শ্রমিকদের বেতন নিয়ে অনিয়ম ও মানবপাচারের দায়ে বর্তমানে কুয়েতে আটক এমপি পাপুল। তার এসব অপকর্মে সহায়তা করতো কাতার সিআইডি। তাদের ঘুষ দেয়ার কথা স্বীকারও করেন পাপুল। আর এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে যারাই কথা বলেছে, তারাই পড়েছেন পাপুলের রোষানলে।
চ্যানেল 24-এর কাছে ভুক্তভোগীরা বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রভাব খাটিয়ে দিনের পর দিন এ সব অপকর্ম করে গেছেন সংসদ সদস্য কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুল।
তাদের অভিযোগ, দূতাবাসের অসহযোগিতা আর পাপুলের রোষানলে কুয়েতে পরিবার রেখে দেশে ফিরতে হয়েছে অনেক ব্যবসায়ীকেও। গণমাধ্যমকর্মী, প্রবাসী শ্রমিক, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী কেউই ছাড় পাননি তার হাত থেকে। কালো তালিকাভুক্ত করানো থেকে শুরু করে দেশে ফেরত পাঠিয়েছেন অনেককে। এমনকি আটকও করিয়েছেন সিআইডির হাতে।
অভিযোগ আছে, পাপুলের প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন রাষ্ট্রদূতের দুই সন্তানও, যদি এই দাবি সত্য নয় বলছেন রাষ্ট্রদূত। এমনকি দূতাবাসের কনস্যুলার সেকশনের কর্মকর্তা জীবন আরার স্বামীও কাজ করেছেন পাপুলের প্রতিষ্ঠানে। এসব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাষ্ট্রদূত জানান, প্রমাণ করতে পারলে শাস্তি মাথা পেতে নেবেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের সহযোগিতা এবং পাপুলের অপকর্মের বিষয়ে এরই মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন দুই ভুক্তভোগী।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও লিংকে: