- প্রচ্ছদ
-
- খুলনা
- নড়াইল সদর থানা পুলিশের অভিযানে গৃহবধূকে হত্যা, স্বামীসহ ৫ জন গ্রেপ্তার
নড়াইল সদর থানা পুলিশের অভিযানে গৃহবধূকে হত্যা, স্বামীসহ ৫ জন গ্রেপ্তার
প্রকাশ: ৫ নভেম্বর, ২০২২ ৬:০৭ অপরাহ্ণ
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:নড়াইল সদর থানা পুলিশের অভিযানে গৃহবধূকে হত্যা, স্বামীসহ ৫ জন গ্রেপ্তার।
নড়াইলে গলাকেটে ও পুড়িয়ে গৃহবধূকে হত্যা, স্বামীসহ ৫ জন গ্রেপ্তার। নড়াইল সদর উপজেলায় সড়াতলা গ্রামের আছিয়া বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় তার স্বামী রনি শেখ (২৫) ও তার প্রধান সহযোগী আব্বাস ফকির (২২) সহ মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মাহামুদুর রহমনা গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়, জানান, পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (৫ নভেম্বর) ভোর রাতে আছিয়ার স্বামী রনি শেখকে নড়াইল জেলার কালিয়া থেকে এবং রনির প্রধান সহযোগী আব্বাসকে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থেকে হত্যাকান্ডের পনের ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ঘটনার পরপরই রনির বাবা মো: লিটু শেখ (৫৫) এবং তার দুই ভাই ইমরান শেখ (২৮) ও রুবেল শেখকে (২৬) গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত রনি শেখ নড়াইল সদরের সড়াতলা গ্রামের মো: লিটু শেখের ছেলে এবং আব্বাস ফকির ওই গ্রামের জামির ফকিরের ছেলে। সাড়ে তিন বছর আগে নড়াইল সদর উপজেলার সড়াতলা গ্রামের রনি শেখ একই গ্রামের আছিয়া বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাদের দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে সে আছিয়াকে নির্যাতন করতো। পরে আছিয়ার মা বাদী হয়ে নড়াইল সদর থানায় আটজনকে আসামি করে মামলা করেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে পারিবারিক কলহের জেরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রনি শেখের নিজ বাড়িতে তার বন্ধু ও সহকর্মী আব্বাস ফকিরের সহযোগীতায় আড়াই বছরের শিশু সন্তান বায়জিদের মা আছিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় আঘাত করে। আঘাতে ঘাড় থেকে গলা অর্ধেক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরবর্তীতে ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আছিয়ার শরীরসহ বিছানায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোসা: সাদিরা খাতুন বলেন, পূর্বপরিকল্পিত এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের পেছনে থাকা আছিয়ার স্বামীসহ মামলার পাঁচ আসামীকে ঘটনার পনের ঘন্টার মধ্যে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Please follow and like us:
20 20