আজ রবিবার | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৫:৩০
ঢাকা :মূলহোতা বেশিরভাগ সময়ই থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। পুলিশের জালে ধরা পড়ে শুধু সরবরাহকারীরা। আবার ধরা পড়ার পর কিছুদিনের মধ্যেই জামিনে বেরিয়ে পুনরায় জড়ায় একই অপরাধে। দেশে জাল টাকার চক্র এভাবেই ছড়িয়ে পড়ছে আনাচে কানাচে। নানা পদক্ষেপ আর অভিযানেও যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
জাল টাকা পাওয়া সবার জন্যই ক্ষতির, বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য এ যেন চরম অভিশাপের। সর্বশেষ পরিসংখ্যানে, বিভিন্ন সংস্থা চলতি বছরের প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত গত ১৮ মাসে ১৬ হাজার ৯৯১টি জাল নোট ধ্বংস করেছে। যার পরিমাণ ১ কোটি ৪১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৫০ টাকা।
হাতে নাতে গ্রেফতার আসামিরা অনেক ক্ষেত্রে চেনেনই না মূলহোতাকে। লোকচক্ষুর আড়ালে থেকেই সে পরিচালনা করে পুরো চক্রটি। বাড়তি টাকার লোভ দেখিয়ে বিতরণকারী খুঁজে বের করে বিশ্বস্ত আরো বিতরণকারীকে। এভাবেই অঞ্চল নির্ধারণ করে চক্রাকারে বাড়তে থাকে বিতরণকারীর সংখ্যা।
শুধুমাত্র গত ১০ বছরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ৫৯২টি মামলা করেছে এ ধরনের ঘটনায়। আর, গত দুই দশকে সারাদেশে জালনোট সংক্রান্ত মামলা হয়েছে ৮ হাজার ৩৬৬টি। এখনও তদন্তাধীন রয়েছে ২ হাজারের বেশি।
ডিএমপি ডিসি মসিউর রহমান বলেন, যারা ধরা পড়েছে বিভিন্ন সময়ে তারা ঢাকা শহরে বিভিন্ন জায়গায় বসতো।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু অভিযান চালিয়েই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয় অর্থনীতির এই মরণফাঁদকে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সাবেক গর্ভনর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দন বলেন, জাল টাকা চিহ্নিতকরণ, তদন্তকরণ, বিচার সব কিছুতেই নজর দিতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বয়, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং কঠোর আইনী প্রয়োগ পারে দেশের জাল টাকা তৈরির প্রবণতা রুখতে।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |