উজ্জ্বল রায়, নড়াইলঃনড়াইলে দলিল লেখক খোকন চন্দ্র রায়কে ছুুরিকাঘাত পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৩। নড়াইলে দলিল লেখক খোকন চন্দ্র রায়কে ছুুরিকাঘাত, এসময় গ্রুরুতর অবস্থায় মোটরসাইকেল চালিয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালে উপস্থিত হন আহত,দলিল লেখক খোকন চন্দ্র রায়। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে জানান, গত মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকলে নড়াইল পৌরসভার দক্ষিণ নড়াইল এলাকার মুলিয়া রোডে এ ঘটনা ঘটে। মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা,খোকন চন্দ্র রায় (৫০) নামে ঐ ব্যক্তির পিঠে ছুরি বিঁধিয়ে পালিয়ে যায়,দুর্বৃত্তরা,পরে আহত অবস্থায় তিনি নিজেই মোটরসাইকেল চালিয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালে পৌছান এবং হাসপাতালের দায়ীত্ব প্রাপ্ত চিকিৎসক আহতকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ছুরিবিদ্ধ অবস্থায় যশোর মেডিক্যেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এ ঘটনায়,পুলিশ জানায়,খোকন চন্দ্র রায়,নড়াইল শহরতলীর দুর্বাজুড়ি গ্রামের মৃত জ্যোর্তিময় রায়ের ছেলে। তিনি প্রতিদিনের মতো সকালে পেশাগত কাজে মোটরসাইকেল চালিয়ে নড়াইল সদর সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে যাচ্ছিলেন। পতিমধ্যে মুঁলিয়া রোডের দক্ষিণ নড়াইল বটতলা নামক স্থানে হেলমট পরিহিত মোটরসাইকেল আরোহী দুই অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত পেছন থেকে এসে খোকনের পিঠে ছুরি বিদ্ধ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ অবস্থায় খোকন নিজেই মোটরসাইকেল চালিয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালে পৌছাতে সক্ষম হলেও তার শরীরে অত্যন্ত বিপদজনকভাবে বিধে থাকা চাকু সেখানে অপসারণ করা সম্ভব না হওয়ায় ক্রমে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরে চিকিৎসক তাকে উচ্চতর চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নেয়ার পরামর্শ দিলে স্বজন’রা,খোকনকে যশোর মেডিকেলে নেন। খোকনের শরীরে বিধে থাকা ছুরি ফুসফুস পর্যন্ত গিয়ে থাকতে পারে এমন ধারনা পোষণ করে সদর হাসপাতালের ইমাজেন্সি মেডিকেল অফিসার,শরীফ মোহাম্মদ হাসান ফেরদৌস জানান,অপসারনের ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রপচার নড়াইলে সম্ভব না,বিধায় তাকে মেডিক্যেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোঃ মাহমুদুর রহমান জানান,জমিজমা নিয়ে প্রতিবেশিদের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে খোকন হামলার শিকার হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। ঘটনা উৎঘাটনে কাজ চলছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে,পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জন কে আটক করে জেল হাজতে পেরেন করেছেন বলে,নিশ্চত করেছেন,সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোঃ মাহমুদুর রহমান।