আজ শনিবার | ২০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |৪ঠা রজব, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৩:২২
বিডি দিনকাল ডেস্ক:- দেশজুড়ে ওরস-মাহফিলের মাধ্যমে যোগাড় করেন মুরিদ। তারপর সরকারি চাকরি কিংবা নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পাইয়ে দেয়ার টোপ। আর এই জালে আটকা পড়েন অনেকেই। পকেটে ঢোকে কোটি কোটি টাকা। নয় বছর ধরে প্রতারণা চালানো এমনই এক কথিত পীরকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
এ যেনো একবিংশ শতাব্দীর লালসালু। জিকির আজগারে মশগুল চারদিক। রঙিন জলসায় পীরে চিসতী আব্দুল মোতালেবকে ঘিরে মুরিদ ভক্তদের জমজমাট আসর।
দেশজুড়ে হাজারো মুরিদ। কাউকে দিতেন সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি, কাউকে নৌকার বৈঠা ধরার। বিনিময়ে নিজ পকেট মোটা হয়েছে কোটি কোটি টাকায়।
ভুক্তভোগীদের একজন নরসিংদীর জাকির হোসেন। সচিবালয়ে ছেলের চাকরির আশায় জমিজমা আর গোয়ালের গরু বিক্রি করে পীর বাবাকে দেয়া সাত লাখ টাকার এখন হদিস নেই। একই অবস্থা গোপাল সরকারেরও। জীবনের শেষ সম্বলটুকু হারিয়েছেন পীরের প্রতিশ্রুত প্রাইমারি স্কুলে চাকরির খোঁজে।
অবশেষে গোয়েন্দা পুলিশের জালে পীর চিসতীর ভবলীলা হল সাঙ্গ। জানা যায়, ২০১২ থেকে সাল থেকেই করে যাচ্ছেন মানুষ ঠকানোর ব্যবসা। এই পথে ছায়াতরুর মত আগলে ছিল প্রভাবশালী এক নেতা।
মহানগর মহিলা লীগের কোষাধ্যক্ষ্য ও বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের তত্বাবধায়ক শেখ আখতারী বেগমেরও অভিযোগ, তার নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা করে আসছিলো চিসতী। বিচার চাইলেন এই প্রতারকের।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, আমোদ ফুর্তিতেই ব্যয় হতো পীর বাবার অবৈধ টাকার বেশিরভাগ। একটি অংশ যেত সরকারের নানা মহলে।
ধর্মীয় লেবাস থাকলেও তলেতলে চিসতী আব্দুল মোতালেব ছিলেন সমকামী কমিউনিটির সভাপতির পদে।
Dhaka, Bangladesh শনিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:21 AM |
Sunrise | 6:42 AM |
Zuhr | 12:03 PM |
Asr | 3:05 PM |
Magrib | 5:25 PM |
Isha | 6:46 PM |