- প্রচ্ছদ
-
- অপরাধ
- নড়াইলে সেই ইজিবাইক চালক হত্যারহস্য উন্মোচন,গ্রেফতার ৩
নড়াইলে সেই ইজিবাইক চালক হত্যারহস্য উন্মোচন,গ্রেফতার ৩
প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর, ২০২০ ৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ
নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ -ইজিবাইক ও ফোন উদ্ধার হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্ধী নড়াইল সদর উপজেলার হবখালী ইউনিয়নের ডাঙ্গা-সিঙ্গিয়া গ্রামের চাঁন মোল্যার ছেলে ইজিবাইক চালক রোহান মোল্যা (২০) হত্যারহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। এছাড়া ছিনতাইকৃত ইজিবাইক ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই যশোরের পরিদর্শক গাজী মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, পিবিআই যশোর অঞ্চলের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিনের নেতৃত্বে নড়াইল সদরের হবখালী ইউনিয়নের কোমখালী গ্রামের আল মামুন (১৯) ও শাহিন শেখকে (১৯) গত ২৫ নভেম্বর রাত আড়াইটার দিকে বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরেরদিন (২৬ নভেম্বর) বিকেলে শহরের ভওয়াখালী এলাকার মাসুদ রানাকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের গ্রেফতারের পর মামুন ও শাহিনের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে নিহত রোহানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আসামিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে যশোর উপশহর এলাকা থেকে ছিনিয়ে নেয়া ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়।
পিবিআই জানিয়েছে, আল মামুন ও শাহিন মূলত ইজিবাইক চোর এবং ছিনতাইচক্রের সদস্য। আর মাসুদ রানা ক্রেতা।
গ্রেফতারকৃতরা নড়াইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদুল আলমের আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্ধী দিয়েছে।
পিবিআই সূত্রে জানা যায়, রোহানের ইজিবাইকটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে গত ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে নড়াইল সদরের বামনহাট এলাকায় গানের অনুষ্ঠান দেখতে যাওয়ার কথা বলে ইজিবাইক ভাড়া নেয় মামুন ও শাহিন। বামনহাট এলাকায় পৌঁছালে ইজিবাইক চালক রোহানকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ রাস্তার পাশে ফেলে রোহানের মোবাইল ফোন ও ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
ঘটনার রাতেই আসামি মাসুদের কাছে ৮০ হাজার টাকায় ইজিবাইক বিক্রি করে অপর দুই আসামি মামুন ও শাহিন ওই টাকা ভাগাভাগি করে নেয়। এই টাকার কিছুটা উদ্ধার হয়েছে। বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
Please follow and like us:
20 20