আজ মঙ্গলবার | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৬:৩৩
কামরুল হাসান বাবলু:- রাজধানীর দক্ষিণ খান এলাকার আজমপুর কাঁচা বাজার সংলগ্ন হাসান মাহমুদ কমপ্লেক্স এর তৃতীয় তলায় বি-এলার্ট সিকিউরিটি কোম্পানির অফিস থেকে থানা পুলিশ একটি ঝটিকা অভিযান চালিয়ে কোম্পানিটির নানা স্তরের ৩২ জন নারী পুরুষ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে গতকাল শনিবার ৩ ডিসেম্বর বিকেলে ।
গ্রেফতারকৃতদেরকে থানা পুলিশের কয়েকটা গাড়িতে করে কড়া পাহারায় থানায় নিয়ে যায় পুলিশ ।
এদিকে কোম্পানিটিতে চাকুরী প্রার্থী অনেক শ্রমিক প্রতারণার শিকার হয়েছেন । তাদের মধ্যে কয়েকজন আজ থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । তাদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই থানার সদ্য যোগদানকারি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অফিসার ইনচার্জ ) মো:জাহাঙ্গীর হোসেন খান এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে ।ওই অভিযানের সময় মালিক পক্ষের কাউকে পাওয়া যায় নাই ।
এদিকে , অভিযানে সেই সময় বেশ কয়েকজন চাকরি প্রাথী উপস্হিত ছিলেন। কয়েকজন চাকরি প্রার্থীর সাথে আলাপ করে জানা যায় ,বি-এলার্ট সিকিউরিটি কোম্পানিটি ফেসবুকে আরো দুইটি (১) দৈনিক চাকরি খবর এবং (২) এরিস্টো সুপার সিকিউরিটি & লজিস্টিকস সার্ভিস লি:নাম ব্যবহার করে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দেয় । ওই দুই ফেইসবুক মেসেঞ্জারে চাকুরী প্রার্থীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে অফিসে আসতে উৎসাহ দেয় কোম্পানিটির বেতনভুক্ত নারী পুরুষ কর্মীরা । চাকুরী প্রথিতরা আরো অভিযোগ করে বলেন , প্রথম ধাপে সিকিউরিটি মানি হিসেবে জন প্রতি ১৫/২০ হাজার টাকা করে নেয়া হয় ।সাথে যারা কিছুটা শিক্ষিত যুবক তাদের কাছ থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতার অরিজিনাল কাগজপত্র জমা নেয়। তার পর তাদের সাথে পর্যায় ক্রমে প্রতারণা শুরু হয়ে যায় । আদো এই কোম্পানিটির কোনো কাজের সন্ধান পায়নি ঐ যুবকরা ।
অন্যদিকে এই কোম্পানিটির বিরুদ্দে এর আগেও অনেক অভিযোগ হয় থানা সহ র্যেবের কাছে ।থানা সূত্র থেকে জানা যায় ৬ টি মামলা রুজু হয়েছে এই কোম্পানির বিরুদ্দে। তবে বেশ কয়েক মাস আগে রেব এর একটি দল অফিসটিতে অভিযান চালিয়ে এর মূল মালিক ও তার সহধর্মীনি কোম্পানিটির ডিপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আনোয়ারা খানম আলোকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। পরে তারা জামিনে বের হয়ে এসে আবারো তাদের কর্যক্রম নতুন আঙ্গিকে শুরু করে ।
এদিকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো:জাহাংগীর হোসেন খান তার দপ্তরে দৈনিক যায়যায়দিনকে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, সদ্য আমি যোগদান করেছি ।আমি চাই কোনো নিরীহ মানুষ যেন কোনো ধরণের সমস্যায় না পড়ে। যখনি কোনো অভিযোগ পাওয়া যাবে তাৎক্ষণিক বিচার বিশ্লেষন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে ।তিনি আরো বলেন ,বি-এলার্ট কোম্পানিটির বিরুদ্ধে বিশেষ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে ।দোষী প্রমাণিত হলে অবশ্যই আইনের মুখমুখী হতে হবে ।এখন মাত্র মামলা হলো ।যত দ্রুত সম্ভব দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের হাতে সোপর্দ করা হবে ।
আজেই গ্রেফতার কৃতদেরকে আদালতের কাছে রিমান্ড চেয়ে পাঠানো হবে বলে যায়যায়দিনকে নিশ্চিত করেছেন এই কর্মকর্তা।
মামলা নাম্বার হলো ০৬/১২/২০২২ইং।তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে রয়েছেন এস আই হেলাল উদ্দিন।
ক্ষতিগ্রস্ত চাকরী পার্থীদের মধ্যে(১ )হেলাল উদ্দিন(৩২),জাতিয় পরিচয়পত্র নং-৭৭৫১১০৫৮১৩ , পিতা- শাহ আলম, গ্রাম-চর বেদমা , থানা- রামগতি, লক্ষ্মীপুর, (2)আলি আরমান সিকদার(২০) জাতীয় পরিচয়পত্র নং- ৭৩৬০৫৫৪১১, পিতা- মোঃ আবু তালেব, গ্রামঃ হোগলা কান্দি, থানা- গজারিয়া, জেলা মুন্সিগঞ্জ এই দুই জন বাদি হোয়ে কম্পানিটির নিয়মিত অফিস স্টাফ (১) মোঃ মিশর মোল্লা(২৭), পিতা-বাবু মোল্লা,গ্রাম গোব্রু, নড়াইল সদর, (২) তারেক হাসান(২২) , পিতা- তৈয়ব হাসান,গ্রাম গ্রিদ কালিন্দিয়া বাজার,থানা রায়পুর, (৩) মোঃ রিয়াজুল হক(৪০) পিতা মৃত ছালাম মোল্লা,(৪) আনোয়ারা খানম আলো ওরফে আরফিন আলো(৩৫) , পিতা মৃত- আবদুল মালেক মোলার বিরুদ্দে অর্থ আত্মসাৎ,প্রতারনার অভিযোগ এনে মামলা করেন ।
এদিকে কম্পানিটির স্বত্বাধিকারী ৩ নং আসামী রিয়াজুল হক ও ৪নং আসামী আনোয়ারা খানম আলো সম্পর্কে স্বামী স্ত্রী। উভয়ের গ্রামের বাড়ী ছোলনা উত্তরপাড়া, থানা- বোয়ালমারী, জেলা ফরিদপুর। এই দুই আসামী বর্তমানে পলাতক রয়েছে ।তাদের গ্রেফতারে একটি টিম মাঠে কাজ করছে।
অন্যদিকে তাৎক্ষণিক গ্রেফতার হওয়া ৯ নারী সহ ২৩ জন পুরুষদের মধ্যা নানা তথ্য উপাত্তের ভিত্ততে মোট চার জনের বিরুদ্দে মামলা নিয়ে বাকিদের মুছলেখা রেখে পরিবার পরিজনের জিম্মায় ছেড়ে দেয় পুলিশ।
Dhaka, Bangladesh মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:38 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |