আজ মঙ্গলবার | ১৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৪:১৪
ঢাকা : ধর্মীয় ইস্যুতে উসকানিমূলক প্রচার ছড়ানোর দায়ে ২০ থেকে ২৫ জনকে নজরদারিতে রেখেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডি ছাড়াও এ কাজে পুলিশের অন্য সংস্থাগুলো খোঁজখবর করছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে ২৭ নভেম্বর পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র এবং সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা এক ভিডিও বার্তায় ধর্মীয় ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষেত্রে সচেতন হতে অনুরোধ জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অনুসারীদের। ধর্মীয় কোনো বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে উত্তেজনা প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে মো. সোহেল রানা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ধর্মের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও আস্থা। সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে কিছু দুষ্কৃতকারী , কিছু অসৎ মানুষ , অপরাধমনস্ক মানুষ ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয়ে মিথ্যাচার করে, গুজব ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়েছেন। এর বলি হয়েছেন অনেক নিরীহ মানুষ।
প্রয়োজনে ৯৯৯ ফোন করে তথ্যের সত্যতা যাচাই করে নিতে পারেন বা স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করতে পারেন। এ ছাড়া ধর্মীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার মতো আপনাকে সঠিক তথ্য দেওয়ার মতো আলেম-ওলামা রয়েছেন। কারও সঙ্গে পরামর্শ না করে প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না। লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করবেন না।’
সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার সূত্র বলছে, লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক শহীদুন্নবীকে পুড়িয়ে হত্যার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নজরদারি বাড়ায়। এখন পর্যন্ত ওই ঘটনায় প্রায় ৫০ জন গ্রেপ্তার আছে। মামলাগুলো সিআইডির তত্ত্বাবধানে আছে।
সরকার এ ব্যাপারে খুবই শক্ত অবস্থানে আছে। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে বিক্ষোভ হয়। এখন ভাস্কর্য ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উত্তপ্ত বিতর্ক হচ্ছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, যাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সোচ্চার, তাঁদের সবাই সন্দেহভাজন অপরাধী নন। তাঁদের সিংহভাগই আবেগের স্রোতে গা ভাসিয়েছেন। এই আবেগপ্রবণ মানুষদের কারা ব্যবহার করছেন, সেটাই সাইবার পুলিশ নজরদারি করছে এবং নিয়মিত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করছে। তালিকাটা খুব দীর্ঘ নয়, ২০ থেকে ২৫ জন। তাঁদের প্রত্যেকের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের বিশেষ সুপার মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ গণমাধ্যমকে বলেন, ধর্মীয় ইস্যুতে কেউ উসকানি দিচ্ছে কিনা, সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। সেন্টারের কাজ অপরাধীকে শনাক্ত করা ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা। তবে কারা কারা নজরদারিতে আছেন বা বিপজ্জনক বলে তাঁরা মনে করছেন, এমন প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি।
সিআইডি ছাড়াও পুলিশের বিশেষ শাখা, কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি), অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) নজরদারির কাজ করছে। ধর্মীয় ইস্যুতে উত্তেজনা ছড়ায়, এমন কিছুর প্রচার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে নিষিদ্ধ।
যাঁরা ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন, তাঁরা আইন ভঙ্গ করছেন কিনা, পুলিশ খতিয়ে দেখছে। তারপর ফেসবুক বা ইউটিউব কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হচ্ছে। কখনো কখনো বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (বিটিআরসি) সহযোগিতা নিয়ে পোস্ট সরিয়ে ফেলা হচ্ছে।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:20 AM |
Sunrise | 6:40 AM |
Zuhr | 12:01 PM |
Asr | 3:02 PM |
Magrib | 5:22 PM |
Isha | 6:43 PM |