উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে:-নড়াইল পৌর সভার মেয়র আঞ্জুমান আরা, পৌর কাউন্সিলর কাজী জহিরুল হক জহির সহ ২০-২৫ জনের নামে জিডি করলেন সদর উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল ইসলাম। শনিবার সদর থানায় জিডি করে জাহিদুল ইসলাম নিজে। জিডি নং ৮৭১ তাং ২৩ অক্টোবর ২০২১। জিডিতে অভিযোগ করা হয়, আমি বাঁশগ্রাম ও ভদ্রবিলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছি। গত ২০ অক্টোবর আনুমানিক ১৫টা ৩০ মিনিট( সাড়ে ৩টা) নিজ কার্যালয়ে কাজ করার সময় ভদ্রবিলা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বর প্রার্থী মনিরুজ্জামান ও নড়াইল পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজু মোল্যা আমার অফিসে এসে অফিসের স্টাফদের সাথে অশোভন আচারন করে। এসময় বাইরে যেয়ে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেয়। পরে পুলিশ ডাকতে বাধ্য হব জানালে তারা চলে যায়।কৃষি অফিসার জাহিদুল ইসলাম এর ৩০ মিনিট পরে নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা, ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী জহিরুল হকসহ ২০-২৫ জন লোক অফিসে এসে আমার সাথে কথা বলার পর রাগান্বিত হয়ে অফিসের বাইরে চলে আসে। এক পর্যায়ে তিনি ও তার লোকজন অশালীন বক্তব্য ও হুমকি-ধামকি প্রদান করে চলে যায়।
মেয়রসহ তার লোকজন নির্বাচনী আচারণ বিধি লংঘন পূর্বক আমাকে নির্বাচনী কার্যক্রম ব্যহত করার চেষ্টা করেন। আমি জীবনের নিরাপত্ত হিনতায় ভূগছি বলেও জিডিতে অভিযোগ করা হয়। নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শওকত কবির জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে নড়াইল সদর উপজেলায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এবং সদরের ভদ্রবিলা ও বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার মোঃ জাহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নড়াইল পৌরসভার এক কাউন্সিলরের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া যায়। গত বুধবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে নড়াইল পৌর মেয়রের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানাগেছে।
সদর উপজোর ভদ্রবিলা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মেম্বর প্রার্থী মনিরুজ্জমান বলেছিলেন, বুধবার ভদ্রবিলা ও বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের রিটানিং অফিস থেকে আমাকে ফোন দিয়ে জানানো হয়, আপনার মনোনয়নপত্রে কয়েক জায়গায় ভুল রয়েছে আপনি অফিসে আসেন। তখন দুপুর ২টার দিকে অফিসে গেলে এক অফিস সহকারী (নাম বলতে পারেননি) এনআইডি কার্ডে আমার নামের প্রথমে মোঃ না থাকাসহ কয়েকটি ভুল ধরিয়ে দেন এবং এগুলি সংশোধনের জন্য ৫ হাজার টাকা দাবি করে।
তখন টাকা না দিয়ে বিষয়টি আমার মামা নড়াইল পৌর কাউন্সিলর রাজু মোল্যাকে জানালে তিনি অফিসে এসে ভুলগুলি সংশোধন করে দেওয়ার অনুরোধ করলে তার সাথে চরম দূর্ব্যবহার করা হয়।
গত শনিবার (১৬ অক্টোবর) মনোনয়নপত্র লেখালেখির জন্য অফিস সহকারী আমার কাছ থেকে ৫শ টাকা নিয়েছিল। শুনেছি, মনোনয়নপত্রে নামের বানান ভুল সংশোধনের জন্য আরও অনেকের কাছ থেকে ওই অফিস সহকারী ২ হাজার থেকে ২৫শ টাকা পর্যন্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য, নড়াইল পৌরসভার ১৩টি ইউনিয়নে ২য় ধাপে মনোনয়ন প্রত্যাহার ২৬ অক্টোবর এবং ২৭ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দ আর ১১ নভেম্বর ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।