এসএম সুলতান ফাউন্ডেশন ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কর্মসূচির মধ্যে ছিল শিল্পীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কবর জিয়ারত, মিলাদ মাহফিল, কোরআনখানি ও দোয়া অনুষ্ঠান।
শনিবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৯টায় মাছিমদিয়ায় শিল্পীর কবরে জেলা প্রশাসন ও সুলতান ফাউন্ডেশন, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, এসএম সুলতান বেঙ্গল চারুকলা মহাবিদ্যালয়, এসএম সুলতান শিশু ও চারুকারু ফাউন্ডেশন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, চিত্রা থিয়েটার, মূর্ছনা সংগীত নিকেতন, যুগান্তর সাংস্কৃতিক সংগঠন, লাল বাউল, সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্র্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
এ উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত পরিসরে শিল্পীর জীবন ও কর্মেও ওপর বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইয়ারুল ইসলাম, সুলতান ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মিকু, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল কবির টুকু, সাধারণ সম্পাদক শামীমূল ইসলাম টুলু, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মলয় কুন্ডু, মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত: চিত্রশিল্পের খ্যাতি হিসেবে বরেণ্য এই শিল্পী ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’, নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’ এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ‘ম্যান অব এশিয়া’ পুরস্কার পেয়েছেন।
এছাড়া ১৯৮২ সালে একুশে পদকসহ ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট স্বীকৃতি এবং ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননাসহ অসংখ্য পদকে ভূষিত হন।
বরেণ্য এই শিল্পী ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইল শহরের মাছিমদিয়া গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন । তাঁর ডাক নাম ছিলো লাল মিয়া। বাবার নাম মেছের আলী এবং মায়ের নাম মাজু বিবি।
১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। বরেণ্য এই শিল্পীকে নড়াইলের কুড়িগ্রামে শায়িত করা হয়।