আজ মঙ্গলবার | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১:১৬
যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার সফরের রেশ এখনো কাটেনি। তার সফরের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সফরে নানা পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় উজরা জেয়া বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তার দেশের দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরেন। কথা বলেছেন, মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়েও। ঢাকায় দীর্ঘ সফরে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধিদল। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইইউ পর্যবেক্ষক পাঠাবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নিতে অনুসন্ধানী পর্যবেক্ষক দলটি বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে সিরিজ বৈঠক করছে। ইইউ’র এই প্রতিনিধিদলও বাংলাদেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে। চলতি মাসেই ইইউ’র আরও একজন কর্মকর্তা ঢাকা সফরে আসছেন বলে জানা গেছে। রাজনীতির শঙ্কাবহুল সময়ে কূটনীতির জোর তৎপরতার মধ্যে গতকাল দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বৈঠক করেন বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ তিন নেতার সঙ্গে।
উভয় বৈঠকে সারাহ কুক বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়ে তার দেশের প্রত্যাশা ও অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। তিনি এ-ও বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সার্বক্ষণিক লেগে থাকবে তার দেশ। একই দিনে দুই দলের নেতাদের সঙ্গে কুকের এই বৈঠক রাজনৈতিক অঙ্গনেও বেশ কৌতূহল জাগিয়েছে।
দুই দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ঢাকাস্থ বৃটিশ হাইকমিশনের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে দুই পক্ষের সঙ্গে বৈঠকের ছবি পোস্ট করে আলোচনার বিষয়বস্তু তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক আজ আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি’র সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারা যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ সম্পর্ক এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে উৎসাহিত করে যুক্তরাজ্য।
ওদিকে বিএনপি’র একটি সূত্র জানিয়েছে, বৈঠককালে সারাহ কুক বাংলাদেশের নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চেয়েছেন। নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপি’র কী অবস্থান এটি জানার চেষ্টা করেন তিনি। বিএনপি নেতাদের সারাহ কুক জানিয়েছেন, বাংলাদেশে অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পক্ষে তার দেশ। নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়টি সার্বক্ষণিক তার দেশ নজরে রাখবে বলে জানান তিনি। গত কয়েক দিনের রাজনৈতিক কর্মসূচিও যুক্তরাজ্য দূতাবাস পর্যবেক্ষণ করছে বলে হাইকমিশনার জানিয়েছেন। ঢাকার উপনির্বাচনে হিরো আলমের ওপর হামলার বিষয়ও আলোচনায় আসে।
ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক: গতকাল বনানীতে সেতু ভবনে বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের যে কথা বলা হয় ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে ‘পার্টিসিপেটরি’ বা অংশগ্রহণমূলক শব্দটা যোগ করেছেন। তিনি বলেন, তাদের বলা তো তারা বলবেই। নির্বাচনে আসাটা একটি দলের অধিকার। আমি তো কাউকে জোর করে নির্বাচনে নিয়ে আসতে পারবো না। যে অংশ নেবে, নেবে। তারা যে শর্ত জুড়ে দিচ্ছে সেটা সংবিধানের বাইরে। আমার স্পষ্ট কথা, আমার দফা একটা। সংবিধানসম্মতভাবে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে।
নির্বাচনকালীন সরকারের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, উত্তর আমাদের সেটা একটাই, আমেরিকানদের যা বলেছি, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে যা বলেছি, আজকে বৃটিশ হাইকমিশনারকেও তাই বলেছি। আমাদের বক্তব্য অভিন্ন। আমাদের মূল বক্তব্য হচ্ছে, প্রত্যেক দেশে গণতন্ত্রের কার্যকারিতা ও নির্বাচন একই রকম। নির্বাচন কমিশন থাকে এবং তারা নির্বাচন পরিচালনা করে, আর সরকার নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করবে। তারা কোনো নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। তারা শুধু রুটিন কাজ করবে আর নির্বাচন করার জন্য যে যে সহযোগিতা দরকার সেটা দেবে। বিএনপি’র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে ‘অদ্ভুত, উদ্ভট ও অযৌক্তিক’ হিসেবে বর্ণনা করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “আসলে বিএনপি তাদেরকে নির্বাচিত হওয়ার গ্যারান্টি দিতে পারে, এমন ব্যবস্থার নিশ্চয়তা ছাড়া ইলেকশন করবে না। এটা তাদের পণ। তারা সংবিধান মেনে নির্বাচন করুক। ভয় কীসের, হেরে যাওয়ার? সরকার পতনের দাবিতে বিএনপি’র পদযাত্রায় বিভিন্ন জেলায় সংঘাতের বিষয়টি নিয়েও কথা হয় বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আমি বলেছি, মেইন অপজিশন গত ডিসেম্বর থেকে এই ঢাকা শহরে অনেকগুলো সমাবেশ পদযাত্রা করেছে। আমরাও অনেকগুলো শান্তি সমাবেশ করেছি। অপজিশনের সঙ্গে ঢাকা সিটিতে এ যাবৎ কোনো সংঘাত সংঘর্ষ হয়নি। গত কয়েক দিনেই হঠাৎ করে কিছু কিছু জায়গায় সংঘাত হয়েছে। কোথাও আমাদের অফিস আক্রান্ত হয়েছে। তাদেরও কোথাও কোথাও পুলিশের সঙ্গে সংঘাত হয়েছে। চট্টগ্রামে গতকাল দুই একটা ঘটনা ঘটেছে। এ রকম কিছু কিছু ইনসিডেন্ট হয়েছে।
বিএনপি’র দাবির সমর্থনে বৃটিশ হাইকমিশনার বা অন্য কোনো বিদেশি প্রতিনিধি কথা বলেছেন কিনা জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যে দাবি করেছে এ ব্যাপারে বিদেশিদের কোনো বক্তব্য নেই।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের বিষয়েও বিদেশিরা বলে না। বিএনপি’র মূল দাবি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ। তাদের এই এক দফা সম্পর্কে তো বিদেশিরা আমাদের বলে নাই। বিদেশিরা তো বলে নাই যে, বিএনপি’র এক দফা মেনে নেয়া দরকার। আমরা কিভাবে ইলেকশন করতে চাই, বিদেশিরা সেটা জানতে চেয়েছে। বিরোধী দলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কেমন সেটা বিদেশিরা জানতে চেয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে এমন কোনো বিন্দুমাত্র ইঙ্গিত ইশারা দেয়নি। তারা তো এক দফা দাবিতে চলে গেছে, এটা তো নির্বাচনে আসার লক্ষণ নয়।
বিরোধী দলের কর্মসূচিতে বাধা দিলে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি আর শান্তিপূর্ণ থাকবে না- বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, এটা মির্জা ফখরুলের বলার দরকার ছিল না। ইঙ্গিত, ইশারা, আলামত কিছু ভায়লেন্সের উস্কানি দিয়ে অলরেডি সৃষ্টি করেছে। তারা (বিএনপি) জানান দিচ্ছে, অশান্তির পথেই যেতে চলেছে। তারা সন্ত্রাস করবে, নির্বাচনকে প- করবে, এই লক্ষ্য নিয়ে তারা এগিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা উস্কানি দেবে, কিন্তু আমাদের মাথা গরম করা চলবে না। সবাইকে শান্ত থাকতে বলেছি। বিএনপি কী করবে না করবে, এটা তারা সিদ্ধান্ত নিয়েই শুরু করেছে। তারা কোন পথে যাচ্ছে সেটা এখন স্পষ্ট। সরকার এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা যা করা দরকার তা করবে বলেও হুঁশিয়ার করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
হাইকমিশনারের সঙ্গে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলা নিয়েও আলোচনা হয় বলেও জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
বলেন, ঘটনাটা সমর্থনযোগ্য নয়, নিন্দনীয়। ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকার সরকারের কাজ করেছে। দুর্বৃত্ত যে পরিচয়ের হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক: ঢাকায় নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। বলেন, ‘আজকে নতুন করে কিছু তো বলার নাই। আমরা একটি কথা বার বার বলছি যে বাংলাদেশের ওপর সমস্ত গণতান্ত্রিক দেশ, বিশ্বের যত গণতন্ত্রকামী সংগঠন আছে, যারাই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, যারা মানবাধিকারে বিশ্বাস করে, আইনের শাসনে-জীবনের নিরাপত্তায় বিশ্বাস করে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে- সবারই এখানে একটা কনসার্ন আছে।’
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে একটা অনির্বাচিত সরকার থাকার কারণে আজকে কিন্তু মানবাধিকার, আইনের শাসন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, জীবনের নিরাপত্তা, চরম দুর্নীতি- এ বিষয়গুলো উঠছে। মূল বিষয়টা হলো- অনির্বাচিত, অবৈধ, দখলদারিত্বের সরকার। সুতরাং এটা পরিবর্তনের একটা মাত্র উপায় হচ্ছে একটি নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশীদারিত্বমূলক নির্বাচন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের যে রকম প্রত্যাশা, তাদেরও (বৃটিশ হাইকমিশনার) একই প্রত্যাশা যে বাংলাদেশ একটি নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন- জনগণ তাদের সংসদ সদস্য নির্বাচন করবে, তাদের সরকার নির্বাচন করবে। এ কনসার্ন সবার আছে এবং বৃটিশ দূতের তো সবসময় ছিল। আমরা ওয়েস্ট মিনিস্টার ডেমোক্রেসি ফলো করি। সুতরাং তাদের সব সময় (কনসার্ন) ছিল। এই বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, যদি গত এক সপ্তাহের প্রেক্ষাপট লক্ষ্য করি- কতো মানুষের মৃত্যু হয়েছে? কতোজন আহত হয়েছে? কতোজন গ্রেপ্তার হয়েছে, কতো মামলা হয়েছে? তারপর কোথায় কোথায় ডিসি পোস্টিং হচ্ছে, কোথায় কোথায় পুলিশ অফিসার পোস্টিং হচ্ছে, কোথায় ইউএনও পোস্টিং হচ্ছে? এই যে নির্বাচনে চুরি করার যে প্রকল্প এটা যে গত এক সপ্তাহে এত কিছু করার পরও, এই নির্বাচনে চুরি করার প্রকল্প কিন্তু অব্যাহত আছে। এটাতে তো সবার দৃষ্টি আছে। এখান থেকে দৃষ্টি এড়ানোর কোনো সুযোগ নাই।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এই ভোট চুরির প্রকল্প প্রতিদিন ভীষণভাবে কাজ করছে। বিচারব্যবস্থায়ও দেখেন না বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বিচারকে ত্বরান্বিত করার জন্য অভ্যন্তরীণ যে আলোচনাগুলো চলছে, সোশ্যাল মিডিয়াতে আসছে এগুলো তো বিরাট ধরনের কনসার্নের বিষয় আছে। সুতরাং কোথায় নির্বাচন ছয় মাস পরে, কিন্তু ভোট চুরির প্রকল্প অ্যাকটিভভাবে চলছে।
তিনি বলেন, ‘এই জন্য নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বাংলাদেশে একটা নির্বাচন করা সম্ভব নয়। এই ভোট চুরি করার প্রকল্প ভাঙার একমাত্র উপায় হচ্ছে একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠনের মাধ্যমে। এই আলোচনাগুলো সব জায়গায় যেমন চলছে, আমাদের আলোচনাতেও উঠে এসেছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি যুক্তরাজ্য কোনো সমর্থন জানিয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, সমর্থন তো শুধু গ্রেট বৃটেন না, বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক দেশগুলো বাংলাদেশে কেন আসছে, কেন বার্তা দিচ্ছে, কেন প্রতিনিয়ত নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশীদারিত্বমূলক নির্বাচনের কথা বলছে? তারা কি অন্য কোনো দেশে যাচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশে যাচ্ছে? কোথাও যাচ্ছে না। সবাই বাংলাদেশে আসছে, প্রতিনিয়ত বার্তা দিচ্ছে। কেন? বাংলাদেশে যে নির্বাচন হয় না, এটা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে?
তিনি বলেন, এটা তো তারা যেভাবে কথাগুলো বলছে, তার অর্থই হচ্ছে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। বাংলাদেশের জনগণ ভোট দিতে পারছে না। তারা তাদের সংসদ, সরকার নির্বাচন করতে পারছে না। এই পরিপ্রেক্ষিতেই তো তারা কথাগুলো বলছেন।
বিএনপি’র দাবির প্রতি যুক্তরাজ্যের সমর্থন আছে কিনা, ফের এ প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘বিএনপি’র দাবি না, বাংলাদেশের দাবির প্রতি। এটা বিএনপি’র কোনো দাবি না, বাংলাদেশের দাবি। এদেশের জনগণ গণতন্ত্র ফিরে পেতে চায়, তারা ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়, আইনের শাসন, রাজনৈতিক, গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চায়, নিরাপত্তা চায়- এগুলো তো বিএনপি’র দাবি না। এগুলো বাংলাদেশের মানুষের দাবি, রাস্তায় লাখ লাখ মানুষ নেমে এই দাবিগুলো করছে। সুতরাং বিএনপি’র বিষয় না, এটা বাংলাদেশের নাগরিকদের বিষয়।’
বৈঠকে সারাহ কুক ছাড়াও যুক্তরাজ্য দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর টিমোথি ডকেট উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, বিএনপি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদও বৈঠকে ছিলেন।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |