- প্রচ্ছদ
-
- রাজধানী
- দেশে গণতন্ত্র নেই বলেই গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশ দাওয়াত পায়নি — বরকত উল্লাহ বুলু
দেশে গণতন্ত্র নেই বলেই গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশ দাওয়াত পায়নি — বরকত উল্লাহ বুলু
প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১:২৭ অপরাহ্ণ
বিডি দিনকাল ডেস্ক : – বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র সম্মেলনে পাকিস্তান দাওয়াত পেলেও বাংলাদেশ পাইনি এতেই বোঝা যায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র নাই। দেশে গণতন্ত্র থাকলে গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশ দাওয়াত পেতো।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত বছর গণতন্ত্র সম্মেলন হয়েছিল সেখানেও বাংলাদেশকে ডাকেনি। এ বছরও গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশ দাওয়াত পায়নি। পাকিস্তানও সেই সম্মেলনে দাওয়াত পেয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ পাইনি। এতেই বুঝা যায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র কোথায়। গণতন্ত্র হরণ করে দেশ চালাচ্ছে সরকার।
বুধবার, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩, দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রুল কবির খোকনের গাড়ি বহরে গুলি বর্ষণ ও হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, দুদকের সাবেক কমিশনারকে রাষ্ট্রপতি বানিয়েছে আওয়ামী লীগ। দুদকের অবসরপ্রাপ্ত কমিশনার সরকারের কোন লাভজনক পদে নিয়োগ পেতে পারেন কিনা? দুদকের ৯ নাম্বার আইনে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে তারা কোন সরকারের লাভজনক পদে যেতে পারবে না।
তিনি বলেন,আওয়ামী লীগের এত বর্ষিয়ান নেতা থাকতে কি কারনে সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি করা হলো? তার একটাই সফলতা বেগম খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া। যে মামলার কোন ক্লু নেই, কোন প্রমাণ নেই। সাহাবুদ্দিন বেগম খালেদা জিয়ার নামের সেই মামলা দিয়ে পরিচালনা করে সাজার ব্যবস্থা করেছেন। সেই কারণে তাকে রাষ্ট্রপতি দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ বলে তারা নাকি রাজপথ থেকে উঠে এসেছে। তাদের এত নেতা থাকতে সাহাবুদ্দিনকে কেন রাষ্ট্রপতি করা হলো? তাকে রাষ্ট্রপতি করে হাজার প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এই সাহাবুদ্দিন ইসলামী ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। ইসলামী ব্যাংকে নিয়োগ পাওয়ার ৩০ দিনে ৩০ হাজার কোটি টাকা উধাও হয়ে গেছে। সেই ব্যক্তি আবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়ে গেলেন। যদি পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ রাষ্ট্রপতি হতেন তাহলে আগামী দিনে তাদের সাথে আলোচনার একটা সুযোগ থাকতো। সে আলোচনার দরজাটাও শেখ হাসিনা বন্ধ করে দিলেন।
বুলু বলেন, তাই এই সরকারের পতনের জন্য দেশ প্রেমিক সকল সংগঠন রাস্তায় নেমেছে। আমরা আন্দোলন করছি। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এ সরকারের পতন হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের জনগণ তাদের ভোটার অধিকার ফিরে পাবে।
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান কাজী মনিরুজ্জামান মনির এর সভাপতিত্বে ও কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোঃ রহমতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, কৃষকদলের সহ-সভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহিম, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারী, ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা নেছারুল হক প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
Please follow and like us:
20 20