আজ মঙ্গলবার | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১২:০১
এম, এ কাশেম : সারাদেশে দলকে ঢেলে সাজানোর জন্য এবং বর্তমান সরকার বিরোধী আন্দোলনের জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ‘তারেক রহমান’ সারাদেশে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল সহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নতুন কমিটি গঠনের জন্য বিভাগীয় টিম ও জেলা ভিত্তিক নের্তৃবৃন্দের সমন্বয়ে প্রতিটি জেলা ও উপজেলা কমিটিতে বিগত সময়গুলোতে আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে থাকা ত্যাগী ও মামলা-হামলার শিকার এবং জেল-জুলুম–নির্যাতনের ষ্ট্রিম রোলারের নিচে পড়ে জীবন-জীবিকার কষ্টভোগী নেতা কর্মীদের কে দিয়ে কমিটি গঠনের যে নির্দেশনা দিয়েছেন বর্তমানে কোনো টিম তাহা মানছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। দলের তৃণমূল পর্যায়ে দায়িত্বে থাকা অধিকাংশ নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, কমিটি গঠনে দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতারা সারাদেশে যে সমস্ত কমিটি এ পর্যন্ত প্রকাশ করেছেন এতে দেখা গেছে, সোশ্যাল মিডিয়াতে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রতিবাদের ঝড় বইয়ে চলেছে। সূত্র জানিয়েছে, প্রতিটি উপজেলায় এমন সব কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে যে, যারা কমিটি গঠন করেছেন বা যারা কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন তারা-ই দলকে দ্বিধাবিভক্ত করে চলেছেন। এ ছাড়া ও জুনিয়র কে সিনিয়ার এবং সিনিয়র কে জুনিয়র বানিয়ে ও কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে বেশ কয়েকজন সাধারণ নেতা-কর্মী অভিযোগ করেন। যার কারেনে দেশের অধিকাংশ এলাকায় সাধারণ নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের দাবানল ও জ্বলছে দাউ দাউ করে। সূত্র মতে-জেল জুলুম, হামলা-মামলা ও অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার নেতা কর্মীদের বাদ দিয়ে যে সকল কমিটি করা হয়েছে তা দলকে অচিরেই সিমাহীন ক্ষতির দিকে ধাবিত করবে। এ ছাড়া-উক্ত গঠনকৃত কমিটি গুলোর মধ্যে অধিকাংশ-ই দলের উপকারের চেয়ে বেশী ক্ষতির কারন হয়ে দাড়াবে। ক্ষতির দিক্ দিয়ে ধরে নেয়া যায়-যেমন:-ইউনিয়ন কমিটি গুলোর মধ্যে অনেকটির আহবায়ক ও সদস্য সচিব দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে কর্ম্ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে! আর এ কারণে অনেক এলাকায় কমিটি গঠন নিয়ে ও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। যার কারণে আর তেমন একটা বৈঠক ও না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। দলের অনেক প্রবীণ ও অভিজ্ঞতা সম্বৃদ্ধ নের্তৃবৃন্দ তাদের অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে বলছেন-সবাইকে একত্রিত করে যদি কমিটি গঠন করার মাধ্যমে কর্মকান্ড চালানো হয় তাহলে দলের জন্য ভালো বৈ খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তারা মনে করেন, ভাগাভাগি বা গ্রুপিংয়ের রাজনীতি ও ‘ভাইয়া মার্কা’ কমিটি বন্ধ করতে হবে। আর গ্রপিংয়ের মাধ্যমে যদি ‘ভাইয়া মার্কা’ কমিটি আরো করা হয় তাহলে দলের বারোটা বাজিয়ে দেযা হবে। এমন কি আর যদি ভাগাভাগি হয় তাতে হবেনা ইউনিয়ন কমিটি এবং হবেনা ওয়ার্ড কমিটি গুলো ও। তাহলে তৃণমূলের সর্বস্তরের কমিটি এভাবে ঝুলে থাকবে। যদি তা হয় তাহলে সংগঠনের কোনো অগ্রগতি হবেনা। আর গ্রুপিং সম্বৃদ্ধ ভাগাভাগি ও ‘ভাইয়া মার্কা’ কমিটি গঠনের কারণে অযোগ্য, অথর্ব, ইয়াবা আসক্ত, ড্রাগ আসক্ত সহ নানাবিধ: খারাপ কর্মের লোক গুলো তাতে জায়গা করে নিবে। এবং দলের ত্যাগি ও মামলা-হামলা ও অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার নেতা কর্মীরা বাহিরে থেকে যাবে। এবং আওয়ামিলীগ এর এজেন্ট সহ বিভিন্ কু’প্রবৃত্তির লোক গুলো কমিটিতে স্থান দখল করে নিয়ে নিবে। আর এতে হয়তো বা দেখা যাবে-‘ভাইয়ের রক্ত ভাইয়ে ও খাবে এক সময’। বর্তমানে দলের দ্বিধাবিভক্তির কারণে কর্মকান্ডে ও এক প্রকার স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। তাই দলের শুভাকাঙ্খী অনেকেই কমিটি গঠনের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতাদের বিনীত অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন- দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ‘তারেক রহমান’র নির্দেশনা মেনে প্রতিটি জেলা ও উপজেলা এবং পৌরসভা সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সঠিক বায়োডাটা নিয়ে সিনিয়র নের্তৃবৃন্দের মাধ্যমে সঠিক তথ্য নিয়ে তা যাচাই-বাছাই করে কমিটি গঠনের দাবি ও জানিয়েছেন তারা। আর তাদের অনুরোধক্রমে যদি কমিটি গুলো সেই ভাবে করা হয় তাহলে সেই কমিটির মাধ্যমে বর্তমান আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সকল নেতা-কর্মীদের সম্পৃত্তা দ্বিগুণ পাওয়া যাবে। এবং তাতে দল ও উপকৃত হবে আর আন্দোলন-সংগ্রামে নেতা-কর্মীরা ও সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। অন্যথায় গ্রুপিং ও ভাগাভাগি দিয়ে দলকে ধ্বংস না করার ও দাবি ও উঠেছে সর্বোত্র। অনেকেই মনে করেন, মনোপূত নেতাদের কে খুশি করা কমিটি গঠন করলে আগামীর আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে নেতা-কর্মী পাওয়া যাবে না। দলের ত্যাগী সাধারন নেতা-কর্মীদের দাবি: দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ‘তারেক রহমান’ দলের মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির নের্তৃবৃন্দ সহ প্রতিটি উপজেলা এবং জেলায় অচিরেই ভাগা ভাগি কমিটি গঠন বন্ধ করা সহ গ্রুপিং রাজনীতি নিরসনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |