স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পার হয়ে গেলেও মেরামত হয়নি উপজেলার চর-ডুমুরিয়া গ্রামের কাঁচা রাস্তা । বারবার জন প্রতিনিধিরা রাস্তাটি পাকা করার আশ্বাস দিলেও আজ তার কোন বাস্তবায়ন হয়নি । একটু বৃষ্টি হলেই ভোগান্তির শেষ নেই প্রায় দুই হাজার মানুষসহ স্কুল কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীদের।
উপজেলার চর ডুমুরিয়ার একটি পাকা রাস্তার অভাবে চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে সাধারন মানুষ। দীর্ঘ ৪ কি: মি: রাস্তা পায়ে হাটাও দায় হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই ঘর থেকে জরুরী প্রয়োজনেও বাইরে বের হতে পারছেনা গ্রামবাসী, এতে প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে গ্রামবাসী । প্রাইমারী থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে এমনকি জরুরি চিকিৎসা সেবা নিতে রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ওদিকে জেলার শেষ হওয়ায় রাস্তাটির দিকে নজর দিচ্ছেন না কেউ। গত ৪৮ বছর ধরে রাস্তাটি জন প্রতিনিধিরা পাকা করার আশ্বাস দিলেও তা আজ কোন বাস্তবায়ন হয়নি । একটি পাকা রাস্তার প্রানের দাবী এলাকার সাধারন মানুষের।
৬৬ নং পার কেকানিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাজিবুর রহমান বলেন, আমাদের এলাকার শিক্ষার হার খুবই কম কারন নানা শ্রেনী পেশার মানুষ তথা প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ৪ কি:মি: পথ পায়ে হেটে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্টানে যেতে হয়।যার কারনে তাদের শিক্ষাদানে ব্যাঘাত হচ্ছে।তাই রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজন।
স্থানীয় নজরুল মোল্যা বলেন, আমার জন্মের পর থেকেই রাস্তাটি কাঁচা দেখে আসতেছি। আজ পর্যন্ত পাকা হয় নাই। বৃষ্টি হলে রাস্তা দিয়ে পায়ে হাটতে পারি না,পাট, সবজি নিয়ে বাজারে যেতে আমাদের কষ্ট হয়। তিনি আরো বলেন, নির্বাচন আসলে চেয়ারম্যান মেম্বর বলে রাস্তা করে দিব কিন্তু কারো পরে আর খোজ থাকে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশা সমিতির এক কর্মকর্তা বলেন, আমি অনেক জায়গায় চাকুরি করেছি কিন্তু এই চর ডুমুরিয়ার মতো প্রতন্তঅঞ্চল কোথাও দেখি নাই। একটু বৃষ্টি হলেই ৪-৫ কি:মি: পথ পায়ে হেটে গ্রাহকদের কাছে আসতে হয়। এতে আমাদের ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়।
এ বিষয়ে এলজিডি ইঞ্জিনিয়ার মো: আবু বকর সিদ্দিক বলেন, নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলাধীন ডুমুরিয়া থেকে কেকানিয়া প্রাইমারী স্কুল পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ ৩.৫০ কি: মি:। এই রাস্তাটি ইতিমধ্যে আমরা নড়াইল প্রজেক্ট (ডিপিবিতে) ইনক্লুইড করেছি। নড়াইল প্রজেক্ট কার্যক্রম এখনো শুরু হয় নাই। আশা করি শিঘ্রই প্রজেক্টের কাজ শুরু হবে এবং পর্যায়ক্রমে এই রাস্তাটির উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন হবে।