ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ৫৬তম জন্মদিন আজ। আজ এই শুভ দিনে আপনার প্রতি রইলো সমস্ত শুভকামনা। আমি জাতীয়তাবাদী যুবদল ও ঢাকা-১৮ আসনের সকল জনগনের পক্ষ থেকে জানাই রক্তিম শুভেচ্ছা। আমরা আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। এই শুভদিনে প্রত্যাশা করি, আপনার পিতা-মাতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আপনিও দেশের মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন। আপনিই হবেন ১৭ কোটি শোষিত জনতার মুক্তির আলোকবর্তিকা, ইনশাআল্লাহ্!
শুভ জন্মদিন হে প্রিয় নেতা, প্রিয় ব্যক্তিত্ব, প্রিয় অভিভাবক!
–এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন
সহ-সভাপতি, যুবদল, কেন্দ্রীয় কমিটি।
সভাপতি, যুবদল, ঢাকা মহানগর উত্তর।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |