আজ রবিবার | ২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১২ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৩:৫৮
বিডি দিনকাল ডেস্ক :- দক্ষিণখান মধ্যআজমপুর মুক্তিযুদ্দা রোডের নূর মসজিদের সম্মানিত ইম্মাম সাহেব সব সময় হাসি মুখে মুসল্লিদের সাথে কথা বলতেন।কিন্তু আজ প্রায় তিনি বাকরুদ্ধ ।মুসল্লিদের কথার জবাব তিনি দিতে পারছেন না ।
করোনা মহামারীতে সর্বাত্মক লোকডাউন চলাকালীন সময়ে সরকার এর ধর্মমন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা আসলো আগামীকাল ১৪ এপ্রিল বুধবার প্রথম রমজান থেকে দেশের মসজিদ গুলোতে ইমাম,মোয়াজ্জেন ও খাদেমসহ মোট ২০ জন নামাজ পড়ার সুযোগ পাবে । এই খবরে মসজিদের সর্বস্তরের নিয়মিত মুসল্লিরা মর্মাহত । এই মসজিদটি ৪টি ফ্লোর রয়েছে ।যেখানে প্রতিদিন একসাথে হাজারো মুসল্লি নামাজ আদায় করে থাকেন। মুসল্লিরা দাবি করেছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সমস্ত নিয়ম কানুন মেনে নামাজ পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ।এই নিয়ে মসজিদ কমিটির দায়িত্ববান একজন ব্যক্তির সোজা উত্তর ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ঘোষণার বাহিরে যাওয়া যাবেনা ।এই ঘোষণার ফলে উপস্থিত মুসল্লিদের মাঝে ব্যপক মিশ্র্র প্রতিক্রিয়া হলো ।মুসল্লিরা বলেছেন যেই খানে আল্লার ঘরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে মসজিদে নামাজ আদায়ের জন্য আসবে সেইখানে কি আল্লার নালত পড়তে পারে ? অথচ বিভিন্ন মার্কেটে ,হোটেলে ,গার্মেন্টসে ,রাস্তা ঘটে এবং ব্যাংক গুলোতে মানুষে মানুষে ঠাসা ,সামাজিক দূরত্বের মানার কোনো বালাই নাই ওই খান গুলোতে কি আল্লার নালত পড়বেনা ?এমন প্রশ্ন বানে কথা বলছেন মুরব্বিরাসহ ওই মসজিদের সাধারণ মুসল্লিরা ।আরো অনেক মুসল্লিরা বলেছেন ,যত্র-তত্র বাহিরে নিয়ন্ত্রণ না রেখে শুধু আল্লার ঘর পবিত্র স্থান মসজিদে কেন নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে ।
ঠিক ওই সময় অল্প বয়সী এক যুবক মুসল্লি বলেছেন, তার ঘরে নাজ পড়ার কিংবা সময় নিয়ে একটু এবাদত করার তেমন কোনো সুযোগ নাই । এই অবস্থায় তিনি কোথায় নামাজ পড়বেন ,কি করবেন এই নিয়ে তিনি তার দুশ্চিন্তার কথা প্রকাশ করেছেন ।সেই সাথে আরেকজন সচেতন মুসল্লি বলেছেন ,সরকারের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে করোনা নামক ভয়ানক এই মহামারীতে হর হামেশয় রাস্তা ঘটে মানুষ চলাফেরা করছে ।সেখানে সরকার কি ভূমিকা গ্রহণ করেছে । যখন এই নিষেধাজ্ঞার ফলে রাস্তাঘাটে মানুষ জনের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ হবে তখন অবশ্যই মুসল্লির সংখ্যাও কমে আসবে । এই অবস্থায় ওই এলাকার সর্বস্তরের মুসল্লিরা পবিত্র রমজানে যেন তারাবিসহ ঠিক ভাবে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে পারেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন ।এই মসজিদে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সকল নিয়ম মেনে চলেই মুসল্লিরা নামাজ আদায় অব্যাহত রেখেছেন ।
এদিকে এই দক্ষিণখান থানা এলাকায় প্রচুর মসজিদ রয়েছে ।এলাকাটি বিরাট গণবসতি এলাকা ।মুসল্লির সংখ্যা অগুনিত ।১৯৮৯ ইং সালে এই মসজিদটি স্থাপিত হয় ।তখন এই এলাকায় উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি ।পর্যায়ক্রমে এই এলাকায় গণবসতি হতে থাকে ।এই নূর মসজিদটি পুরো দক্ষিণ খান এলাকায় ব্যপক পরিচিতি রয়েছে ।আশপাশের এলাকা থেকে অনেক মুসল্লি এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসেন ।
এই মসজিদের ইমাম সাহেবের নসিহতের কারণে এলাকার অনেক উর্তী বয়সের যুবকেরা নানান ধরণের আড্ডা ছেড়ে দিয়ে নামাজের প্রতি মনোযোগী হয়েছেন ,এমনকি বিভিন্ন বয়সের অন্য যাদের নামাজের প্রতি অনীহা ছিল তারাও আজ নামাজের প্রতি মনযোগী হয়েছেন , চেষ্টা করছেন ভালো পথে চলার জন্য ।এই নিষেধাজ্ঞার ফলে হয়তো অনেকেই মনযোগ হারা হয়ে পড়বে নামাজ থেকে ।এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে তাদের পরিবার ।এই মসজিদের ৪ টি ফ্লোরে হাজারো মুসল্লি এক সাথে প্রতিদিন নামাজ আদায় করেন ।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:07 PM |
Asr | 3:10 PM |
Magrib | 5:31 PM |
Isha | 6:50 PM |