উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ -বার বার নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য কালিয়া জনপদের প্রবাদ পুরুষ। তিনি কালিয়া জনপদের গনমানুয়ের প্রিয় নেতা, প্রিয় সংসদ সদস্য মোঃ কবিরুল হক মুক্তি। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সফল সংগঠক , বঙ্গবন্ধুর সহচর প্রখ্যাত রাজনিতিবিদ মুক্তি যোদ্ধা শহীদ একলাছ উদ্দিন বিশ্বাসের সুযেগ্য পুত্র কবিরুল হক মুক্তি বর্তমানে নড়াইল ১ আসনের সবচেয়ে সফল সংসদ সদস্য। কালিয়া জনপদের সাধারন জনগনের ভাগ্যান্নয়নে রাত দিন নিরালস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
নড়াইল ১ আসনের সংসদ কবিরুল হক মুক্তি এমপি। দেশের ক্রান্তিকালে মহামারি করোনা সংকটের সময় নিজ নির্বাচনী এলাকায় সার্বক্ষণিকভাবে এলাকাবাসীর পাসে ছিলেন। জনগণের সব ধরনের সমস্যা ও দুঃখ কষ্ট দূর করার জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারের দিকে না তাকিয়ে নিজ উদ্যোগে নিয়মিত অসহায় গরীব মানুষের নিকট ত্রাণ সহায়তা দিয়েছেন। সব সময় অভাবগ্রস্ত নিরীহ মানুষের খাদ্য সংকট ও চিকিৎসা সেবাসহ নিজে তদারকি করেছেন। তিনি কালিয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে, বাজারে, খেয়া ঘাটে রাতে মানুয়ের চলা ফেরার জন্য সোলার ল্যাম্প পোষ্টের ব্যবস্থা করেছেন কালিয়ার নবগঙ্গা নদীতে পারা পারে জনদুর্ভোগের কথাভেবে জাতীয় সংসদে দাড়িয়ে আদায় করেছেন ব্রিজ। কালিয়ার সাধার জনগনের কথা আমাদের বিপদ আপদে সবসময় মুক্তিকে পাশে পাই।জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন জননেতা কবিরুল হক মুক্তি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, আমার বাবাকালিয়ার জনগনের জন্য জীবন দিয়ে গেছেন। যতদিন আমার জীবন আছে এ অঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করে যাব, আমি সকলের দোয়া ও ভালবাসা চাই । আপনাদের পাশে থাকতে পেরে অামি ভাল আছি। আসি রাজনীতির কথায় আওয়ামীলীগের রাজনীতির ইতিহাস, নড়াইল এর রাজনৈতিক এবং আমার পারিবারিক রাজনৈতিক ইতিহাস কম বেশি সকলেই জানেন, তাই এ বিষয়ে নতুন করে তুলে ধরার কিছু নাই।পঁচাত্তর পরবর্তী সময় সামরিক-বেসামরিক সকল জান্তা রাজনীতিকে ধংস করতে চেয়েছে। রাজনীতিময় সমাজ কে অনেক কঠিন করে দিয়েছিল। রাষ্ট্র ও সমাজ থেকে রাজনীতি কে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল, শুধু চেয়েছিলই না এখন চাচ্ছে সরিয়ে দেওয়ার পায়তারা করছে। রাজনীতিহীন সমাজ সেটা অতি ভয়ংকর সমাজ। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সংগঠনটা গড়ে উঠেছে আন্দোলন ও সংগ্রাম এর মধ্য দিয়ে। তাই কোন আন্দোলন সংগ্রাম কে ভয় পাই না। এই কারণে আজ এই সংগঠনটা পরিণত হয়েছে অনুভূতিময় সংগঠনে। আর এই অনুভূতি টাই তারাই উপলব্ধি করতে পারে যারা জন্মসূত্রে আওয়ামীলীগ। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, যার বিস্তার প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম। আমি কালিয়ার সন্তান মানে আপনাদের সন্তান। আমার বেড়ে ওঠাও এই জনপথে। মধুমতি নবগঙ্গা ও চিত্রা নদীর হওয়া খেয়ে আমি বড় হয়েছি। সকলের ভালবাসা পেয়ে পথ চলেছি। তাই আমি এই জনপথে তিন বার সংসদ সদস্য হয়েছি। স্বাধীনতার আজ ৪৭ বছর আমার বয়সও ৪৭ বছর। ৪৭ বছরে আমি ১০ বছর আমার বাবা আড়াই বছর জন প্রতিনিধিত্ব করছে বাকি রইল ৩৫ বছর। এই ৩৫ বছর আর আমার ও আমার বাবা ১২.৫ বছরের উন্নয়ন চিত্র টা একটু ভেবে মিলিয়ে নিবেন। আর বিশেষ করে উন্নয়ন একটা চলমান বিষয়। শূন্য থাকলে তার সাথে যত সংখ্যা যোগ করা হয় তত হয় কিন্তু মাইনাসে রেখে গেলে কি হবে? কালিয়ার জনপথ কে মাইনাস করে রেখেগেছেন। আমি যখন এই জনপদে এমপি মনোনীত হোই তখন আমি এই অবহেলিত নড়াইলে কিছু স্বপ্ন দেখিয়ে ছিলাম এবং স্বপ্ন গুলো পূরণ করেছি বাকিটাও করার লক্ষে কাজ করে চলছি। উন্নয়নের যে চলমান প্রক্রিয়া সেটা অব্যাহত থাকবে। দোষে গুণেই মানুষ, আমিও দোষ ত্রুটির উর্ধে নয়। কিন্তু এই দোষ গুলো কি আমার জন্য করেছি, আমার পরিবারের জন্য করেছি?- না, এটা হয় তো আপনাদের জন্য অথবা দলের জন্য করছি। দল কে টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে করেছি। আমার পরিবার দলের জন্য যে ত্যাগ শিকার করেছে সেটা রাজনীতির আদর্শে এক বিরল চিত্র। স্বজন হারানো ব্যথা কিন্তু সেই বোঝে যার স্বজন হারিয়েছে। আর সেটা বিশেষ করে রাজনীতি তে।১৯৭৫ সালে যখন রাজনীতি কে ধ্বংস করার লক্ষে শেখ পরিবার কে হত্যা করেছিল।জননেত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ থাকায় সৃষ্টি কর্তার অশেষ রহমাতে বেচে ছিলেন। তিনি যখন রাজনীতি তে প্রবেশ করলেন তখন রাজনীতিটা কে আস্তে আস্তে শিল্পে পরিণত করলেন। ঠিক একই ভাবে নড়াইলের রাজনীতি কে দূর্বিতায়িত করার লক্ষে আমার বাবা ও বড় ভাই কে নির্মম ভাবে হত্যা করে। তিনি কিন্তু তখনও নীতির সঙ্গে আপোষ করে নাই। আমার মরহুম পিতা ও ভাই কে গভীর ভাবে শ্রদ্ধা জানাই। যেমন জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে কোন অরাজনৈতিক চিন্তাধারা কে বাস্তবায়ন করতে দেয় নাই ঠিক কালিয়া তেও কোন অরাজনৈতিক চিন্তাধারা কে আমি জীবিত থাকতে কখনও বাস্তবায়ন হতে দিব না। পরিশেষে এতটুকু বলব রাজনীতিহীন সমাজ সেটা অতি ভয়ংকর তাই আমরা রাজনীতিকে ধারন করে, রাজনীতিকে বাচিয়ে রাখি”জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।